ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঁচানো গেল না গুরুতর আহত পলাশকে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষের ঘটনা
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডে উল্টোপথে আসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত আশরাফুল ইসলাম পলাশ (২১) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘ ১১ দিনেও তাঁর জ্ঞান না ফেরায় অনেকটা হাল ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা। পরিবারের দাবি, অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পলাশ।
নিহত আশরাফুল ইসলাম পলাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ীর মুকুল হোসেনের ছেলে। পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল লতিফের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় ৩ সেপ্টেম্বর সকালে মোটরসাইকেলযোগে ডিউটিতে যাচ্ছিলেন পলাশ। পথের মধ্যে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে একটু সামনে যেতেই ভুল পথে আসা বরিশালগামী আলসানি পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭১৪৫) তাঁর মোটরসাইকেলটিকে সামনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে সড়কের ওপর আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হন পলাশ। উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহীতে রেফার্ড করেন।
এদিকে, বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত পলাশের কোনো প্রকার খোঁজখবর বা আর্থিক সহযোগিতা করেনি বাসটির মালিকপক্ষ। বরং ঘটনার দিন দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলসানি পরিবহনের মালিক মেহেরপুরের আবুল হাশেম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাঁচানো গেল না গুরুতর আহত পলাশকে!

আপলোড টাইম : ১০:১৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষের ঘটনা
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডে উল্টোপথে আসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত আশরাফুল ইসলাম পলাশ (২১) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘ ১১ দিনেও তাঁর জ্ঞান না ফেরায় অনেকটা হাল ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা। পরিবারের দাবি, অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পলাশ।
নিহত আশরাফুল ইসলাম পলাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ীর মুকুল হোসেনের ছেলে। পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল লতিফের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় ৩ সেপ্টেম্বর সকালে মোটরসাইকেলযোগে ডিউটিতে যাচ্ছিলেন পলাশ। পথের মধ্যে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে একটু সামনে যেতেই ভুল পথে আসা বরিশালগামী আলসানি পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭১৪৫) তাঁর মোটরসাইকেলটিকে সামনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে সড়কের ওপর আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হন পলাশ। উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহীতে রেফার্ড করেন।
এদিকে, বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত পলাশের কোনো প্রকার খোঁজখবর বা আর্থিক সহযোগিতা করেনি বাসটির মালিকপক্ষ। বরং ঘটনার দিন দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলসানি পরিবহনের মালিক মেহেরপুরের আবুল হাশেম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।