ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুবিধা-অসুবিধাও তুলে ধরবেন সাকিব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৮৭ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমসিসির ক্রিকেট কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পরই সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, এটি অনেক বড় সম্মানের। কমিটির আসন্ন সভার আগে বেশ রোমাঞ্চিত বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। জানালেন, সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুবিধা-অসুবিধাও তুলে ধরতে চান তিনি। ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে এমসিসি ক্রিকেট কমিটি। বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি বছরে দুইবার সভায় বসে। কমিটি সমসাময়িক ক্রিকেটের আইন-কানুনসহ নানা পরিবর্তন ও ক্রিকেটের ভালো-মন্দ নিয়ে সুপারিশ করে আইসিসিকে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় আইসিসির অনুমোদন সাপেক্ষে। গত অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমসিসি ক্রিকেট কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি হবে কমিটির প্রথম সভা। সভায় যোগ দিতে ৭ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন সাকিব। তার আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েই সভায় যোগ দিতে চান সাকিব, ‘এখনো নেইনি, তবে প্রস্তুতি থাকবে। কারণ অনেকগুলো এজেন্ডা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হবে। ওই এজেন্ডাগুলো আমি জানি, এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। এখন যেটা হবে এইগুলো নিয়ে একটু পড়াশোনার বিষয় আছে, একটু বোঝার ব্যাপার আছে। এইগুলো নিয়ে যেহেতু আলোচনা হবে, তাই অপ্রস্তুত অবস্থায় তো যাওয়া ঠিক হবে না।’
সভায় কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেগুলোও জেনে গেছেন বলে জানালেন সাকিব, ‘ওইখানে দুই দিন যে মিটিং হবে, দুই দিনের এজেন্ডা সব দেওয়া আছে। বাইরে যদি আলোচনার সুযোগ আসে তবে সেটা করা যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যেটা করা আছে, ওইখানে নিদিষ্টভাবে বলা আছে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং ওইগুলো নিয়েই আলোচনা হবে।’
‘টেস্ট ক্রিকেট নিয়েই অনেক কিছু আছে। এইগুলোই ওইখানে আলোচনা করবে এবং চিন্তা করবে কোনটা করলে আসলে ভালো হয়, না হয়। এখানে প্রস্তাব করার কিছু নেই। এখানে এজেন্ডা ঠিক করা আছে, ওইগুলোই আলোচনা করা হবে। যার মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটও থাকবে’- বলেছেন সাকিব।
সভায় যোগ দেওয়ার আগে নিজের রোমাঞ্চটাও লুকাননি বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তবে শুধু রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকতে চান না, সুযোগ পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও আলোচনা করতে চান, ‘রোমাঞ্চিত অবশ্যই। আমার কাছে মনে হয়, এটা অনেক বড় সম্মাননা। পাশাপাশি দায়িত্বও। এর আগে যখন এই মিটিং হয়েছে, তখন বাংলাদেশের কেউ ছিল না। আমরা কী সুবিধা পাই কিংবা কী অসুবিধা মোকাবিলা করি, এসব নিয়ে ওদের ধারণা কম থাকত। যেগুলো আমি হয়তো শেয়ার করতে পারব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুবিধা-অসুবিধাও তুলে ধরবেন সাকিব

আপলোড টাইম : ১১:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

খেলাধুলা ডেস্ক: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমসিসির ক্রিকেট কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পরই সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, এটি অনেক বড় সম্মানের। কমিটির আসন্ন সভার আগে বেশ রোমাঞ্চিত বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। জানালেন, সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুবিধা-অসুবিধাও তুলে ধরতে চান তিনি। ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে এমসিসি ক্রিকেট কমিটি। বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি বছরে দুইবার সভায় বসে। কমিটি সমসাময়িক ক্রিকেটের আইন-কানুনসহ নানা পরিবর্তন ও ক্রিকেটের ভালো-মন্দ নিয়ে সুপারিশ করে আইসিসিকে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় আইসিসির অনুমোদন সাপেক্ষে। গত অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমসিসি ক্রিকেট কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি হবে কমিটির প্রথম সভা। সভায় যোগ দিতে ৭ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন সাকিব। তার আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েই সভায় যোগ দিতে চান সাকিব, ‘এখনো নেইনি, তবে প্রস্তুতি থাকবে। কারণ অনেকগুলো এজেন্ডা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হবে। ওই এজেন্ডাগুলো আমি জানি, এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। এখন যেটা হবে এইগুলো নিয়ে একটু পড়াশোনার বিষয় আছে, একটু বোঝার ব্যাপার আছে। এইগুলো নিয়ে যেহেতু আলোচনা হবে, তাই অপ্রস্তুত অবস্থায় তো যাওয়া ঠিক হবে না।’
সভায় কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেগুলোও জেনে গেছেন বলে জানালেন সাকিব, ‘ওইখানে দুই দিন যে মিটিং হবে, দুই দিনের এজেন্ডা সব দেওয়া আছে। বাইরে যদি আলোচনার সুযোগ আসে তবে সেটা করা যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যেটা করা আছে, ওইখানে নিদিষ্টভাবে বলা আছে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং ওইগুলো নিয়েই আলোচনা হবে।’
‘টেস্ট ক্রিকেট নিয়েই অনেক কিছু আছে। এইগুলোই ওইখানে আলোচনা করবে এবং চিন্তা করবে কোনটা করলে আসলে ভালো হয়, না হয়। এখানে প্রস্তাব করার কিছু নেই। এখানে এজেন্ডা ঠিক করা আছে, ওইগুলোই আলোচনা করা হবে। যার মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটও থাকবে’- বলেছেন সাকিব।
সভায় যোগ দেওয়ার আগে নিজের রোমাঞ্চটাও লুকাননি বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তবে শুধু রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকতে চান না, সুযোগ পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও আলোচনা করতে চান, ‘রোমাঞ্চিত অবশ্যই। আমার কাছে মনে হয়, এটা অনেক বড় সম্মাননা। পাশাপাশি দায়িত্বও। এর আগে যখন এই মিটিং হয়েছে, তখন বাংলাদেশের কেউ ছিল না। আমরা কী সুবিধা পাই কিংবা কী অসুবিধা মোকাবিলা করি, এসব নিয়ে ওদের ধারণা কম থাকত। যেগুলো আমি হয়তো শেয়ার করতে পারব।’