ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বায়ু দূষণে এখনো কুয়াশাচ্ছন্ন দিল্লি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২১৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক
ভয়াবহ বায়ু দূষণে ভারতের রাজধানী দিল্লি এখনো কুয়াশাচ্ছন্ন। ঘর থেকে বের হলেই চোখ জ্বলছে। বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে হচ্ছে প্রবল কাশি, সঙ্গে বাড়তি উপসর্গ হিসেবে গলা বসে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দিল্লির স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে দিল্লির বাতাসের মান সংক্রান্ত সূচক (একিউআই) ছিল ৪৫০ এর কাছাকাছি। সাধারণত এই সূচক ২০০ ছাড়িয়ে গেলেই মানুষের শরীরে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। আবহাওয়া দফতরও জানিয়েছে, রবিবারের আগে দূষণ পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ হাওয়ার গতিবেগ খুবই কম। রবিবার থেকে হাওয়ার গতিবেগ বাড়লে তবেই দূষণ কমবে। সরকারি উপাত্ত অনুযায়ী শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় দিল্লির সার্বিক বাতাসের একিউআই ছিল ৪২৭। তবে আনন্দবিহারে এই মাত্রা ছিল ৪৬৪। দিল্লির স্যাটেলাইট শহর গাজিয়াবাদে ৪৯৬, বৃহত্তর নইডায় ৪৯৬ এবং নইডায় ছিল ৪৯৯। শুক্রবার এই মাত্রা রেকর্ড লেভেলে পৌঁছায়। দিল্লির বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে, খারাপ রাস্তা, রাস্তার ধূলা, বর্জ্য পোঁড়ানো, অতিরিক্ত যানবাহন ও জ্যাম, অবকাঠামো নির্মাণ। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন, দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য পার্শ্ববর্তী দুই রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানাও দায়ী। এই দুই রাজ্যের প্রশাসন কৃষকদের শস্যের উচ্ছিষ্ট পোড়াতে বাধ্য করায় এই বেহাল দশা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বায়ু দূষণে এখনো কুয়াশাচ্ছন্ন দিল্লি

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক
ভয়াবহ বায়ু দূষণে ভারতের রাজধানী দিল্লি এখনো কুয়াশাচ্ছন্ন। ঘর থেকে বের হলেই চোখ জ্বলছে। বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে হচ্ছে প্রবল কাশি, সঙ্গে বাড়তি উপসর্গ হিসেবে গলা বসে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দিল্লির স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে দিল্লির বাতাসের মান সংক্রান্ত সূচক (একিউআই) ছিল ৪৫০ এর কাছাকাছি। সাধারণত এই সূচক ২০০ ছাড়িয়ে গেলেই মানুষের শরীরে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। আবহাওয়া দফতরও জানিয়েছে, রবিবারের আগে দূষণ পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ হাওয়ার গতিবেগ খুবই কম। রবিবার থেকে হাওয়ার গতিবেগ বাড়লে তবেই দূষণ কমবে। সরকারি উপাত্ত অনুযায়ী শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় দিল্লির সার্বিক বাতাসের একিউআই ছিল ৪২৭। তবে আনন্দবিহারে এই মাত্রা ছিল ৪৬৪। দিল্লির স্যাটেলাইট শহর গাজিয়াবাদে ৪৯৬, বৃহত্তর নইডায় ৪৯৬ এবং নইডায় ছিল ৪৯৯। শুক্রবার এই মাত্রা রেকর্ড লেভেলে পৌঁছায়। দিল্লির বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে, খারাপ রাস্তা, রাস্তার ধূলা, বর্জ্য পোঁড়ানো, অতিরিক্ত যানবাহন ও জ্যাম, অবকাঠামো নির্মাণ। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন, দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য পার্শ্ববর্তী দুই রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানাও দায়ী। এই দুই রাজ্যের প্রশাসন কৃষকদের শস্যের উচ্ছিষ্ট পোড়াতে বাধ্য করায় এই বেহাল দশা হয়েছে।