ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চার সন্তানের জননীর মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা কুকিয়াচাঁদপুরে গ্রিলের দরজা খুলতে গিয়ে বিপত্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুকিয়াচাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মনোয়ারা খাতুন (৪৫) নামের চার সন্তানের জননীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের এ ঘটনা ঘটে। মনোয়ারা খাতুন সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের কুকিয়াচাঁদপুর গ্রামের দসু মোল্লার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে কোনো এক সময় নিজ বাড়ির গ্রিলের সঙ্গে থাকা বৈদ্যুতিক তার লিক হয়ে পুরো গ্রিলের দরজাটি বিদ্যুৎতায়িত হয়। এ সময় মনোয়ারা খাতুন গ্রিলের দরজা খুলতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গ্রিল ধরেই দাঁড়িয়ে থাকেন। বিষয়টি পরিবারের লোকজন টের পেলে বাড়ির বৈদ্যুতিক মেইন সুইস বন্ধ করে মনোয়ারা খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনোয়ারা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, মনোয়ারা খাতুনের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। চার ছেলে-মেয়ে মাকে হারিয়ে পাগল প্রায়। মনোয়ারা খাতুনের মরদেহ বাড়িতে নিলে আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। ছোট ছেলে মধু কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে গেছেন কয়েকবার।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিতসক ডা. সাজিদ হোসেন বলেন, পরিবারের দাবি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই মনোয়ারা খাতুনের মৃত্যু হয় বলে জানান এই চিকিৎসক। এদিকে, গতকাল রাতেই মনোয়ারা খাতুনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চার সন্তানের জননীর মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ১১:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

চুয়াডাঙ্গা কুকিয়াচাঁদপুরে গ্রিলের দরজা খুলতে গিয়ে বিপত্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুকিয়াচাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মনোয়ারা খাতুন (৪৫) নামের চার সন্তানের জননীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের এ ঘটনা ঘটে। মনোয়ারা খাতুন সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের কুকিয়াচাঁদপুর গ্রামের দসু মোল্লার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে কোনো এক সময় নিজ বাড়ির গ্রিলের সঙ্গে থাকা বৈদ্যুতিক তার লিক হয়ে পুরো গ্রিলের দরজাটি বিদ্যুৎতায়িত হয়। এ সময় মনোয়ারা খাতুন গ্রিলের দরজা খুলতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গ্রিল ধরেই দাঁড়িয়ে থাকেন। বিষয়টি পরিবারের লোকজন টের পেলে বাড়ির বৈদ্যুতিক মেইন সুইস বন্ধ করে মনোয়ারা খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনোয়ারা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, মনোয়ারা খাতুনের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। চার ছেলে-মেয়ে মাকে হারিয়ে পাগল প্রায়। মনোয়ারা খাতুনের মরদেহ বাড়িতে নিলে আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। ছোট ছেলে মধু কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে গেছেন কয়েকবার।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিতসক ডা. সাজিদ হোসেন বলেন, পরিবারের দাবি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই মনোয়ারা খাতুনের মৃত্যু হয় বলে জানান এই চিকিৎসক। এদিকে, গতকাল রাতেই মনোয়ারা খাতুনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।