ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের ৭ জনসহ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী ৩ হাজার ১৭২ জনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে!
সমীকরণ ডেস্ক:
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশের মানুষ এখন আক্রান্ত প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে। করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত, মৃতসহ এ বিষয়ে হিসেব রাখা ওয়েব পেইজ ওয়ার্ল্ডোমিটারের মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার সর্বশেষ তথ্য মতে- বাংলাদেশের ১ হাজার ১২ জনসহ প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৫ জন। আর বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৭৯০ জন। কেবল গতকাল মঙ্গলবার অর্থ্যাৎ একদিনেই বাংলাদেশের ৭জনসহ সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ হাজার ১৭২ জন। এদিকে, ১৬ মার্চ থেকে গতকাল ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মোট ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ১২ জনের নমুনার ফলাফলসহ মোট নমুনার মধ্যে ৩৫ জনের ফলাফল এসে পৌঁছেছে। এরমধ্যে কেবলমাত্র ১৯ মার্চ সাব্বিরের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে। যিনি গত ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তা ছাড়া বাকি ৩৪ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। তারমানে ৩৪ জনের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়ানি।
এদিকে, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা গত সোমবারের চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার আরও বেড়েছে। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২০৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এক দিনে এটা সর্বোচ্চ শনাক্ত। দেশে এই প্রথম এক দিনে শনাক্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল। একই সময় নতুন মারা গেছেন আরও ৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার করোনভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১২ জন। আর মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী নতুন করে সুস্থ হননি। তাই সুস্থ রোগীর সংখ্যা আগে যা ছিল, এখনো তাই। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন।
অন্যদিকে, বিশ্বের ২১০টি দেশের মানুষ এখন আক্রান্ত প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে। করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত, মৃতসহ এ বিষয়ে হিসেব রাখা ওয়েব পেইজ ওয়ার্ল্ডোমিটারের মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার সর্বশেষ তথ্য মতে- প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৫ জন। আর বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৭৯০ জন। কেবল মঙ্গলবার অর্থ্যাৎ একদিনেই সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ হাজার ১৭২ জন। এখনো পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছে ৯ শ’ জন মানুষ। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সর্বমোট আক্রান্ত পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৭ জন। আর মৃত ২৪ হাজার ৫৮৬ জন। তারপরই আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৭২ হাজার ৫৪১ জন। ইতালিতে আক্রান্ত দেড় লাখ ছাড়ালেও কিছুটা কমেছে মৃত্যুর হার। ফ্রান্সে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৯, জার্মানিতে এক লাখ ৩১ হাজার ১০০, যুক্তরাজ্যে ৯৩ হাজার ৮৭৩ জন। তবে জার্মানিতে মৃতের হার এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরান। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৭৪ হাজার ৮৭৭ ও মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৮৩ জন। দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ভারতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৫৪১ জন, পাকিস্তানে পাঁচ হাজার ৮৩৭ ও বাংলাদেশে এক হাজার ১২ জন এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়ছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যায় অনেক পিছিয়ে আছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো। জিম্বাবুয়েতে আক্রান্ত ১৭, লিবিয়ায় ২৬, ঘানায় ৬৩৬, নাইজেরিয়ায় ৩৪৩, আইভরিকোষ্টে ৬২৬ জন। এই ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই অচল হয়ে পড়েছে। এখনো তৈরি হয়নি করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক। তবে অক্সফোর্ড বিশ্বদ্যালয়ের এক গবেষক সেপ্টেম্বর নাগাদ এর প্রতিষেধক তৈরি হবে বলে আশাবাদী। কিন্তু ততোদিনে বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে এটিই এখন বিশ্বব্যাপী দুশ্চিন্তার কারণ।
এ ছাড়া, চুয়াডাঙ্গায় ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার আরও ১২ জনের ফলাফল এসে পৌঁছেছে। প্রাপ্ত ফলাফলে ১২ জনের কারো শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। জেলাই প্রথম ধাপে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৩ জন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২ জনসহ মোট ৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ পাঠানো হয়। যাদের মধ্যে গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের আইসোসলেশনে ভর্তি থাকা সাব্বির আহম্মেদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ এপ্রিল ৮ জনের , ৫ এপ্রিল ২ জনের, ৬ এপ্রিল ৪ জনের, ৭ এপ্রিল ১০ জনের, ৮ এপ্রিল ৬ জনের এবং ৯ এপ্রিল ৬ জনের, ১০ এপ্রিল ০ জনের, ১১ এপ্রিল ১৬ জনের, ১২ এপ্রিল ১২ জনের, ১৩ এপ্রিল ২২ জনেরসহ মোট মোট ৯১ জনের শরীর থেকে করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল আরও ১২ জনের নমুনার ফলাফলসহ মোট নমুনার মধ্যে ৩৫ জনের ফলাফল এসে পৌঁছেছে। এরমধ্যে কেবলমাত্র ১৯ মার্চ সাব্বিরের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে। যিনি গত ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তা ছাড়া বাকি ৩৪ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় ১৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মোট ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা (আইইডিসিআর)-এ নমুনা পাঠানো হয়েছে ২৯ জনের এবং ৮ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৬২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাংলাদেশের ৭ জনসহ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী ৩ হাজার ১৭২ জনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০১:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে!
