ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩০১ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ১০ জানুয়ারি। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন দেশে ফিরেছিলেন। একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর শহীদের রক্তস্নাত বাংলার মাটি ও মানুষ এই দিন ফিরে পেয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু নিজে তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন- ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বীর বাঙালি। দেশ স্বাধীন হলেও যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা, সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ। ফলে স্বাধীনতা এলেও নেতার অনুপস্থিতিতে অপূর্ণতা থেকে গিয়েছিল বিজয়ের গৌরব উদ্যাপনে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেই থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে। প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে।’ রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘এ বছর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের জনগণ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয়বারের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। নির্বাচনের এ রায় বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের গভীর আস্থা ও অকৃত্রিম ভালোবাসারই প্রতিফলন।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিপুলভাবে বিজয়ী করেছে। আমাদের ওপর দেশের মানুষ যে দৃঢ় আস্থা রেখেছে, আমরা তার পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করব। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আপলোড টাইম : ১০:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ১০ জানুয়ারি। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন দেশে ফিরেছিলেন। একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর শহীদের রক্তস্নাত বাংলার মাটি ও মানুষ এই দিন ফিরে পেয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু নিজে তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন- ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বীর বাঙালি। দেশ স্বাধীন হলেও যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা, সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ। ফলে স্বাধীনতা এলেও নেতার অনুপস্থিতিতে অপূর্ণতা থেকে গিয়েছিল বিজয়ের গৌরব উদ্যাপনে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেই থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে। প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে।’ রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘এ বছর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের জনগণ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয়বারের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। নির্বাচনের এ রায় বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের গভীর আস্থা ও অকৃত্রিম ভালোবাসারই প্রতিফলন।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিপুলভাবে বিজয়ী করেছে। আমাদের ওপর দেশের মানুষ যে দৃঢ় আস্থা রেখেছে, আমরা তার পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করব। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।’