ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতাকর্মি আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১৮
  • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় নাশকতার অভিযোগে পুলিশের অভিযান
ডেস্ক রিপোর্ট: চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতাকর্মিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সময়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চলিয়ে নাশকতা প্রস্তুতির মামলায় বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিন বিএনপি নেতা কর্মিকে আটক করেছে। পুলিশ বলছে, আটককৃতরা চুয়াডাঙ্গা সদরসহ কুতুবপুর গ্রামে নাশকতা প্রস্তুতির মামলার আসামী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটককৃতদের আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজাতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গার সদর থানার একটি টিম এসকল আসামীদের বসত বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন। আটককৃতরা হল- বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলী হোসেন (৫৮), থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হিজলগাড়ী এলাকার হাজী মীর লিয়াকত (৬১) ও চুয়াডাঙ্গা সবুজ পড়ার ছোটন (২৪)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টিম সোমবার দিবাগত গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সবুজপাড়া ও সদর উপজেলার নেহালপুরসহ হিজলগাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে নাশকতা প্রস্তুতি মামলার তিন আসামী নেহালপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় বিএনপি নেতা আলী হোসেন ও হিজলগাড়ী এলাকার মৃত মকছেদ আলীর ছেলে চুয়াডাঙ্গা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মীর লিয়াকত ও পৌর সহরের সবুজ পাড়ার আকবর আলীর ছেলে ছোটনকে আটক করেন। পুলিশের দাবি আটককৃতরা চুয়াডাঙ্গা সদরসহ কুতুবপুর গ্রামের হাইস্কুলের পাশে একটি বাগানে নাশকতা প্রস্তুতি মামলার আসামী। পরে আটককৃত আসামীদের আজ সকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত আটককৃত আসামীদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শিমরান হোটেলের সামনে থেকে বেগমপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাশকতার মামলায় তাকে আটক করা হয়। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে পুলিশ জানিয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতা অপচেষ্টা পরিকল্পনা মামলায় জড়িত সন্দেহে ৬ জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকে আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জ পাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে বিএনপি নেতা জনি (২৫), হাটবোয়ালিয়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে বিএনপি নেতা জান মোহাম্মদ (৫০), আইলহাঁস ইউনিয়নের খাসবাগুন্দা গ্রামের মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে রেজাউল করীম (৪৫), কালিদাসপুর গ্রামের মৃত আজিবার রহমানের ছেলে বিএনপি নেতা সেলিম (৫০), কুমারী ইউনিয়নের কামালপুর চরপাড়ার মৃত মোফাজ্জেল মন্ডলের ছেলে বিএনপি নেতা শাকের আলী (৬০), ডাউকি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে বিএনপি নেতা এসএম সাইফুল ইসলামকে (৪২) আটক করে। গতকাল বিকালে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ নাশকতা অপচেষ্টা পরিকল্পনা মামলায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করে নিয়ে আসে। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতাকর্মি আটক

আপলোড টাইম : ০৫:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় নাশকতার অভিযোগে পুলিশের অভিযান
ডেস্ক রিপোর্ট: চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতাকর্মিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সময়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চলিয়ে নাশকতা প্রস্তুতির মামলায় বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিন বিএনপি নেতা কর্মিকে আটক করেছে। পুলিশ বলছে, আটককৃতরা চুয়াডাঙ্গা সদরসহ কুতুবপুর গ্রামে নাশকতা প্রস্তুতির মামলার আসামী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটককৃতদের আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজাতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গার সদর থানার একটি টিম এসকল আসামীদের বসত বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন। আটককৃতরা হল- বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলী হোসেন (৫৮), থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হিজলগাড়ী এলাকার হাজী মীর লিয়াকত (৬১) ও চুয়াডাঙ্গা সবুজ পড়ার ছোটন (২৪)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টিম সোমবার দিবাগত গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সবুজপাড়া ও সদর উপজেলার নেহালপুরসহ হিজলগাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে নাশকতা প্রস্তুতি মামলার তিন আসামী নেহালপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় বিএনপি নেতা আলী হোসেন ও হিজলগাড়ী এলাকার মৃত মকছেদ আলীর ছেলে চুয়াডাঙ্গা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মীর লিয়াকত ও পৌর সহরের সবুজ পাড়ার আকবর আলীর ছেলে ছোটনকে আটক করেন। পুলিশের দাবি আটককৃতরা চুয়াডাঙ্গা সদরসহ কুতুবপুর গ্রামের হাইস্কুলের পাশে একটি বাগানে নাশকতা প্রস্তুতি মামলার আসামী। পরে আটককৃত আসামীদের আজ সকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত আটককৃত আসামীদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শিমরান হোটেলের সামনে থেকে বেগমপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাশকতার মামলায় তাকে আটক করা হয়। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে পুলিশ জানিয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতা অপচেষ্টা পরিকল্পনা মামলায় জড়িত সন্দেহে ৬ জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকে আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জ পাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে বিএনপি নেতা জনি (২৫), হাটবোয়ালিয়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে বিএনপি নেতা জান মোহাম্মদ (৫০), আইলহাঁস ইউনিয়নের খাসবাগুন্দা গ্রামের মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে রেজাউল করীম (৪৫), কালিদাসপুর গ্রামের মৃত আজিবার রহমানের ছেলে বিএনপি নেতা সেলিম (৫০), কুমারী ইউনিয়নের কামালপুর চরপাড়ার মৃত মোফাজ্জেল মন্ডলের ছেলে বিএনপি নেতা শাকের আলী (৬০), ডাউকি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে বিএনপি নেতা এসএম সাইফুল ইসলামকে (৪২) আটক করে। গতকাল বিকালে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ নাশকতা অপচেষ্টা পরিকল্পনা মামলায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করে নিয়ে আসে। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে।