ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিএনপিতে শুরু হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২১০ বার পড়া হয়েছে

তৈরি হচ্ছে নিষ্ক্রিয়, সুবিধাবাদী ও সরকারের সঙ্গে আঁতাতকারীদের তালিকা
সমীকরণ প্রতিবেদন:
বিএনপিতেও শুরু হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান। নিষ্ক্রিয়, সুবিধাবাদী ও সরকারের সঙ্গে আঁতাতকারীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে কমিটি করার অভিযোগ আছে, তাদেরও তালিকাভুক্ত করা হবে। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। ভবিষ্যতেও তারা পাবে না গুরুত্বপূর্ণ পদ। হাইকমান্ডের এমন সিদ্ধান্তে আতঙ্কে আছেন নিষ্ক্রিয় ও আঁতাতকারীরা। তারা নিজেদের বাঁচাতে একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক নেতা আমান উল্লাহ আমান আদালতে যাওয়ায় সংগঠনটির কাউন্সিল সাময়িক স্থগিত হয়ে যায়। এরপরই দলে শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি জোরালো আলোচনায় আসে। আমানের পেছনে দলের কোন কোন নেতার হাত আছে, তাদের ব্যাপারে এরই মধ্যে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছে হাইকমান্ড। পর্যায়ক্রমে সবার আমলনামা তৈরি করা হবে। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা জানান, নিষ্ক্রিয় ও আঁতাতকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হাইকমান্ডকে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ের গোপন তথ্য পাচার, সরকারের সঙ্গে আঁতাত, টাকার বিনিময়ে কমিটিতে স্থান দেয়াসহ অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা হয়েছিল। এসব অনিয়মের বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো অনেককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অতীতে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলে দলের ক্ষতি করার সাহস পেত না বলে মনে করেন তারা।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি অতীতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। সরকার বিএনপিকে ভাঙতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। এখনও তা অব্যাহত আছে। অসংখ্য মামলা, শত নির্যাতন সত্ত্বেও একজন নেতাও বিএনপি ছেড়ে যায়নি। তিনি বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবার উচিত হবে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দলে বিভক্তি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু সুবিধাবাদী একটি গ্রুপ সবসময় সক্রিয় রয়েছে। দলের চেয়ে তারা ব্যক্তিস্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছেন। সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে দিব্যি ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় না থেকেও হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নিচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ। এমনকি মনোনয়নও। কিন্তু যখন তাদের চাওয়া-পাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে, তখনই দলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র শুরু করেন। যার সর্বশেষ সংস্করণ আমান উল্লাহ আমান। সুবিধাবাদীরা যখন মনে করছে ছাত্রদলে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাচ্ছে, তখনই সুনির্দিষ্ট নীলনকশা নিয়ে মাঠে নামে। দলের পুনর্গঠন বাধাগ্রস্ত করতে তারা সরকারের সঙ্গে হাত মেলাতেও দ্বিধা করেননি বলে অভিযোগ আছে। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতাদেশের পেছনে সরকারের হাত ছিল, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে দলের ভেতরেই লুকিয়ে থাকা সুযোগসন্ধানীরা। আমান যদি আদালতে না যেত, তাহলে সরকার আদালতকে ব্যবহার করে এমন আদেশ করাতে পারত না। তাই সরকারকে দোষ দেয়ার পাশাপাশি দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা এসব মীরজাফরকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। শুধু চিহ্নিত করলেই হবে না, তাদের দল থেকে অপসারণেরও দাবি উঠেছে। ভবিষ্যতে এসব সুবিধাবাদী যাতে দলে কোনো জায়গায় নেতৃত্বে আসতে না পারে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। মীরজাফরদের দলে জায়গা নেই- এমন একটি বার্তা সবখানে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে ঘাপটি মেরে থাকা কথিত নেতাকর্মীরা সাবধান হোন এবং নিজেদের শুধরে নেন।
জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ছাত্রদলের নির্বাচিত রিজভী-ইলিয়াস আলীর কমিটি যারা ওই সময় ভেঙে দিয়ে সংগঠনের নেতৃত্ব কব্জায় নিয়েছিল, তারাই বিভিন্ন সময়ে দলে বিভাজন ও অনৈক্য সৃষ্টি করেছে। একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন শুধু ছাত্রদল নয়, অন্যান্য অঙ্গসংগঠনও জিম্মি করে রেখেছিল। তাদের হাত থেকে সংগঠনকে বাঁচাতে দল যখন ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়, ঠিক সেই সময় আবার সক্রিয় হয়ে উঠে ওই সিন্ডিকেট। সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের ইন্ধনেই ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত হয়েছিল। তিনি বলেন, এসব সুযোগসন্ধানী নেতার কারণেই দলের আজ এ অবস্থা। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে দলকে বিক্রি করে দিতেও তারা দ্বিধাবোধ করছে না। তাই এখন সময় এসেছে আঁতাতকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার। ছাত্রদলের কাউন্সিল সাময়িক স্থগিত হওয়ার পর আমানের পেছনে কারা আছেন, তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুধু তাদের নয়, যারাই নিষ্ক্রিয় এবং সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে দলের ক্ষতি করছেন, তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে। এদের ব্যাপারে হাইকমান্ড কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করি।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন বলেন, ওয়ান-ইলেভেনে যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তারা এখনও সক্রিয়। সুযোগ পেলেই তারা দলের ক্ষতি করবে। এসব সুবিধাবাদীকে যাতে দলে জায়গা দেয়া না হয়, সেজন্য আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মী বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাদের ঠিকই দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পদও দেয়া হয়। তিনি বলেন, এখনও সময় আছে দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা এসব নেতাকর্মীকে চিহ্নিত করে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে দলকে আরও মাশুল দিতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিএনপিতে শুরু হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান

আপলোড টাইম : ১১:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

তৈরি হচ্ছে নিষ্ক্রিয়, সুবিধাবাদী ও সরকারের সঙ্গে আঁতাতকারীদের তালিকা
সমীকরণ প্রতিবেদন:
বিএনপিতেও শুরু হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান। নিষ্ক্রিয়, সুবিধাবাদী ও সরকারের সঙ্গে আঁতাতকারীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে কমিটি করার অভিযোগ আছে, তাদেরও তালিকাভুক্ত করা হবে। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। ভবিষ্যতেও তারা পাবে না গুরুত্বপূর্ণ পদ। হাইকমান্ডের এমন সিদ্ধান্তে আতঙ্কে আছেন নিষ্ক্রিয় ও আঁতাতকারীরা। তারা নিজেদের বাঁচাতে একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক নেতা আমান উল্লাহ আমান আদালতে যাওয়ায় সংগঠনটির কাউন্সিল সাময়িক স্থগিত হয়ে যায়। এরপরই দলে শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি জোরালো আলোচনায় আসে। আমানের পেছনে দলের কোন কোন নেতার হাত আছে, তাদের ব্যাপারে এরই মধ্যে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছে হাইকমান্ড। পর্যায়ক্রমে সবার আমলনামা তৈরি করা হবে। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা জানান, নিষ্ক্রিয় ও আঁতাতকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হাইকমান্ডকে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ের গোপন তথ্য পাচার, সরকারের সঙ্গে আঁতাত, টাকার বিনিময়ে কমিটিতে স্থান দেয়াসহ অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা হয়েছিল। এসব অনিয়মের বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো অনেককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অতীতে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলে দলের ক্ষতি করার সাহস পেত না বলে মনে করেন তারা।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি অতীতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। সরকার বিএনপিকে ভাঙতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। এখনও তা অব্যাহত আছে। অসংখ্য মামলা, শত নির্যাতন সত্ত্বেও একজন নেতাও বিএনপি ছেড়ে যায়নি। তিনি বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবার উচিত হবে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দলে বিভক্তি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু সুবিধাবাদী একটি গ্রুপ সবসময় সক্রিয় রয়েছে। দলের চেয়ে তারা ব্যক্তিস্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছেন। সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে দিব্যি ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় না থেকেও হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নিচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ। এমনকি মনোনয়নও। কিন্তু যখন তাদের চাওয়া-পাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে, তখনই দলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র শুরু করেন। যার সর্বশেষ সংস্করণ আমান উল্লাহ আমান। সুবিধাবাদীরা যখন মনে করছে ছাত্রদলে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাচ্ছে, তখনই সুনির্দিষ্ট নীলনকশা নিয়ে মাঠে নামে। দলের পুনর্গঠন বাধাগ্রস্ত করতে তারা সরকারের সঙ্গে হাত মেলাতেও দ্বিধা করেননি বলে অভিযোগ আছে। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতাদেশের পেছনে সরকারের হাত ছিল, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে দলের ভেতরেই লুকিয়ে থাকা সুযোগসন্ধানীরা। আমান যদি আদালতে না যেত, তাহলে সরকার আদালতকে ব্যবহার করে এমন আদেশ করাতে পারত না। তাই সরকারকে দোষ দেয়ার পাশাপাশি দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা এসব মীরজাফরকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। শুধু চিহ্নিত করলেই হবে না, তাদের দল থেকে অপসারণেরও দাবি উঠেছে। ভবিষ্যতে এসব সুবিধাবাদী যাতে দলে কোনো জায়গায় নেতৃত্বে আসতে না পারে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। মীরজাফরদের দলে জায়গা নেই- এমন একটি বার্তা সবখানে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে ঘাপটি মেরে থাকা কথিত নেতাকর্মীরা সাবধান হোন এবং নিজেদের শুধরে নেন।
জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ছাত্রদলের নির্বাচিত রিজভী-ইলিয়াস আলীর কমিটি যারা ওই সময় ভেঙে দিয়ে সংগঠনের নেতৃত্ব কব্জায় নিয়েছিল, তারাই বিভিন্ন সময়ে দলে বিভাজন ও অনৈক্য সৃষ্টি করেছে। একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন শুধু ছাত্রদল নয়, অন্যান্য অঙ্গসংগঠনও জিম্মি করে রেখেছিল। তাদের হাত থেকে সংগঠনকে বাঁচাতে দল যখন ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়, ঠিক সেই সময় আবার সক্রিয় হয়ে উঠে ওই সিন্ডিকেট। সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের ইন্ধনেই ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত হয়েছিল। তিনি বলেন, এসব সুযোগসন্ধানী নেতার কারণেই দলের আজ এ অবস্থা। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে দলকে বিক্রি করে দিতেও তারা দ্বিধাবোধ করছে না। তাই এখন সময় এসেছে আঁতাতকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার। ছাত্রদলের কাউন্সিল সাময়িক স্থগিত হওয়ার পর আমানের পেছনে কারা আছেন, তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুধু তাদের নয়, যারাই নিষ্ক্রিয় এবং সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে দলের ক্ষতি করছেন, তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে। এদের ব্যাপারে হাইকমান্ড কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করি।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন বলেন, ওয়ান-ইলেভেনে যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তারা এখনও সক্রিয়। সুযোগ পেলেই তারা দলের ক্ষতি করবে। এসব সুবিধাবাদীকে যাতে দলে জায়গা দেয়া না হয়, সেজন্য আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মী বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাদের ঠিকই দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পদও দেয়া হয়। তিনি বলেন, এখনও সময় আছে দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা এসব নেতাকর্মীকে চিহ্নিত করে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে দলকে আরও মাশুল দিতে হবে।