বরের বাড়িতে যাত্রী নিয়ে কনে…!
- আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস:
মাইক্রোবাস থেকে নামলেন লাল বেনারসি শাড়ী পরা বধূবেশে এক কনে। প্রচলিত নিয়মানুযায়ী যাত্রীসহ বর কনের বাড়িতে এ ভাবে যাত্রা করেন। অথচ সেই যাত্রায় কনে ও তার সহযাত্রীরা। এমনই ব্যতিক্রমধর্মী বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গাংনী পৌরসভার চৌগাছায়। গতকাল শনিবার দুপুরে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়-স্বজনসহ হাজারো উৎসুক মানুষ। কনে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটির কামরুজ্জামানের মেয়ে। বর গাংনী উপজেলার চৌগাছার জেলা ওয়ার্কাস পাটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদের ছেলে তরিকুল ইসলাম জয়। সকাল থেকেই কমরেড আব্দুল মাবুদের বাড়ির আশেপাশে ছিল বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ ও আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়। ভিন্নধর্মী এ বিয়ের আয়োজন ঘিরে এলাকার মানুষেরও উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। কনেকে বরণ করা হলো ফুল দিয়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বিকেলে বরকে নিয়ে কনে চলে গেছেন তার পিতার বাড়িতে। বিয়ের আয়োজন সম্পর্কে বরের পিতা কমরেড আব্দুল মাবুদ বলেন, আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে অনেকে বলেন পুরুষ শাষিত। তাই পুরুষ শাষিত সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটনোর লক্ষ্যে আমাদের এ আয়োজন। আমাদের দেখে আরও অনেকে আগামীতে এমনটি করবে। নিয়ম অনুযায়ী দুইদিন পর ছেলের বাড়ি থেকে কন্যাকে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু আমরা দুইদিন পর কন্যার বাড়ি থেকে আমাদের ছেলে নিয়ে আসব। প্রতিক্রিয়ায় কনে খাদিজা আক্তার খুশি বলেন, নারী-পুরুষের সমান অধিকার হিসেবে একজন মেয়ে একজন ছেলেকে বিয়ে করতে তাঁর বাড়িতে যেতে পারেন, তা কখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সেই বাধার বৃঁত্ত ভেঙ্গে আমি শুরু করেছি আশা করছি অনেকেই এখন এটি করবেন। একই কথা জানালেন বর জয়। তিনি বলেন, আমারও খুব ভালো লাগছে। এক অন্যরকম অনুভূতি।
বিশিষ্ট সমাজসেবক সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেকে এখানে বিয়ে খেতে এসেছেন আবার দেখতেও এসেছেন বহু মানুষ। কারণ এই প্রথম বরের বাড়িতে বধু বিয়ে করতে এসেছে।