সমীকরণ ডেস্ক:
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশের মানুষ এখন আক্রান্ত প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে। করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত, মৃতসহ এ বিষয়ে হিসেব রাখা ওয়েব পেইজ ওয়ার্ল্ডোমিটারের মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার সর্বশেষ তথ্য মতে- বাংলাদেশের ১ হাজার ১২ জনসহ প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৫ জন। আর বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৭৯০ জন। কেবল গতকাল মঙ্গলবার অর্থ্যাৎ একদিনেই বাংলাদেশের ৭জনসহ সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ হাজার ১৭২ জন। এদিকে, ১৬ মার্চ থেকে গতকাল ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মোট ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ১২ জনের নমুনার ফলাফলসহ মোট নমুনার মধ্যে ৩৫ জনের ফলাফল এসে পৌঁছেছে। এরমধ্যে কেবলমাত্র ১৯ মার্চ সাব্বিরের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে। যিনি গত ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তা ছাড়া বাকি ৩৪ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। তারমানে ৩৪ জনের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়ানি।
এদিকে, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা গত সোমবারের চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার আরও বেড়েছে। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২০৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এক দিনে এটা সর্বোচ্চ শনাক্ত। দেশে এই প্রথম এক দিনে শনাক্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল। একই সময় নতুন মারা গেছেন আরও ৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার করোনভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১২ জন। আর মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী নতুন করে সুস্থ হননি। তাই সুস্থ রোগীর সংখ্যা আগে যা ছিল, এখনো তাই। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন।
অন্যদিকে, বিশ্বের ২১০টি দেশের মানুষ এখন আক্রান্ত প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে। করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত, মৃতসহ এ বিষয়ে হিসেব রাখা ওয়েব পেইজ ওয়ার্ল্ডোমিটারের মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার সর্বশেষ তথ্য মতে- প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৫ জন। আর বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৭৯০ জন। কেবল মঙ্গলবার অর্থ্যাৎ একদিনেই সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ হাজার ১৭২ জন। এখনো পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছে ৯ শ’ জন মানুষ। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সর্বমোট আক্রান্ত পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৭ জন। আর মৃত ২৪ হাজার ৫৮৬ জন। তারপরই আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৭২ হাজার ৫৪১ জন। ইতালিতে আক্রান্ত দেড় লাখ ছাড়ালেও কিছুটা কমেছে মৃত্যুর হার। ফ্রান্সে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৯, জার্মানিতে এক লাখ ৩১ হাজার ১০০, যুক্তরাজ্যে ৯৩ হাজার ৮৭৩ জন। তবে জার্মানিতে মৃতের হার এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরান। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৭৪ হাজার ৮৭৭ ও মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৮৩ জন। দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ভারতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৫৪১ জন, পাকিস্তানে পাঁচ হাজার ৮৩৭ ও বাংলাদেশে এক হাজার ১২ জন এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়ছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যায় অনেক পিছিয়ে আছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো। জিম্বাবুয়েতে আক্রান্ত ১৭, লিবিয়ায় ২৬, ঘানায় ৬৩৬, নাইজেরিয়ায় ৩৪৩, আইভরিকোষ্টে ৬২৬ জন। এই ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই অচল হয়ে পড়েছে। এখনো তৈরি হয়নি করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক। তবে অক্সফোর্ড বিশ্বদ্যালয়ের এক গবেষক সেপ্টেম্বর নাগাদ এর প্রতিষেধক তৈরি হবে বলে আশাবাদী। কিন্তু ততোদিনে বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে এটিই এখন বিশ্বব্যাপী দুশ্চিন্তার কারণ।
এ ছাড়া, চুয়াডাঙ্গায় ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার আরও ১২ জনের ফলাফল এসে পৌঁছেছে। প্রাপ্ত ফলাফলে ১২ জনের কারো শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। জেলাই প্রথম ধাপে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৩ জন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২ জনসহ মোট ৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ পাঠানো হয়। যাদের মধ্যে গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের আইসোসলেশনে ভর্তি থাকা সাব্বির আহম্মেদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ এপ্রিল ৮ জনের , ৫ এপ্রিল ২ জনের, ৬ এপ্রিল ৪ জনের, ৭ এপ্রিল ১০ জনের, ৮ এপ্রিল ৬ জনের এবং ৯ এপ্রিল ৬ জনের, ১০ এপ্রিল ০ জনের, ১১ এপ্রিল ১৬ জনের, ১২ এপ্রিল ১২ জনের, ১৩ এপ্রিল ২২ জনেরসহ মোট মোট ৯১ জনের শরীর থেকে করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল আরও ১২ জনের নমুনার ফলাফলসহ মোট নমুনার মধ্যে ৩৫ জনের ফলাফল এসে পৌঁছেছে। এরমধ্যে কেবলমাত্র ১৯ মার্চ সাব্বিরের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে। যিনি গত ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তা ছাড়া বাকি ৩৪ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় ১৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মোট ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা (আইইডিসিআর)-এ নমুনা পাঠানো হয়েছে ২৯ জনের এবং ৮ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৬২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।