ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঁশের খুটিতে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের তেরাইল পশ্চিমাপাড়া-দেবিপুর সড়কে যাতয়াতের একমাত্র ব্রিজটি ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি দিয়ে চার ইউনিয়নের মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নিরুপাই হয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁশ-খুটি দিয়ে ব্রিজটি কোনো রকমে চলাচলের উপযোগী করেছে। তবে এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ৪টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের জন্য এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। বছর পাঁচেক আগে ব্রিজটি ভেঙে গেলেও সংস্কার বা নির্মাণের আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে গ্রামবাসীরা বাঁশের খুটি দিয়ে ব্রিজটি ঠেকনা দিয়ে কোনোরকমে চলাচল করছে। মাঠের ফসল ঘরে তুলে বাজার যাতায়াত করতে চরম বেগ পেতে হয় কৃষকদের। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছে এলাকবাসী। ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছে সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ স্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। ইতোমধ্যে এসব যান পার হতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীণ সাদ আলী জানান, ব্রিজ ভাঙাচোরা হওয়ার কারণে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করছে। এই ব্রিজটি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ভেড়ামারার সঙ্গে মেহেরপুর জেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচলের সহজ পথ। কিন্তু ব্রিজটি ভাঙার কারণে গাংনী বামন্দী হয়ে দৌলতপুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে বাড়তি সময়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত খরচও গুনতে হয়।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই ব্রিজটি তৈরি করার চেষ্টা করছি। যদি তা না হয়, তাহলে এলজিডি ব্রিজটি বাস্তবয়নের কাজ হাতে নেব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাঁশের খুটিতে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজ!

আপলোড টাইম : ১০:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের তেরাইল পশ্চিমাপাড়া-দেবিপুর সড়কে যাতয়াতের একমাত্র ব্রিজটি ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি দিয়ে চার ইউনিয়নের মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নিরুপাই হয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁশ-খুটি দিয়ে ব্রিজটি কোনো রকমে চলাচলের উপযোগী করেছে। তবে এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ৪টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের জন্য এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। বছর পাঁচেক আগে ব্রিজটি ভেঙে গেলেও সংস্কার বা নির্মাণের আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে গ্রামবাসীরা বাঁশের খুটি দিয়ে ব্রিজটি ঠেকনা দিয়ে কোনোরকমে চলাচল করছে। মাঠের ফসল ঘরে তুলে বাজার যাতায়াত করতে চরম বেগ পেতে হয় কৃষকদের। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছে এলাকবাসী। ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছে সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ স্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। ইতোমধ্যে এসব যান পার হতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীণ সাদ আলী জানান, ব্রিজ ভাঙাচোরা হওয়ার কারণে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করছে। এই ব্রিজটি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ভেড়ামারার সঙ্গে মেহেরপুর জেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচলের সহজ পথ। কিন্তু ব্রিজটি ভাঙার কারণে গাংনী বামন্দী হয়ে দৌলতপুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে বাড়তি সময়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত খরচও গুনতে হয়।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই ব্রিজটি তৈরি করার চেষ্টা করছি। যদি তা না হয়, তাহলে এলজিডি ব্রিজটি বাস্তবয়নের কাজ হাতে নেব।