ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিরল প্রজাতির তক্ষক উদ্ধার : বন বিভাগে অবমুক্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭
  • / ২১৮৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানকালে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকাল ৩টার দিকে পৌর শহরের হক পাড়ার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে সেলিমের বাড়িতে মাদকদ্রব্যের সন্ধানে নামে। তবে মাদকের অস্তিত্ব না পেলেও বাড়ির আঙিনা থেকে একটি বিরল প্রজাতির তক্ষক (কক্কর, টক্কা, গেকো গেকো) সাপ উদ্ধার করেন এসআই সুমন সরকার। পরে তা থানায় নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দিলে তারা সাপটিকে নিয়ে গিয়ে বন বিভাগের অভ্যন্তরে জঙ্গলে অবমুক্ত করেন।
চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামছুল হক জানান, ‘বুধবার বিকাল ৩টার দিকে থানা থেকে খবর আসে তারা একটি বিরল প্রজাতির সরিসৃপ প্রাণী তক্ষক সাপ উদ্ধার করেছে। তাৎক্ষণিক আমাদের সামাজিক বন বিভাগ চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর জোনের ফরেস্ট গার্ড নজরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক ও পিএম শফিকুল ইসলামকে সাপটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য পাঠায়। তারা সাপটিকে নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের অভ্যন্তরের জঙ্গলে অবমুক্ত করেন। সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১১ ইঞ্চি।’
বিরল এ জাতের সরিসৃপ নিধন করে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাণীটা পুরো গলিয়ে ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য ব্যাধির ওষুধ তৈরি করা হয়। এই প্রাণী কাউকে কামড় দেয়ার পর তার ঘা শুকিয়ে গেলে ওই ব্যক্তির শরীরে কোন ধরনের রোগ জীবাণু থাকবে না বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিরল প্রজাতির তক্ষক উদ্ধার : বন বিভাগে অবমুক্ত

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানকালে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকাল ৩টার দিকে পৌর শহরের হক পাড়ার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে সেলিমের বাড়িতে মাদকদ্রব্যের সন্ধানে নামে। তবে মাদকের অস্তিত্ব না পেলেও বাড়ির আঙিনা থেকে একটি বিরল প্রজাতির তক্ষক (কক্কর, টক্কা, গেকো গেকো) সাপ উদ্ধার করেন এসআই সুমন সরকার। পরে তা থানায় নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দিলে তারা সাপটিকে নিয়ে গিয়ে বন বিভাগের অভ্যন্তরে জঙ্গলে অবমুক্ত করেন।
চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামছুল হক জানান, ‘বুধবার বিকাল ৩টার দিকে থানা থেকে খবর আসে তারা একটি বিরল প্রজাতির সরিসৃপ প্রাণী তক্ষক সাপ উদ্ধার করেছে। তাৎক্ষণিক আমাদের সামাজিক বন বিভাগ চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর জোনের ফরেস্ট গার্ড নজরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক ও পিএম শফিকুল ইসলামকে সাপটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য পাঠায়। তারা সাপটিকে নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের অভ্যন্তরের জঙ্গলে অবমুক্ত করেন। সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১১ ইঞ্চি।’
বিরল এ জাতের সরিসৃপ নিধন করে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাণীটা পুরো গলিয়ে ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য ব্যাধির ওষুধ তৈরি করা হয়। এই প্রাণী কাউকে কামড় দেয়ার পর তার ঘা শুকিয়ে গেলে ওই ব্যক্তির শরীরে কোন ধরনের রোগ জীবাণু থাকবে না বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়।’