ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাতাসে করোনার উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
  • / ২৩২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের দুটি হাসপাতালের বাতাসে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওই দুটি হাসপাতাল থেকে নেওয়া বাতাসের নমুনার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্যের (আরএনএ) উপস্থিতি মিলেছে। ওই কণাগুলোর বেশির ভাগেরই ব্যাস এক ইঞ্চির ১০ হাজার ভাগের এক ভাগেরও কম।
চীনা বিজ্ঞানীদের এ তথ্যকে শক্তিশালী প্রমাণ বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। এর কারণ, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে-এমন তত্ত্ব দিয়েছিলেন গবেষকরা। চীনা বিজ্ঞানীদের দেওয়া বাস্তব নমুনা এটিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
গত সোমবার নেচার সাময়িকীতে চীনা বিজ্ঞানীদের এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তা ভাইরাস সংক্রামক কি না, তা এখনো জানা যায়নি। তবে ক্ষুদ্র এ তরলকণাগুলো সহজেই ব্যক্তির নিঃশ্বাসের সঙ্গে ও কথা বলার সময় নির্গত হতে পারে। কণাগুলো ভাসতে পারে ও শ্বাসের মাধ্যমে অন্য জনের শরীরে ঢুকেও পড়তে পারে।
ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক লিনসে মার নেচারের ওই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, তরলকণাগুলো অন্তত দুই ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এ প্রতিবেদনে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভাইরাসটির বায়ুর মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখন পর্যন্ত বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনাকে আমলে নেয়নি। তারা বলছে, বাতাসে বেশিক্ষণ ভাসতে পারে না এমন বড় বড় তরলকণার মাধ্যমেই ভাইরাসটি ছড়াতে পারে অথবা সংক্রমিত কোনো কিছু ছোঁয়ার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাতাসে করোনার উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের দুটি হাসপাতালের বাতাসে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওই দুটি হাসপাতাল থেকে নেওয়া বাতাসের নমুনার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্যের (আরএনএ) উপস্থিতি মিলেছে। ওই কণাগুলোর বেশির ভাগেরই ব্যাস এক ইঞ্চির ১০ হাজার ভাগের এক ভাগেরও কম।
চীনা বিজ্ঞানীদের এ তথ্যকে শক্তিশালী প্রমাণ বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। এর কারণ, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে-এমন তত্ত্ব দিয়েছিলেন গবেষকরা। চীনা বিজ্ঞানীদের দেওয়া বাস্তব নমুনা এটিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
গত সোমবার নেচার সাময়িকীতে চীনা বিজ্ঞানীদের এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তা ভাইরাস সংক্রামক কি না, তা এখনো জানা যায়নি। তবে ক্ষুদ্র এ তরলকণাগুলো সহজেই ব্যক্তির নিঃশ্বাসের সঙ্গে ও কথা বলার সময় নির্গত হতে পারে। কণাগুলো ভাসতে পারে ও শ্বাসের মাধ্যমে অন্য জনের শরীরে ঢুকেও পড়তে পারে।
ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক লিনসে মার নেচারের ওই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, তরলকণাগুলো অন্তত দুই ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এ প্রতিবেদনে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভাইরাসটির বায়ুর মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখন পর্যন্ত বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনাকে আমলে নেয়নি। তারা বলছে, বাতাসে বেশিক্ষণ ভাসতে পারে না এমন বড় বড় তরলকণার মাধ্যমেই ভাইরাসটি ছড়াতে পারে অথবা সংক্রমিত কোনো কিছু ছোঁয়ার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।