ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বর্ণিল অনুষ্ঠান আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করায় ২৫ নভেম্বর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি লাভ করায় সারাদেশের ন্যায় বর্ণিল আয়োজনে চুয়াডাঙ্গাতেও উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এটি বাঙালি জাতির অসামান্য অর্জন। এই অর্জনকে উদযাপন করা হবে গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া মহল্লায়। আগামী ২৫ নভেম্বর সকাল ১০ টায় জেলা ও সবকটি উপজেলায় এই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় নিজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন ‘আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া জাতির জন্য তথা এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য একটি বিরাট অর্জন। বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে এর অন্তর্ভুক্তির মানে হচ্ছে চিরস্থায়ী বিশ্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা’। এই বিরাট অর্জন উদযাপনের লক্ষ্যে আগামি ২৫ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (চাঁদমারী মাঠ) থেকে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের তথা সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহের অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে, বিশেষত শিক্ষার্থীদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবহিত করায় এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এই উদযাপন শুধুমাত্র উৎসবেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটা হবে সচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচি, যাতে শিক্ষার্থীরা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় আগামী ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (চাঁদমারী মাঠ) থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হবে। র‌্যালিতে অংশ নেওয়া প্রতিটি শিশু শিক্ষার্থীর হাতে থাকবে রং বেরংয়ের বেলুন। বাংলা নববর্ষের ন্যায় নানা সাজে রং বেরংয়ের পোশাক পরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নাচে-গানে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হবে। পরে সেখানে গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠিখেলা ও হাডুডু খেলার আয়োজন করা হবে। একই সাথে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন উল্লেখযোগ্য। সন্ধ্যার পর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বড় পর্দায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রদর্শন করানো হবে এবং আতশ বাজির আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বহুল প্রচারের জন্য দিনব্যাপী উন্নত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বাজানো হবে অনুষ্ঠান স্থলে। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে। এ ছাড়াও বর্নিল আয়োজনে সাজানো এ দিনটি উৎযাপনে কোন ঘাটতি থাকবে না বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা। জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান-পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, জেলা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারী, সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার চেয়ারম্যান নাবিলা রুকছানা ছন্দাসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনীতিবীদ, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি লাভ করায় সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় বর্ণিল আয়োজনে আনন্দ উৎসবে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, আমার সংবাদ সম্পাদক হাশেম রেজাসহ আরো অনেকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বর্ণিল অনুষ্ঠান আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

আপলোড টাইম : ১১:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করায় ২৫ নভেম্বর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি লাভ করায় সারাদেশের ন্যায় বর্ণিল আয়োজনে চুয়াডাঙ্গাতেও উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এটি বাঙালি জাতির অসামান্য অর্জন। এই অর্জনকে উদযাপন করা হবে গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া মহল্লায়। আগামী ২৫ নভেম্বর সকাল ১০ টায় জেলা ও সবকটি উপজেলায় এই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় নিজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন ‘আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া জাতির জন্য তথা এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য একটি বিরাট অর্জন। বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে এর অন্তর্ভুক্তির মানে হচ্ছে চিরস্থায়ী বিশ্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা’। এই বিরাট অর্জন উদযাপনের লক্ষ্যে আগামি ২৫ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (চাঁদমারী মাঠ) থেকে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের তথা সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহের অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে, বিশেষত শিক্ষার্থীদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবহিত করায় এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এই উদযাপন শুধুমাত্র উৎসবেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটা হবে সচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচি, যাতে শিক্ষার্থীরা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় আগামী ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (চাঁদমারী মাঠ) থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হবে। র‌্যালিতে অংশ নেওয়া প্রতিটি শিশু শিক্ষার্থীর হাতে থাকবে রং বেরংয়ের বেলুন। বাংলা নববর্ষের ন্যায় নানা সাজে রং বেরংয়ের পোশাক পরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নাচে-গানে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হবে। পরে সেখানে গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠিখেলা ও হাডুডু খেলার আয়োজন করা হবে। একই সাথে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন উল্লেখযোগ্য। সন্ধ্যার পর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বড় পর্দায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রদর্শন করানো হবে এবং আতশ বাজির আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বহুল প্রচারের জন্য দিনব্যাপী উন্নত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বাজানো হবে অনুষ্ঠান স্থলে। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে। এ ছাড়াও বর্নিল আয়োজনে সাজানো এ দিনটি উৎযাপনে কোন ঘাটতি থাকবে না বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা। জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান-পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, জেলা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারী, সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার চেয়ারম্যান নাবিলা রুকছানা ছন্দাসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনীতিবীদ, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি লাভ করায় সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় বর্ণিল আয়োজনে আনন্দ উৎসবে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, আমার সংবাদ সম্পাদক হাশেম রেজাসহ আরো অনেকে।