ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাধা পেরিয়ে জয়ী হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন রানি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৯৪ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদন:
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম রানি মুখার্জি। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনেকটা সময় পর ২০০৫ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ব্ল্যাক’ সিনেমার মাধ্যমে পরিণত অভিনেত্রীর তকমা পান তিনি। তার আগে অনেক কমার্শিয়াল ছবিতে সাফল্য পেলেও, এই ছবিটি তার ক্যারিয়ারে অন্যতম মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়। এরপর ২০১৮ সালে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রের ‘হিচকি’ রানির সেই অভিনয় দক্ষতা ছিলো দারুণ। এই দুই ছবিতেই রানি বিশেষ ভাবে সক্ষম দুই নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথমটিতে অন্ধ-বধির মিশেল ম্যাকনালি এবং দ্বিতীয়টিতে ট্যুরেট সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নয়না মাথুর নামে এক শিক্ষিকা, কথা বলতে গিয়ে যার কথা আটকে যায়। এই চরিত্রগুলি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে প্রত্যেকবারই রানির সামনে খুলে গিয়েছে নতুন দিক। বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের মনের জোর এবং সাহস তাকে অনুপ্রাণিত করেছে বার বার। পথে আসা সব বাধা পেরিয়ে জয়ী হওয়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তি রানি পেয়েছেন তাদের থেকেই। এ যেন অভিনেত্রী রানির সঙ্গে ব্যক্তি রানির জীবনেও এক গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি। সেই উপলব্ধির কথা বলতে গিয়েই রানি ‘ব্ল্যাক’ এবং ‘হিচকি’র শ্যুটিংয়ের সময় তার অভিজ্ঞতা জানালেন। এই চরিত্রগুলিতে অভিনয়ের সময়ে রানি প্রথম বুঝেছিলেন বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষেরা কোনও ভাবেই আলাদা নন। ‘আমরা’ এবং ‘ওরা’ ভেদাভেদটা যে আসলে অর্থহীন, জীবনের এত বড় শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসে রানি এই ভেদাভেদ মুছে ফেলার বার্তা দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, ‘মিশেল’ বা ‘নয়না’র মতো চরিত্রগুলি সব মানুষকে সমান ভাবতে শেখার অনুপ্রেরণা জোগাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাধা পেরিয়ে জয়ী হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন রানি

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

বিনোদন প্রতিবেদন:
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম রানি মুখার্জি। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনেকটা সময় পর ২০০৫ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ব্ল্যাক’ সিনেমার মাধ্যমে পরিণত অভিনেত্রীর তকমা পান তিনি। তার আগে অনেক কমার্শিয়াল ছবিতে সাফল্য পেলেও, এই ছবিটি তার ক্যারিয়ারে অন্যতম মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়। এরপর ২০১৮ সালে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রের ‘হিচকি’ রানির সেই অভিনয় দক্ষতা ছিলো দারুণ। এই দুই ছবিতেই রানি বিশেষ ভাবে সক্ষম দুই নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথমটিতে অন্ধ-বধির মিশেল ম্যাকনালি এবং দ্বিতীয়টিতে ট্যুরেট সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নয়না মাথুর নামে এক শিক্ষিকা, কথা বলতে গিয়ে যার কথা আটকে যায়। এই চরিত্রগুলি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে প্রত্যেকবারই রানির সামনে খুলে গিয়েছে নতুন দিক। বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের মনের জোর এবং সাহস তাকে অনুপ্রাণিত করেছে বার বার। পথে আসা সব বাধা পেরিয়ে জয়ী হওয়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তি রানি পেয়েছেন তাদের থেকেই। এ যেন অভিনেত্রী রানির সঙ্গে ব্যক্তি রানির জীবনেও এক গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি। সেই উপলব্ধির কথা বলতে গিয়েই রানি ‘ব্ল্যাক’ এবং ‘হিচকি’র শ্যুটিংয়ের সময় তার অভিজ্ঞতা জানালেন। এই চরিত্রগুলিতে অভিনয়ের সময়ে রানি প্রথম বুঝেছিলেন বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষেরা কোনও ভাবেই আলাদা নন। ‘আমরা’ এবং ‘ওরা’ ভেদাভেদটা যে আসলে অর্থহীন, জীবনের এত বড় শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসে রানি এই ভেদাভেদ মুছে ফেলার বার্তা দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, ‘মিশেল’ বা ‘নয়না’র মতো চরিত্রগুলি সব মানুষকে সমান ভাবতে শেখার অনুপ্রেরণা জোগাবে।