ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাতাস দিয়ে খাদ্য তৈরি বিজ্ঞানীদের!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি প্রতিবেদন:
‘বাতাস দিয়ে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য’ তৈরি করেছেন ফিনল্যান্ডের কিছু বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, এই খাবার পুষ্টিগুণের দিক দিয়েও সয়া জাতীয় খাবারের প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারে। তাদের দাবি, এই খাবার তৈরিতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন প্রায় শূন্যের কোঠায় থাকবে; যদি এর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সৌর অথবা বাতাস দিয়ে তৈরি হয়। এই বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন যদি বাস্তব রূপ পায় তাহলে কৃষির মাধ্যমে বর্তমানে যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কেমন হবে এই প্রোটিন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, একদম স্বাদহীন এই প্রোটিন। ইলেক্ট্রোলাইসিস ব্যবহার করে পানি থেকে হাইড্রোজেন আলাদা করা হয়। তারপর সেই হাইড্রোজেন বাতাস থেকে নেওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও খনিজ পদার্থ মাটিতে পাওয়া যায় এমন এক প্রকার ব্যাকটেরিয়াকে খাইয়ে প্রোটিন জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে সোলেন যা খেতে একদম স্বাদহীন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এমনটাই চেয়েছেন। এই প্রোটিন সরাসরি খাওয়া নয় বরং অন্য ধরনের খাবারের সঙ্গে এটি যুক্ত করে পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়। এটিকে ব্যবহার করে বিস্কুট, পাস্তা, নুডুলস বা রুটি এমন কি কৃত্রিম মাংস বা মাছ তৈরি সম্ভব। এই প্রোটিন গবাদিপশুর খাবারও হতে পারে। ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি শহরের পাশে অবস্থিত এই ‘সোলেন’ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা পাসি ভাইনিক্কা পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জানান, এমন খাবার উৎপাদন প্রযুক্তির ধারণা প্রথম এসেছিল ষাটের দশকে। মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য এমন প্রযুক্তির শুরু। তিনি স্বীকার করছেন যে তার কাজে কিছুটা পিছিয়ে আছেন তবে আশা করছেন ২০২২ সালের মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারবেন।-বিবিসি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাতাস দিয়ে খাদ্য তৈরি বিজ্ঞানীদের!

আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০

প্রযুক্তি প্রতিবেদন:
‘বাতাস দিয়ে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য’ তৈরি করেছেন ফিনল্যান্ডের কিছু বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, এই খাবার পুষ্টিগুণের দিক দিয়েও সয়া জাতীয় খাবারের প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারে। তাদের দাবি, এই খাবার তৈরিতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন প্রায় শূন্যের কোঠায় থাকবে; যদি এর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সৌর অথবা বাতাস দিয়ে তৈরি হয়। এই বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন যদি বাস্তব রূপ পায় তাহলে কৃষির মাধ্যমে বর্তমানে যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কেমন হবে এই প্রোটিন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, একদম স্বাদহীন এই প্রোটিন। ইলেক্ট্রোলাইসিস ব্যবহার করে পানি থেকে হাইড্রোজেন আলাদা করা হয়। তারপর সেই হাইড্রোজেন বাতাস থেকে নেওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও খনিজ পদার্থ মাটিতে পাওয়া যায় এমন এক প্রকার ব্যাকটেরিয়াকে খাইয়ে প্রোটিন জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে সোলেন যা খেতে একদম স্বাদহীন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এমনটাই চেয়েছেন। এই প্রোটিন সরাসরি খাওয়া নয় বরং অন্য ধরনের খাবারের সঙ্গে এটি যুক্ত করে পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়। এটিকে ব্যবহার করে বিস্কুট, পাস্তা, নুডুলস বা রুটি এমন কি কৃত্রিম মাংস বা মাছ তৈরি সম্ভব। এই প্রোটিন গবাদিপশুর খাবারও হতে পারে। ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি শহরের পাশে অবস্থিত এই ‘সোলেন’ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা পাসি ভাইনিক্কা পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জানান, এমন খাবার উৎপাদন প্রযুক্তির ধারণা প্রথম এসেছিল ষাটের দশকে। মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য এমন প্রযুক্তির শুরু। তিনি স্বীকার করছেন যে তার কাজে কিছুটা পিছিয়ে আছেন তবে আশা করছেন ২০২২ সালের মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারবেন।-বিবিসি