ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিনিময় গ্রহণ নাজায়েজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সামাজিক জীবনে নানা প্রয়োজনে অন্যের সহযোগিতার দরকার পড়ে। তবে এই সহযোগিতার বিনিময়ে কোনো কিছু গ্রহণ করার প্রবণতা ইসলামে কোনোভাবেই স্বীকৃত নয়। আল্লাহ যাকে মান-মর্যাদা দিয়েছেন, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি দিয়েছেন তারা মানুষের প্রয়োজনে কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক। এই সামান্য সহযোগিতা, মৌখিক অনুরোধ বা নির্দেশের জন্য বিনিময় নেয়া নৈতিক বিচারেও সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। এসব ক্ষেত্রে বিনিময় ইসলামের চোখেও ঘৃণিত। মানুষের উপকারে আসা, অন্যের জন্য কিছু করা এই তাগিদ ইসলামে জোরালোভাবে করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের উপকার করতে সক্ষম, সে যেন তা করে’ (মুসলিম)। যে ব্যক্তি তার পদের মাধ্যমে কোনো মুসলিম ভাইকে জুলুম থেকে রক্ষা করে কিংবা তার কোনো কল্যাণ সাধন করে এবং তা করতে গিয়ে কোনো হারাম উপায় অবলম্বন করে না বা কারো অধিকার ক্ষুণœ করে না সে ব্যক্তির নিয়ত বিশুদ্ধ হলে আল্লাহর কাছে সে পারিতোষিক পাওয়ার যোগ্য। রাসুল (সা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘তোমরা সুপারিশ কর, বিনিময়ে সাওয়াব পাবে’ (বুখারি)। এই সুপারিশ ও মধ্যস্থতার জন্য কোনো বিনিময় গ্রহণ করা জায়েজ নয়। হাদিসে আছে, ‘সুপারিশ করায় যে ব্যক্তি সুপারিশকারীকে উপহার দেয় এবং (তার থেকে) সে ওই উপহার গ্রহণ করে সে ব্যক্তি সুদের দুয়ারগুলোর মধ্যে একটি বৃহৎ দুয়ারে উপনীত হলো’ (আবু দাউদ)। আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ তাদের ক্ষমতার ব্যবহার করে কাউকে চাকরি পাইয়ে দেন, বদলি হওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন। এর জন্য চুক্তি করে টাকা-পয়সাও নেন। ইসলামে এটা হারাম। এমনকি না চাইলেও সুপারিশের বিনিময়ে কোনো হাদিয়া-উপঢৌকন এলে তা গ্রহণ করা যাবে না। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এ ধরনের মানবসেবামূলক কাজ করলে পরকালে তার জন্য অপেক্ষা করছে মহামুক্তি। তাই আমাদের সবার উচিত, সামান্য পার্থিব স্বার্থে আমরা যেন আখেরাতকে না হারিয়ে ফেলি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিনিময় গ্রহণ নাজায়েজ

আপলোড টাইম : ০২:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: সামাজিক জীবনে নানা প্রয়োজনে অন্যের সহযোগিতার দরকার পড়ে। তবে এই সহযোগিতার বিনিময়ে কোনো কিছু গ্রহণ করার প্রবণতা ইসলামে কোনোভাবেই স্বীকৃত নয়। আল্লাহ যাকে মান-মর্যাদা দিয়েছেন, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি দিয়েছেন তারা মানুষের প্রয়োজনে কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক। এই সামান্য সহযোগিতা, মৌখিক অনুরোধ বা নির্দেশের জন্য বিনিময় নেয়া নৈতিক বিচারেও সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। এসব ক্ষেত্রে বিনিময় ইসলামের চোখেও ঘৃণিত। মানুষের উপকারে আসা, অন্যের জন্য কিছু করা এই তাগিদ ইসলামে জোরালোভাবে করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের উপকার করতে সক্ষম, সে যেন তা করে’ (মুসলিম)। যে ব্যক্তি তার পদের মাধ্যমে কোনো মুসলিম ভাইকে জুলুম থেকে রক্ষা করে কিংবা তার কোনো কল্যাণ সাধন করে এবং তা করতে গিয়ে কোনো হারাম উপায় অবলম্বন করে না বা কারো অধিকার ক্ষুণœ করে না সে ব্যক্তির নিয়ত বিশুদ্ধ হলে আল্লাহর কাছে সে পারিতোষিক পাওয়ার যোগ্য। রাসুল (সা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘তোমরা সুপারিশ কর, বিনিময়ে সাওয়াব পাবে’ (বুখারি)। এই সুপারিশ ও মধ্যস্থতার জন্য কোনো বিনিময় গ্রহণ করা জায়েজ নয়। হাদিসে আছে, ‘সুপারিশ করায় যে ব্যক্তি সুপারিশকারীকে উপহার দেয় এবং (তার থেকে) সে ওই উপহার গ্রহণ করে সে ব্যক্তি সুদের দুয়ারগুলোর মধ্যে একটি বৃহৎ দুয়ারে উপনীত হলো’ (আবু দাউদ)। আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ তাদের ক্ষমতার ব্যবহার করে কাউকে চাকরি পাইয়ে দেন, বদলি হওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন। এর জন্য চুক্তি করে টাকা-পয়সাও নেন। ইসলামে এটা হারাম। এমনকি না চাইলেও সুপারিশের বিনিময়ে কোনো হাদিয়া-উপঢৌকন এলে তা গ্রহণ করা যাবে না। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এ ধরনের মানবসেবামূলক কাজ করলে পরকালে তার জন্য অপেক্ষা করছে মহামুক্তি। তাই আমাদের সবার উচিত, সামান্য পার্থিব স্বার্থে আমরা যেন আখেরাতকে না হারিয়ে ফেলি।