ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাদাল জুমা অবশ্যই পড়তে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭
  • / ১৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: বাদাল জুমা বা জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজের পরে চার রাকাত নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, যা অবশ্যই পড়তে হয়। পরের চার রাকাত সুন্নতের সঙ্গে আরো দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুমার ফরজ পড়ে তখন সে যেন বাদাল জুমা চার রাকাত পড়ে নেয়। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং ৮৮১)। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর বিশিষ্ট সাগরেদ আবু আবদুর রহমান আসসুলামি (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আমাদের জুমার আগে চার রাকাত এবং জুমার পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী (রা.) আগমন করলেন তখন তিনি আমাদের জুমার পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক খ- ৩, পৃষ্ঠা ২৪৭)। হজরত ইবনে উমর (রা.) সম্পর্কে আতা (রহ.) বলেছেন, তিনি যখন মক্কা মুকাররমায় অবস্থান করতেন এবং জুমার নামাজ পড়তেন, তখন সামনে অগ্রসর হয়ে দুই রাকাত পড়তেন, এরপর আরেকটু অগ্রসর হয়ে চার রাকাত পড়তেন। আর যখন মদিনা মুনাওয়ারায় জুমা আদায় করতেন তখন ঘরে ফিরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন। মসজিদে পড়তেন না। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এমনই করতেন। (আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং ১১৩০)। আতা (রহ.) বলেন, তিনি হজরত ইবনে উমর (রা.) কে দেখেছেন, তিনি জুমার নামাজের পর জায়নামাজ থেকে একটু সরে গিয়ে দুই রাকাত পড়লেন। এরপর আরেকটু সরে চার রাকাত পড়লেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আতা (রহ.) কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি হজরত ইবনে উমর (রা.) কে কতবার এমন করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, অনেকবার। (আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং ১১৩৩)। ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম কাবলাল জুমা চার রাকাত, বাদাল জুমা চার রাকাত পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং ৫৪০৫, ৫৪২২)। এজন্যই হাফেজ ইবনে তায়মিয়া (রহ.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে সহিহ সনদে এসেছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বাদাল জুমা পড়বে, সে যেন চার রাকাত পড়ে। আর অনেক সাহাবি থেকে ছয় রাকাতের কথাও বর্ণিত রয়েছে। তাই আমরা বাদাল জুমা নামাজ না পড়ে মসজিদ থেকে বের হব না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাদাল জুমা অবশ্যই পড়তে হবে

আপলোড টাইম : ০৪:২৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: বাদাল জুমা বা জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজের পরে চার রাকাত নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, যা অবশ্যই পড়তে হয়। পরের চার রাকাত সুন্নতের সঙ্গে আরো দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুমার ফরজ পড়ে তখন সে যেন বাদাল জুমা চার রাকাত পড়ে নেয়। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং ৮৮১)। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর বিশিষ্ট সাগরেদ আবু আবদুর রহমান আসসুলামি (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আমাদের জুমার আগে চার রাকাত এবং জুমার পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী (রা.) আগমন করলেন তখন তিনি আমাদের জুমার পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক খ- ৩, পৃষ্ঠা ২৪৭)। হজরত ইবনে উমর (রা.) সম্পর্কে আতা (রহ.) বলেছেন, তিনি যখন মক্কা মুকাররমায় অবস্থান করতেন এবং জুমার নামাজ পড়তেন, তখন সামনে অগ্রসর হয়ে দুই রাকাত পড়তেন, এরপর আরেকটু অগ্রসর হয়ে চার রাকাত পড়তেন। আর যখন মদিনা মুনাওয়ারায় জুমা আদায় করতেন তখন ঘরে ফিরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন। মসজিদে পড়তেন না। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এমনই করতেন। (আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং ১১৩০)। আতা (রহ.) বলেন, তিনি হজরত ইবনে উমর (রা.) কে দেখেছেন, তিনি জুমার নামাজের পর জায়নামাজ থেকে একটু সরে গিয়ে দুই রাকাত পড়লেন। এরপর আরেকটু সরে চার রাকাত পড়লেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আতা (রহ.) কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি হজরত ইবনে উমর (রা.) কে কতবার এমন করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, অনেকবার। (আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং ১১৩৩)। ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম কাবলাল জুমা চার রাকাত, বাদাল জুমা চার রাকাত পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং ৫৪০৫, ৫৪২২)। এজন্যই হাফেজ ইবনে তায়মিয়া (রহ.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে সহিহ সনদে এসেছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বাদাল জুমা পড়বে, সে যেন চার রাকাত পড়ে। আর অনেক সাহাবি থেকে ছয় রাকাতের কথাও বর্ণিত রয়েছে। তাই আমরা বাদাল জুমা নামাজ না পড়ে মসজিদ থেকে বের হব না।