ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদ্যালয় ছেড়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছে তিন ছাত্রী : মাঠে নেমেছে তদন্ত কমিটি; মিলেছে সত্যতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮
  • / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

গাংনীর নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রধান শিক্ষকের অশালীন আচরণে বিদ্যালয় বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
গাংনী অফিস: গাংনীর নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরনের অভিযোগ তুলেছে ক্ষোদ স্কুলের ছাত্রীরা। আর এ কারণে বিদ্যালয় বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তারা পার্শ্ববর্তী বিকল্প কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর তিন স্কুলছাত্রী বিদ্যালয় ছেড়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে তারা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গেলেও হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখানো হয়েছে তাদের। ভুক্তভোগীরা চার দিন যাবৎ স্কুলে না গেলেও কি কারনে তাদের হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখানো হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষকরা জানায়, অনুপস্থিত থাকলে উপবৃত্তি উত্তোলনে ঝামেলা হবে, সে কারনে তারা উপস্থিত দেখায়। এছাড়াও তারা কি কারনে স্কুলে আসছেনা এ ব্যাপারে হোম ওয়ার্ক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শিক্ষকরা উত্তরে বলেন, না। অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে থাকলে বিদ্যালয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে সেই সাথে শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়বে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি, এমনটি দাবী এলাকার শিক্ষানুরাগী সচেতন মহলের। বিষয়টি এখন টক অব দ্যা ভিলেজে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় তদন্ত টিম অভিযোগ কারিদের সাথে কথা বলেন এবং প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারি কর্মকর্তা সহকারি শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসান। ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নওপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুল গত ১৪ই মার্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমনা, ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী আজমিনা, চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়াকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে অশালিন আচরন করতো। প্রধান শিক্ষকের আচরনে বিরক্তি হয়ে ছাত্রীরা শিক্ষিকাদের সরনাপন্ন হয়। শিক্ষিকারা বিষয়টি ধামাচাপা দিলে তারা তাদের অভিভাবকদের জানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা মানসম্মানের ভয়ে তাদের মেয়েদের উক্ত স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি করেছে। অভিভাবকদের মধ্যে এবং এলাকায় জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে উইপ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা সোমবার সন্ধায় সাজদার আলীর শিশুকন্যা ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমনার বাড়িতে গিয়ে স্কুল ছাত্রী সুমনা ও পিতা সাজদারের সাথে কথা বলেন। সাজদার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ে ৫ম শ্রেনীতে পড়ে। আমি আমার মেয়ে ও তার সহপাঠিদের সাথে বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েকে স্থানীয় ব্রাইট স্টার প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করেছি। লম্পট প্রধান শিক্ষকের বিচার না হলে ঐ স্কুলে আর পড়তে দেবনা। এমন কথা জানালেন, তোফাজ্জেল হোসেনের শিশু কন্যা ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়ার ছোট চাচা সুজাউদ্দিন। তিনি জানান, আমার বড় ভায়ের মেয়ে মারিয়া আমাকে আমাদের বাড়িতে বিষয়টি জানায়। আমরা জানতে পেরে তিন দিন স্কুলে যেতে নিষেধ করেছি। তাকেও ঐ স্কুলে আর পাঠাবনা। তবে মারিয়ার বাড়িতে গিয়ে বাড়িটি তালা বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রতিবেশিরা জানায়, মারিয়া তার নানি বাড়ি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছে। মারিয়ার পিতা এলাকার বাইরে থাকায় মারিয়ার ছোট চাচা তাদের দেখা শোনা করেন। তিনি বলেন, ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে আমাদের মেয়ে নিরপদ নয়। তাই তাকে স্কুলে পাঠাবো না। ৫ম শ্রেনীর আরেক ছাত্রী সামিয়া খাতুন জানায়, আমাদের কোচিং করানোর সময় প্রধান শিক্ষক বকুল আমাদের শরীরে হাত দিয়ে আমাদের বিরক্ত করেন। আমরা বিষয়টি স্কুলের ম্যাডামদের জানিয়েছি । তাতে লাভ হয়নি। ঐ শিক্ষক থাকালে আমরা আর স্কুলে পড়ব না। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল সাত্তার বলেন, আমরা ৫/৬ দিন ধরে এলাকায় গুঞ্জন শুনছি। প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক উদ্দিন জানান, আমি বিষয়টি ইউএনও সাহেবের কাছ থেকে শুনেছি। তবে অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুল জানায়, আমি ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়েছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। আমি ২৯/০১/২০১৫ ইং তারিখে এ স্কুলে যোগদান করে শিক্ষার মান উন্নয়ন হয়েছে, এবং স্কুলের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। ইর্শান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেন প্রধান শিক্ষক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল জানান, বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি, এখনও লিখিত অভিযোগ পায়নি। তবে- যে স্কুলের শিক্ষকের কাছে সন্তান তুল্ল শিশুরা নিরাপদ নয়, অভিযোগ প্রমানিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তার জন্য সহকারি শিক্ষা অফিসার ফায়সাল বিন হাসান ও সহকারি শিক্ষা অফিসার তাজমিরা খাতুনকে তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ২ দিনের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন প্রেরন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে তদন্তের কাজে সহযোগীতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর সাত্তার ও স্থানীয় ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে তদন্ত কাজ চলছে। তবে অভিযোগ কারিদের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে সত্য বলে মন্তব্য করেছেন এ সকল কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিদ্যালয় ছেড়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছে তিন ছাত্রী : মাঠে নেমেছে তদন্ত কমিটি; মিলেছে সত্যতা

