ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফেইসবুক-টুইটার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: খুব বেশি দূরের কথা নয়। সুস্থ, সমৃদ্ধ ও গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছিল যোগাযোগের সামাজিক মাধ্যম। গণতন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে সবাই সামাজিক মাধ্যমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই মাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য হুমকি কি না, সেই প্রশ্নও ঘুরে-ফিরে উঠছে। ২০০৯ সালে ইরানের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে যে প্রতিবাদী আন্দোলন (সবুজ বিপ্লব) ছড়িয়ে পড়েছিল, তার কৃতিত্ব ফইসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমকেই দেওয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণেই ‘আরব বসন্ত’ দাবানলের মতো বিস্তার লাভ করেছিল। গণতন্ত্রের স্পৃহায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের আরব জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে তিউনিসিয়া, মিসরসহ একাধিক দেশে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। আরব বসন্তে সামাজিক মাধ্যমের রাজনৈতিক প্রভাব সবাইকে অবাক করে। সামাজিক মাধ্যম যোগাযোগকে সহজ করে দিয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে করেছে প্রশস্ত। এই মাধ্যমের আগমনে বিদ্যমান গণতন্ত্র আরও টেকসই হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এবার কর্তৃত্ববাদী শাসকদের পতনঘণ্টা বাজার পালা এসে গেছে। তবে রূঢ় বাস্তবতা হলো, সামাজিক মাধ্যম নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে। ভুয়া তথ্যের তীর্থক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম। ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি ফ্রিডম হাউস বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০১৭’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্যে গত এক বছরে বিশ্বের ১৮টি দেশের নির্বাচন প্রভাবিত হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফেইসবুক-টুইটার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি?

আপলোড টাইম : ১০:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

প্রযুক্তি ডেস্ক: খুব বেশি দূরের কথা নয়। সুস্থ, সমৃদ্ধ ও গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছিল যোগাযোগের সামাজিক মাধ্যম। গণতন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে সবাই সামাজিক মাধ্যমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই মাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য হুমকি কি না, সেই প্রশ্নও ঘুরে-ফিরে উঠছে। ২০০৯ সালে ইরানের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে যে প্রতিবাদী আন্দোলন (সবুজ বিপ্লব) ছড়িয়ে পড়েছিল, তার কৃতিত্ব ফইসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমকেই দেওয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণেই ‘আরব বসন্ত’ দাবানলের মতো বিস্তার লাভ করেছিল। গণতন্ত্রের স্পৃহায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের আরব জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে তিউনিসিয়া, মিসরসহ একাধিক দেশে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। আরব বসন্তে সামাজিক মাধ্যমের রাজনৈতিক প্রভাব সবাইকে অবাক করে। সামাজিক মাধ্যম যোগাযোগকে সহজ করে দিয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে করেছে প্রশস্ত। এই মাধ্যমের আগমনে বিদ্যমান গণতন্ত্র আরও টেকসই হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এবার কর্তৃত্ববাদী শাসকদের পতনঘণ্টা বাজার পালা এসে গেছে। তবে রূঢ় বাস্তবতা হলো, সামাজিক মাধ্যম নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে। ভুয়া তথ্যের তীর্থক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম। ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি ফ্রিডম হাউস বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০১৭’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্যে গত এক বছরে বিশ্বের ১৮টি দেশের নির্বাচন প্রভাবিত হয়েছে।