ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ইজতেমা শুরু কাল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০
  • / ১৯১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্ব ইজতেমা। এদিকে ইজতেমাকে সামনে রেখে এখন লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে তুরাগ নদীর তীর। এ উপলক্ষে শিল্পনগরী টঙ্গী সেজেছে নতুন সাজে। এরই মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বিদেশ থেকে তাবলীগ অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে জড়ো হচ্ছেন। ১০ই জানুয়ারি ইজতেমা শুরু হলেও গতকাল বুধবার থেকেই ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন এবং নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। শুক্রবার বাদ ফজর আ’ম বয়ানের মধ্যদিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে ১২ই জানুয়ারি জোহরের নামাজের আগে যেকোনো এক সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে ১৭ই জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯শে জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা। এরই মধ্যে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ নদীতে ৭টি ভাসমান পন্টুন সেতু নির্মাণ করেছেন। তবে ইসলামী সম্মেলনে নারী-পুরুষের সহাবস্থান ইসলামী শরীয়ত বিধিসম্মত না হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে (মহিলাদের) কামরা রাখা হয়নি। আগত নারী মুসল্লিরা ময়দানের চারপাশের বাসাবাড়িতে বসে মুরুব্বিদের বয়ান শুনতে পারবেন। আগত মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো ময়দানে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক প্রায় আড়াইশ’ বিশেষ ছাতা মাইক, ৫০টি ইউনিসেফ (প্রতিধ্বনি প্রতিরোধক) মাইকসহ প্রায় সাড়ে তিনশ’টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের অবস্থান:
শুক্রবার ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হলেও গতকাল বুধবার থেকেই দেশি-বিদেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। কাজাখস্তানের মুসল্লি মোহাম্মেদ ডেনি বেক (৪৫) জানান, ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহকে রাজি খুশি করাতেই টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসেছি। এদিকে, জামালপুর থেকে ১৭ সদস্যের এক জামাত নিয়ে এসেছেন আদুস সামাদ (৬৫)। তিনি জানালেন, ইজতেমা ময়দানের মুরুব্বিদের বয়ান শুনে হেদায়েতের পথ পাওয়ার জন্য এসেছি। নীলফামারী থেকে ১৪ জনের দল নিয়ে এসেছেন মোস্তফা কামাল (৭৫)। তিনি বলেন, চিল্লা শেষে জামাতের সঙ্গে তিন দিনের ইজতেমায় এসেছেন। আখেরি মোনাজাত শেষে তিনি আবার চল্লিশ দিনের জন্য বের হবেন।
বিশেষ ট্রেন:
টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সুষ্ঠু যাতায়াতের জন্য ১৬টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১০ই জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী সব ট্রেন ৫ মিনিট পর্যন্ত টঙ্গী স্টেশনে দাঁড়াবে। সাপ্তাহিক বন্ধের সকল ট্রেনও ওই সময়ে চলাচল করবে। এ ছাড়াও প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিশ্ব ইজতেমা শুরু কাল

আপলোড টাইম : ১০:৫৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্ব ইজতেমা। এদিকে ইজতেমাকে সামনে রেখে এখন লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে তুরাগ নদীর তীর। এ উপলক্ষে শিল্পনগরী টঙ্গী সেজেছে নতুন সাজে। এরই মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বিদেশ থেকে তাবলীগ অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে জড়ো হচ্ছেন। ১০ই জানুয়ারি ইজতেমা শুরু হলেও গতকাল বুধবার থেকেই ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন এবং নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। শুক্রবার বাদ ফজর আ’ম বয়ানের মধ্যদিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে ১২ই জানুয়ারি জোহরের নামাজের আগে যেকোনো এক সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে ১৭ই জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯শে জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা। এরই মধ্যে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ নদীতে ৭টি ভাসমান পন্টুন সেতু নির্মাণ করেছেন। তবে ইসলামী সম্মেলনে নারী-পুরুষের সহাবস্থান ইসলামী শরীয়ত বিধিসম্মত না হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে (মহিলাদের) কামরা রাখা হয়নি। আগত নারী মুসল্লিরা ময়দানের চারপাশের বাসাবাড়িতে বসে মুরুব্বিদের বয়ান শুনতে পারবেন। আগত মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো ময়দানে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক প্রায় আড়াইশ’ বিশেষ ছাতা মাইক, ৫০টি ইউনিসেফ (প্রতিধ্বনি প্রতিরোধক) মাইকসহ প্রায় সাড়ে তিনশ’টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের অবস্থান:
শুক্রবার ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হলেও গতকাল বুধবার থেকেই দেশি-বিদেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। কাজাখস্তানের মুসল্লি মোহাম্মেদ ডেনি বেক (৪৫) জানান, ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহকে রাজি খুশি করাতেই টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসেছি। এদিকে, জামালপুর থেকে ১৭ সদস্যের এক জামাত নিয়ে এসেছেন আদুস সামাদ (৬৫)। তিনি জানালেন, ইজতেমা ময়দানের মুরুব্বিদের বয়ান শুনে হেদায়েতের পথ পাওয়ার জন্য এসেছি। নীলফামারী থেকে ১৪ জনের দল নিয়ে এসেছেন মোস্তফা কামাল (৭৫)। তিনি বলেন, চিল্লা শেষে জামাতের সঙ্গে তিন দিনের ইজতেমায় এসেছেন। আখেরি মোনাজাত শেষে তিনি আবার চল্লিশ দিনের জন্য বের হবেন।
বিশেষ ট্রেন:
টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সুষ্ঠু যাতায়াতের জন্য ১৬টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১০ই জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী সব ট্রেন ৫ মিনিট পর্যন্ত টঙ্গী স্টেশনে দাঁড়াবে। সাপ্তাহিক বন্ধের সকল ট্রেনও ওই সময়ে চলাচল করবে। এ ছাড়াও প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হচ্ছে।