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮

গাংনীর নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রধান শিক্ষকের অশালীন আচরণে বিদ্যালয় বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
গাংনী অফিস: গাংনীর নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরনের অভিযোগ তুলেছে ক্ষোদ স্কুলের ছাত্রীরা। আর এ কারণে বিদ্যালয় বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তারা পার্শ্ববর্তী বিকল্প কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর তিন স্কুলছাত্রী বিদ্যালয় ছেড়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে তারা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গেলেও হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখানো হয়েছে তাদের। ভুক্তভোগীরা চার দিন যাবৎ স্কুলে না গেলেও কি কারনে তাদের হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখানো হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষকরা জানায়, অনুপস্থিত থাকলে উপবৃত্তি উত্তোলনে ঝামেলা হবে, সে কারনে তারা উপস্থিত দেখায়। এছাড়াও তারা কি কারনে স্কুলে আসছেনা এ ব্যাপারে হোম ওয়ার্ক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শিক্ষকরা উত্তরে বলেন, না। অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে থাকলে বিদ্যালয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে সেই সাথে শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়বে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি, এমনটি দাবী এলাকার শিক্ষানুরাগী সচেতন মহলের। বিষয়টি এখন টক অব দ্যা ভিলেজে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় তদন্ত টিম অভিযোগ কারিদের সাথে কথা বলেন এবং প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারি কর্মকর্তা সহকারি শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসান। ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নওপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুল গত ১৪ই মার্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমনা, ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী আজমিনা, চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়াকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে অশালিন আচরন করতো। প্রধান শিক্ষকের আচরনে বিরক্তি হয়ে ছাত্রীরা শিক্ষিকাদের সরনাপন্ন হয়। শিক্ষিকারা বিষয়টি ধামাচাপা দিলে তারা তাদের অভিভাবকদের জানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা মানসম্মানের ভয়ে তাদের মেয়েদের উক্ত স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি করেছে। অভিভাবকদের মধ্যে এবং এলাকায় জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে উইপ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা সোমবার সন্ধায় সাজদার আলীর শিশুকন্যা ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমনার বাড়িতে গিয়ে স্কুল ছাত্রী সুমনা ও পিতা সাজদারের সাথে কথা বলেন। সাজদার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ে ৫ম শ্রেনীতে পড়ে। আমি আমার মেয়ে ও তার সহপাঠিদের সাথে বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েকে স্থানীয় ব্রাইট স্টার প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করেছি। লম্পট প্রধান শিক্ষকের বিচার না হলে ঐ স্কুলে আর পড়তে দেবনা। এমন কথা জানালেন, তোফাজ্জেল হোসেনের শিশু কন্যা ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়ার ছোট চাচা সুজাউদ্দিন। তিনি জানান, আমার বড় ভায়ের মেয়ে মারিয়া আমাকে আমাদের বাড়িতে বিষয়টি জানায়। আমরা জানতে পেরে তিন দিন স্কুলে যেতে নিষেধ করেছি। তাকেও ঐ স্কুলে আর পাঠাবনা। তবে মারিয়ার বাড়িতে গিয়ে বাড়িটি তালা বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রতিবেশিরা জানায়, মারিয়া তার নানি বাড়ি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছে। মারিয়ার পিতা এলাকার বাইরে থাকায় মারিয়ার ছোট চাচা তাদের দেখা শোনা করেন। তিনি বলেন, ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে আমাদের মেয়ে নিরপদ নয়। তাই তাকে স্কুলে পাঠাবো না। ৫ম শ্রেনীর আরেক ছাত্রী সামিয়া খাতুন জানায়, আমাদের কোচিং করানোর সময় প্রধান শিক্ষক বকুল আমাদের শরীরে হাত দিয়ে আমাদের বিরক্ত করেন। আমরা বিষয়টি স্কুলের ম্যাডামদের জানিয়েছি । তাতে লাভ হয়নি। ঐ শিক্ষক থাকালে আমরা আর স্কুলে পড়ব না। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল সাত্তার বলেন, আমরা ৫/৬ দিন ধরে এলাকায় গুঞ্জন শুনছি। প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক উদ্দিন জানান, আমি বিষয়টি ইউএনও সাহেবের কাছ থেকে শুনেছি। তবে অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুল জানায়, আমি ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়েছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। আমি ২৯/০১/২০১৫ ইং তারিখে এ স্কুলে যোগদান করে শিক্ষার মান উন্নয়ন হয়েছে, এবং স্কুলের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। ইর্শান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেন প্রধান শিক্ষক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল জানান, বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি, এখনও লিখিত অভিযোগ পায়নি। তবে- যে স্কুলের শিক্ষকের কাছে সন্তান তুল্ল শিশুরা নিরাপদ নয়, অভিযোগ প্রমানিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তার জন্য সহকারি শিক্ষা অফিসার ফায়সাল বিন হাসান ও সহকারি শিক্ষা অফিসার তাজমিরা খাতুনকে তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ২ দিনের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন প্রেরন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে তদন্তের কাজে সহযোগীতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর সাত্তার ও স্থানীয় ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে তদন্ত কাজ চলছে। তবে অভিযোগ কারিদের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে সত্য বলে মন্তব্য করেছেন এ সকল কর্মকর্তা।