ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিচারক হিসেবে প্রিয় নবীর অবদান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩১৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সমাজ জীবনে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ ও বিবাদ-বিসংবাদ ঘটতে পারে। এর ফলে যাতে কোনো রকম সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য নবী করিম (সা.) বিচার ব্যবস্থাতেও তার অনুপম আদর্শ রেখে গেছেন। পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী নবী করিম (সা.) কারো দ্বারা মনোনীত বিচারক ছিলেন না। তাঁকে বিচারক হিসেবে মনোনীত করেছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। কোরানে কারিমে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘(হে নবী), আমি সত্যসহকারে আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছি যাতে আপনি আল্লাহর দেখানো মুক্তির আলোকে বিচার-আচার করতে পারেন।’ Ñ(সূরা নিসা : ১০৫) উপরোক্ত আয়াতে কারিমা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বনিয়োজিত বা কারো দ্বারা নির্বাচিত বিচারক ছিলেন না। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহ কর্তৃক নিযুক্ত বিচারক। আর বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব রিসালাতের দায়িত্ব হতে আলাদা ও বিচ্ছিন্ন ছিল না। রাসুলকে বিচারক হিসেবে না মানা মুমিনের কাজ নয়, বরং তা মুনাফিকের কাজ। সুষ্ঠুভাবে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বিচারককে অবশ্যই কতগুলো নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। এর জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছেন নবী মুস্তফা (সা.)। তিনি বিচারকাজে সর্বপ্রকার স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থাকতেন। বিচার করার সময় বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষের কথাবার্তা যথাযথ শুনে এবং এর পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করে ফায়সালা প্রদান করা নবী করিম (সা.)-এর বিচারব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিচারক হিসেবে প্রিয় নবীর অবদান

আপলোড টাইম : ১০:৫২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: সমাজ জীবনে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ ও বিবাদ-বিসংবাদ ঘটতে পারে। এর ফলে যাতে কোনো রকম সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য নবী করিম (সা.) বিচার ব্যবস্থাতেও তার অনুপম আদর্শ রেখে গেছেন। পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী নবী করিম (সা.) কারো দ্বারা মনোনীত বিচারক ছিলেন না। তাঁকে বিচারক হিসেবে মনোনীত করেছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। কোরানে কারিমে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘(হে নবী), আমি সত্যসহকারে আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছি যাতে আপনি আল্লাহর দেখানো মুক্তির আলোকে বিচার-আচার করতে পারেন।’ Ñ(সূরা নিসা : ১০৫) উপরোক্ত আয়াতে কারিমা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বনিয়োজিত বা কারো দ্বারা নির্বাচিত বিচারক ছিলেন না। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহ কর্তৃক নিযুক্ত বিচারক। আর বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব রিসালাতের দায়িত্ব হতে আলাদা ও বিচ্ছিন্ন ছিল না। রাসুলকে বিচারক হিসেবে না মানা মুমিনের কাজ নয়, বরং তা মুনাফিকের কাজ। সুষ্ঠুভাবে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বিচারককে অবশ্যই কতগুলো নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। এর জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছেন নবী মুস্তফা (সা.)। তিনি বিচারকাজে সর্বপ্রকার স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থাকতেন। বিচার করার সময় বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষের কথাবার্তা যথাযথ শুনে এবং এর পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করে ফায়সালা প্রদান করা নবী করিম (সা.)-এর বিচারব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল।