ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঁচতে চাই তেজাউল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০
  • / ২৩৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ভাঙাচোরা বেড়ায় ঘেরা শোবার ঘর। জোছনার চাঁদ ও দিনের আলো উকিঁ দেয় সেই ভাঙা দিয়ে। স্যাঁত স্যাঁতে উঠোন। ঝোপঝাড়ে আবৃত্ত ছোট্ট ওই বাড়িতেই তিন মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন তেজাউল। ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তাঁর হাতছানি দিয়ে ডাকে সর্বক্ষণ। টাকার অভাবে পিতার এই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যাত্রা দেখে তিন শিশুকন্যা। কিন্তু কিছুই করার নেই পিতার জন্য। সহায় সম্পদ বলতে ওই ভিটে বাড়িটুকুই। হতদরিদ্র তেজাউলের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ের খেঁজুরতলা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম ছনু মোল্লা। সংসারে অভাব থাকলেও শান্তির কমতি ছিল না ছুনু মোল্লার পরিবারে। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের কাছে যান। ধরা পড়ে ফুসফুসে ক্যানসা। কিন্তু চিকিৎসার মতো কোনো অর্থ নেই তেজাউলের। বড় মেয়েটির বয়স মহিনার বয়স ১৪ বছর। তুহিনার ১০ ও তানিয়ার ৭। পিতার এই অবস্থা দেখে তাঁদের মন ভালো নেই। পড়ালেখা বন্ধ। নেই সংসারে আয় রোজগার। পিতার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে। কোথায় পাবে এতো টাকা? গ্রামের অনেকের সহযোগিতায় তেজাউল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন তাঁর কোনো অর্থ নেই। নিজে বাঁচতে না পারলে শিশু তিন সন্তান আশ্রয় হারাবে। তাঁদের চিন্তায় বিভর তেজাউল। খেঁজুরতলা গ্রামের মো. মুজিবর রহমান ও মো. হাসান জানিয়েছেন, তেজাউলের চিকিৎসায় যদি সমাজের দানশীল বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন, তবে পরিবারটি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে। তেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ ০১৯৪০-৫৩৭৯২৭ (বিকাশ)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বাঁচতে চাই তেজাউল

আপলোড টাইম : ১০:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
ভাঙাচোরা বেড়ায় ঘেরা শোবার ঘর। জোছনার চাঁদ ও দিনের আলো উকিঁ দেয় সেই ভাঙা দিয়ে। স্যাঁত স্যাঁতে উঠোন। ঝোপঝাড়ে আবৃত্ত ছোট্ট ওই বাড়িতেই তিন মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন তেজাউল। ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তাঁর হাতছানি দিয়ে ডাকে সর্বক্ষণ। টাকার অভাবে পিতার এই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যাত্রা দেখে তিন শিশুকন্যা। কিন্তু কিছুই করার নেই পিতার জন্য। সহায় সম্পদ বলতে ওই ভিটে বাড়িটুকুই। হতদরিদ্র তেজাউলের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ের খেঁজুরতলা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম ছনু মোল্লা। সংসারে অভাব থাকলেও শান্তির কমতি ছিল না ছুনু মোল্লার পরিবারে। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের কাছে যান। ধরা পড়ে ফুসফুসে ক্যানসা। কিন্তু চিকিৎসার মতো কোনো অর্থ নেই তেজাউলের। বড় মেয়েটির বয়স মহিনার বয়স ১৪ বছর। তুহিনার ১০ ও তানিয়ার ৭। পিতার এই অবস্থা দেখে তাঁদের মন ভালো নেই। পড়ালেখা বন্ধ। নেই সংসারে আয় রোজগার। পিতার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে। কোথায় পাবে এতো টাকা? গ্রামের অনেকের সহযোগিতায় তেজাউল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন তাঁর কোনো অর্থ নেই। নিজে বাঁচতে না পারলে শিশু তিন সন্তান আশ্রয় হারাবে। তাঁদের চিন্তায় বিভর তেজাউল। খেঁজুরতলা গ্রামের মো. মুজিবর রহমান ও মো. হাসান জানিয়েছেন, তেজাউলের চিকিৎসায় যদি সমাজের দানশীল বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন, তবে পরিবারটি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে। তেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ ০১৯৪০-৫৩৭৯২৭ (বিকাশ)।