ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হয়ে গেছে ১০ ফুট প্রশস্ত সড়কের পিচকরণ কাজ : আবেদনের একমাসেও হয়নি প্রতিকার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

কয়েক হাজার মানুষের স্বপ্ন আটকে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে!
ওয়াসিম রয়েল: কয়েক হাজার মানুষের স্বপ্ন আটকে গেছে বৈদ্যুতিক একটি খুঁটিতে। ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার মাঝখানে চলমান রাস্তা পাকাকরণের কাজ হয়ে গেছে বন্ধ। ফলে পূরণের আগেই ভাঙতে বসেছে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহি-কৃষ্ণপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের স্বপ্ন। এদিকে, সড়ক পাকাকরণ কাজ সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দিনের পর দিন ঘুরছে গ্রামবাসী। বৈদ্যুতিক খুঁটিটি রাস্তার ওপর থেকে সরাতে গ্রামে ডাক্তার পাড়ার ৮২ জনের গণসাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যান সাক্ষরিত একটি আবেদনও করা হয় মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ অফিস দর্শনা শাখা বরাবর। তবে, আবেদনের দেড় মাস পার হলেও এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তপক্ষ। ফলে থমকে গেছে রাস্তার পাকাকরণ কাজ।
এলাকাসুত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহি-কৃষ্ণপুর গ্রামের ডাক্তার পাড়ার কয়েক হাজার মানুষের বহু দিনের স্বপ্ন তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি পাকাকরণ করা। অবশেষে গ্রামবাসীর স্বপ্ন পুরণে রাস্তা পাকাকরণের কাজ কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হয়। চলমান এই রাস্তার কাজ বাধাগ্রস্থ হয়ে দাড়িয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা পাকাকরণের কাজ।
গ্রামবাসী জানায়, ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি স্থানে একটি বৈদ্যুতিক খুটি থাকায় ঠিকাদার কাজ করতে পারছেনা। সে কারনে কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে বেগমপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান জুলমত বলেন, গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ডাক্তার পাড়ার ৮২ জনের গণসাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যান সাক্ষরিত জরুরী ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক খুটি স্থানান্তর করার আবেদন করি মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ অফিস দর্শনা শাখা বরাবর। এ বাবদ গত মাসের ১৪ তারিখে দর্শনা অফিসে ১ হাজার ৫ শত টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দর্শনা অফিস থেকে প্রধান অফিস মেহেরপুরে পাঠিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের নিকটে আবেদনের একটি কপি দিয়ে অপর কপিতে (জিএম) সাক্ষর নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু আজ প্রায় দেড় মাস অতিক্রম হলেও এর কোন সমাধান হয়নি। তাছাড়া যখনই পল্লি বিদ্যুত অফিসে যাওয়া হয়, তখনই কর্র্তপক্ষ বলে আপনাদের কাজটি দ্রুত হয়ে যাবে। এভাবে দিনের পর দিন কর্র্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ আফিস দর্শনা শাখার এজিএম (কম) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ধরনের জনস্বার্থের কাজ বেধে থাকার কথা না। আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের আবেদন সম্পর্কে আমার সঠিক জানা নেয়। এদিকে রাস্তার কাজ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ঠিকাদার টিটু মিয়া গ্রামবাসীদের জানান, আপনারা পল্লি বিদ্যুতের খুটিটি দ্রুত স্থানান্তর করেন। আমি যত দ্রুত পারি রাস্তা পাকাকরনের কাজ সমাপ্ত করবো।
জনস্বার্থের দিকে তাকিয়ে দ্রুত রাস্তার উপর বৈদ্যুতিক খুটিটি স্থানান্তর করার জন্য মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করছে গ্রামবাসী ও ডাক্তার পাড়ার কয়েক হাজার মানুষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বন্ধ হয়ে গেছে ১০ ফুট প্রশস্ত সড়কের পিচকরণ কাজ : আবেদনের একমাসেও হয়নি প্রতিকার

আপলোড টাইম : ১১:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

কয়েক হাজার মানুষের স্বপ্ন আটকে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে!
ওয়াসিম রয়েল: কয়েক হাজার মানুষের স্বপ্ন আটকে গেছে বৈদ্যুতিক একটি খুঁটিতে। ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার মাঝখানে চলমান রাস্তা পাকাকরণের কাজ হয়ে গেছে বন্ধ। ফলে পূরণের আগেই ভাঙতে বসেছে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহি-কৃষ্ণপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের স্বপ্ন। এদিকে, সড়ক পাকাকরণ কাজ সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দিনের পর দিন ঘুরছে গ্রামবাসী। বৈদ্যুতিক খুঁটিটি রাস্তার ওপর থেকে সরাতে গ্রামে ডাক্তার পাড়ার ৮২ জনের গণসাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যান সাক্ষরিত একটি আবেদনও করা হয় মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ অফিস দর্শনা শাখা বরাবর। তবে, আবেদনের দেড় মাস পার হলেও এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তপক্ষ। ফলে থমকে গেছে রাস্তার পাকাকরণ কাজ।
এলাকাসুত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহি-কৃষ্ণপুর গ্রামের ডাক্তার পাড়ার কয়েক হাজার মানুষের বহু দিনের স্বপ্ন তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি পাকাকরণ করা। অবশেষে গ্রামবাসীর স্বপ্ন পুরণে রাস্তা পাকাকরণের কাজ কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হয়। চলমান এই রাস্তার কাজ বাধাগ্রস্থ হয়ে দাড়িয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা পাকাকরণের কাজ।
গ্রামবাসী জানায়, ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি স্থানে একটি বৈদ্যুতিক খুটি থাকায় ঠিকাদার কাজ করতে পারছেনা। সে কারনে কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে বেগমপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান জুলমত বলেন, গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ডাক্তার পাড়ার ৮২ জনের গণসাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যান সাক্ষরিত জরুরী ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক খুটি স্থানান্তর করার আবেদন করি মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ অফিস দর্শনা শাখা বরাবর। এ বাবদ গত মাসের ১৪ তারিখে দর্শনা অফিসে ১ হাজার ৫ শত টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দর্শনা অফিস থেকে প্রধান অফিস মেহেরপুরে পাঠিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের নিকটে আবেদনের একটি কপি দিয়ে অপর কপিতে (জিএম) সাক্ষর নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু আজ প্রায় দেড় মাস অতিক্রম হলেও এর কোন সমাধান হয়নি। তাছাড়া যখনই পল্লি বিদ্যুত অফিসে যাওয়া হয়, তখনই কর্র্তপক্ষ বলে আপনাদের কাজটি দ্রুত হয়ে যাবে। এভাবে দিনের পর দিন কর্র্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ আফিস দর্শনা শাখার এজিএম (কম) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ধরনের জনস্বার্থের কাজ বেধে থাকার কথা না। আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের আবেদন সম্পর্কে আমার সঠিক জানা নেয়। এদিকে রাস্তার কাজ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ঠিকাদার টিটু মিয়া গ্রামবাসীদের জানান, আপনারা পল্লি বিদ্যুতের খুটিটি দ্রুত স্থানান্তর করেন। আমি যত দ্রুত পারি রাস্তা পাকাকরনের কাজ সমাপ্ত করবো।
জনস্বার্থের দিকে তাকিয়ে দ্রুত রাস্তার উপর বৈদ্যুতিক খুটিটি স্থানান্তর করার জন্য মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করছে গ্রামবাসী ও ডাক্তার পাড়ার কয়েক হাজার মানুষ।