ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাজারে আসছে গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
যুক্তরাষ্ট্রকে স্টার্ট-আপ ‘ইট জাস্ট’এর গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে সিঙ্গাপুর। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার ইট জাস্ট জানায়, নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সরাসরি প্রাণীর কোষ থেকে তৈরি সত্যিকারের, উচ্চ মানের মাংস বিশ্বের প্রথম অনুমোদন দিল সিঙ্গাপুর। এতে দেশটিতে এ মাংস স্বল্প আকারে বাজারে আনার পথ খুলে গেল। এ মাংস কোনো প্রাণীকে হত্যা করে প্রস্তুত করা হয় না। তাদের মাংস নাগেট হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং আগে প্রতিটির দাম ছিল ৫০ ডলার। তবে এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জস টেটরিক বলেন, দাম কমে আসবে এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার সময় প্রিমিয়াম মুরগির সমান দামে পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য, প্রাণী কল্যাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে ভোক্তাদের উদ্বেগের কারণে প্রাণীর মাংসের বিকল্পের চাহিদা বাড়ছে। উদ্ভিদভিত্তিক মাংসের বিকল্পগুলো ইতিমধ্যে সুপারমার্কেটের এবং রেস্তোরাঁর মেনুতে চলে আসতে শুরু করেছে। বিয়ন্ড মিট ইনকরপোরেশন ও ইমপসিবল ফুডসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের মাংস জনপ্রিয় করে তুলছে। তবে ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে। এ ধরনের মাংস সাধারণ পরীক্ষাগারে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার করে তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনো তা জনপ্রিয় হয়নি। বর্তমানে বিশ্বে দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষাগারে মাছ, গরু ও মুরগির মাংস নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। বিকল্প মাংসের বাজারে তারা সাড়া ফেলবে বলে আশা করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২৯ সাল নাগাদ বিকল্প মাংসের বাজার দাঁড়বে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাজারে আসছে গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস

আপলোড টাইম : ১০:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

বিশ্ব প্রতিবেদন:
যুক্তরাষ্ট্রকে স্টার্ট-আপ ‘ইট জাস্ট’এর গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে সিঙ্গাপুর। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার ইট জাস্ট জানায়, নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সরাসরি প্রাণীর কোষ থেকে তৈরি সত্যিকারের, উচ্চ মানের মাংস বিশ্বের প্রথম অনুমোদন দিল সিঙ্গাপুর। এতে দেশটিতে এ মাংস স্বল্প আকারে বাজারে আনার পথ খুলে গেল। এ মাংস কোনো প্রাণীকে হত্যা করে প্রস্তুত করা হয় না। তাদের মাংস নাগেট হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং আগে প্রতিটির দাম ছিল ৫০ ডলার। তবে এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জস টেটরিক বলেন, দাম কমে আসবে এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার সময় প্রিমিয়াম মুরগির সমান দামে পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য, প্রাণী কল্যাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে ভোক্তাদের উদ্বেগের কারণে প্রাণীর মাংসের বিকল্পের চাহিদা বাড়ছে। উদ্ভিদভিত্তিক মাংসের বিকল্পগুলো ইতিমধ্যে সুপারমার্কেটের এবং রেস্তোরাঁর মেনুতে চলে আসতে শুরু করেছে। বিয়ন্ড মিট ইনকরপোরেশন ও ইমপসিবল ফুডসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের মাংস জনপ্রিয় করে তুলছে। তবে ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে। এ ধরনের মাংস সাধারণ পরীক্ষাগারে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার করে তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনো তা জনপ্রিয় হয়নি। বর্তমানে বিশ্বে দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষাগারে মাছ, গরু ও মুরগির মাংস নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। বিকল্প মাংসের বাজারে তারা সাড়া ফেলবে বলে আশা করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২৯ সাল নাগাদ বিকল্প মাংসের বাজার দাঁড়বে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।