ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাপী বায়োমেট্রিক তথ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক
যত দিন যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বায়োমেট্রিক তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ততই বাড়ছে। মস্কোভিত্তিক অ্যান্টিভাইরাস সরবরাহকারী ও সাইবার সিকিউরিটি-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হ্যাকারদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে কার্যক্রম চালাচ্ছে, এমন প্রতি তিনটি বায়োমেট্রিক ফার্মের মধ্যে একটি চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ফলে আগামী দিনগুলোয় বায়োমেট্রিক তথ্যের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হাতের ছাপ, চোখের মণির ছাপ বা আইরিশ, মুখম-ল কিংবা কণ্ঠের নমুনা এগুলো একজন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত কিছু বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের এসব স্বতন্ত্র শারীরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্য কারোর সঙ্গে যার মিল নেই। এ কারণে ব্যক্তির পরিচয় নিরূপণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মানুষের কাছ থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা বিশ্বব্যাপী বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে পরিচিত। সংগৃহীত এসব তথ্য নিরাপদে রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বায়োমেট্রিক ডাটা ব্যবহার করে একজন মানুষের অজান্তে বিভিন্ন অপরাধ ঘটিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া সম্ভব। অথচ এসব তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে দিন দিন উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। ক্যাসপারস্কির জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক তথ্য-সংক্রান্ত প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথমে কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিপর্যায় থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় ধাপে সংগৃহীত তথ্য প্রক্রিয়া করা হয়। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিন্যস্ত করা হয়। তৃতীয় ধাপে বিন্যস্ত বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত থাকে কিছু প্রতিষ্ঠান। তিনটি ধাপের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার আক্রমণের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। সে হিসেবে প্রতি তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি সাইবার হামলাকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিং কিংবা সাইবার হামলার ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ক্যাসপারস্কি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিশ্বব্যাপী বায়োমেট্রিক তথ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে

আপলোড টাইম : ১০:০২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রযুক্তি ডেস্ক
যত দিন যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বায়োমেট্রিক তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ততই বাড়ছে। মস্কোভিত্তিক অ্যান্টিভাইরাস সরবরাহকারী ও সাইবার সিকিউরিটি-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হ্যাকারদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে কার্যক্রম চালাচ্ছে, এমন প্রতি তিনটি বায়োমেট্রিক ফার্মের মধ্যে একটি চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ফলে আগামী দিনগুলোয় বায়োমেট্রিক তথ্যের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হাতের ছাপ, চোখের মণির ছাপ বা আইরিশ, মুখম-ল কিংবা কণ্ঠের নমুনা এগুলো একজন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত কিছু বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের এসব স্বতন্ত্র শারীরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্য কারোর সঙ্গে যার মিল নেই। এ কারণে ব্যক্তির পরিচয় নিরূপণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মানুষের কাছ থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা বিশ্বব্যাপী বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে পরিচিত। সংগৃহীত এসব তথ্য নিরাপদে রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বায়োমেট্রিক ডাটা ব্যবহার করে একজন মানুষের অজান্তে বিভিন্ন অপরাধ ঘটিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া সম্ভব। অথচ এসব তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে দিন দিন উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। ক্যাসপারস্কির জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক তথ্য-সংক্রান্ত প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথমে কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিপর্যায় থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় ধাপে সংগৃহীত তথ্য প্রক্রিয়া করা হয়। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিন্যস্ত করা হয়। তৃতীয় ধাপে বিন্যস্ত বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত থাকে কিছু প্রতিষ্ঠান। তিনটি ধাপের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার আক্রমণের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। সে হিসেবে প্রতি তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি সাইবার হামলাকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিং কিংবা সাইবার হামলার ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ক্যাসপারস্কি।