ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদশেরে নর্বিাচন ‘যথাযথ’ ছলি নাবিএনপিকে চাঙ্গা করতে পুনর্গঠনের তাগিদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর দুঃসময় পার করছে বিএনপি। রাজনীতির মারপ্যাঁচে বারবার ধরাশায়ী দলটি সাংগঠনিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই দলকে চাঙ্গা করতে পুরনোদের সরে গিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে বিএনপিকে পুনর্গঠনেরও তাগিদ দিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন দলের সিনিয়র নেতারা। এসময় জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করার পাশাপাশি তারা কথা বলেন দলের ক্ষতিগ্রস্থ কর্মীদের পুনর্বাসন নিয়েও। দলকে চাঙ্গা করতে নিজেদের করণীয় নিয়েও কথা বলেন সিনিয়র নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্ধকার থেকে আলোতে উঠে আসতে হবে। এজন্য যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশটা আপনাদের, আপনাদেরই রক্ষা করতে হব। জিয়াউর রহমান আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া শিখিয়েছেন। পরাজিত হওয়া যাবে না। পরাজিত বোধ করলেই পরাজিত। তিনি বলেন, আমাদের যেসব ভাই পঙ্গু, ক্ষতিগ্রস্ত, কারারুদ্ধ এবং যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতাকে কারাগার থেকে বের করে আনতে হবে। সেজন্য আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমগ্র দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনতে হবে। আমাদের ভাইদের মুক্ত করতে হবে। মুক্ত করতে হবে গণতন্ত্রকে। এই শপথ নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ হল সেই দল যারা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রকে তারা ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজনে। রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করে দেয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ওপর তাদের রাগটা ওই জায়গায়, তিনি দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সেজন্য জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার চালান। তবে তাতে কাজ হবে না। মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলা যাবে না। সভায় কাউন্সিলের মাধ্যমে দলকে পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে আনতে হবে। আমরা যারা ব্যর্থ তাদের পদ ছেড়ে দিতে হবে তরুণদের জন্য। তাহলেই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাংলাদশেরে নর্বিাচন ‘যথাযথ’ ছলি নাবিএনপিকে চাঙ্গা করতে পুনর্গঠনের তাগিদ

আপলোড টাইম : ০৯:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর দুঃসময় পার করছে বিএনপি। রাজনীতির মারপ্যাঁচে বারবার ধরাশায়ী দলটি সাংগঠনিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই দলকে চাঙ্গা করতে পুরনোদের সরে গিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে বিএনপিকে পুনর্গঠনেরও তাগিদ দিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন দলের সিনিয়র নেতারা। এসময় জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করার পাশাপাশি তারা কথা বলেন দলের ক্ষতিগ্রস্থ কর্মীদের পুনর্বাসন নিয়েও। দলকে চাঙ্গা করতে নিজেদের করণীয় নিয়েও কথা বলেন সিনিয়র নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্ধকার থেকে আলোতে উঠে আসতে হবে। এজন্য যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশটা আপনাদের, আপনাদেরই রক্ষা করতে হব। জিয়াউর রহমান আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া শিখিয়েছেন। পরাজিত হওয়া যাবে না। পরাজিত বোধ করলেই পরাজিত। তিনি বলেন, আমাদের যেসব ভাই পঙ্গু, ক্ষতিগ্রস্ত, কারারুদ্ধ এবং যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতাকে কারাগার থেকে বের করে আনতে হবে। সেজন্য আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমগ্র দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনতে হবে। আমাদের ভাইদের মুক্ত করতে হবে। মুক্ত করতে হবে গণতন্ত্রকে। এই শপথ নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ হল সেই দল যারা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রকে তারা ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজনে। রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করে দেয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ওপর তাদের রাগটা ওই জায়গায়, তিনি দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সেজন্য জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার চালান। তবে তাতে কাজ হবে না। মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলা যাবে না। সভায় কাউন্সিলের মাধ্যমে দলকে পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে আনতে হবে। আমরা যারা ব্যর্থ তাদের পদ ছেড়ে দিতে হবে তরুণদের জন্য। তাহলেই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে।