ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকের বদৌলতে রাস্তা পেল বংকিরাবাসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪৯৯ বার পড়া হয়েছে

asd

ঝিনাইদহ অফিস: সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে পাকা রাস্তা পেলেন বংকিরা গ্রামবাসি। রাস্তাটি পাকা করণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ন পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (আই.আর.আই.ডিপি)-২ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি ৩৪লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। আই.আর.আই.ডিপি-২ এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর রাস্তাটির অনুমোদন প্রদান করেন। রাস্তাটি নির্মানে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের একটি সুত্র জানায়, ৩ বছর আগে “আমি বংকিরার মানুষ” নামে একটি ফেসবুক আইডিতে রাস্তাটির গুরুত্ব তুলে ধরে পাকা করণের দাবী জানানো হয়। সেই সাথে তুলে ধরা হয় বর্সা মৌসুমে গ্রামবাসির জনদুর্ভোগের কথা। ঝিনাইদহের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে রাস্তাটির খোজ খবর নেন। এই রাস্তা দিয়ে অনারি ম্যাজিষ্ট্রেট নিখিলেশ্বর চন্দ্র বসুর বাড়ি যেতে হয়। তিনি চল্লিশ দশকের দিকে ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম রাস্তাটির সম্ভব্য ব্যায় নির্নয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়নের সাথে এলজিইডির প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানকে বংকিরা গ্রামে পাঠান। স্থানীয় সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমিকে রাস্তাটি তার অর্থায়নে পাকা করণের জন্য জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম অনুরোধ জানালে তাতে তিনি সম্মতি প্রদান করেন এবং অর্থ বরাদ্দ দেন। “আমি বংকিরার মানুষ” ফেসবুক আইডির এডমিন সিনিয়র সাংবাদিক ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল জানান, রাস্তাটি পাকা করণ গ্রামবাসির প্রণের দাবী ছিল। এই রাস্তাটি প্রকল্পভুক্ত করে যাদের অবদান রয়েছে তাদের কথা গ্রামবাসি আজীবন স্মরণ করবেন। ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, রাস্তাটি এ মাসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। আশা করি টেন্ডার সম্পন্ন করে দ্রুত নির্মান কাজ শেষ করা হবে। এদিকে রাস্তার বাকী অংশ বৃহত্তর যশোর প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে বলে জানান ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড আব্দুল আলীম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফেসবুকের বদৌলতে রাস্তা পেল বংকিরাবাসি

আপলোড টাইম : ০১:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭

asd

ঝিনাইদহ অফিস: সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে পাকা রাস্তা পেলেন বংকিরা গ্রামবাসি। রাস্তাটি পাকা করণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ন পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (আই.আর.আই.ডিপি)-২ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি ৩৪লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। আই.আর.আই.ডিপি-২ এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর রাস্তাটির অনুমোদন প্রদান করেন। রাস্তাটি নির্মানে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের একটি সুত্র জানায়, ৩ বছর আগে “আমি বংকিরার মানুষ” নামে একটি ফেসবুক আইডিতে রাস্তাটির গুরুত্ব তুলে ধরে পাকা করণের দাবী জানানো হয়। সেই সাথে তুলে ধরা হয় বর্সা মৌসুমে গ্রামবাসির জনদুর্ভোগের কথা। ঝিনাইদহের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে রাস্তাটির খোজ খবর নেন। এই রাস্তা দিয়ে অনারি ম্যাজিষ্ট্রেট নিখিলেশ্বর চন্দ্র বসুর বাড়ি যেতে হয়। তিনি চল্লিশ দশকের দিকে ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম রাস্তাটির সম্ভব্য ব্যায় নির্নয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়নের সাথে এলজিইডির প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানকে বংকিরা গ্রামে পাঠান। স্থানীয় সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমিকে রাস্তাটি তার অর্থায়নে পাকা করণের জন্য জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম অনুরোধ জানালে তাতে তিনি সম্মতি প্রদান করেন এবং অর্থ বরাদ্দ দেন। “আমি বংকিরার মানুষ” ফেসবুক আইডির এডমিন সিনিয়র সাংবাদিক ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল জানান, রাস্তাটি পাকা করণ গ্রামবাসির প্রণের দাবী ছিল। এই রাস্তাটি প্রকল্পভুক্ত করে যাদের অবদান রয়েছে তাদের কথা গ্রামবাসি আজীবন স্মরণ করবেন। ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, রাস্তাটি এ মাসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। আশা করি টেন্ডার সম্পন্ন করে দ্রুত নির্মান কাজ শেষ করা হবে। এদিকে রাস্তার বাকী অংশ বৃহত্তর যশোর প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে বলে জানান ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড আব্দুল আলীম।