ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করলেন ডিসি নজরুল ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
  • / ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তের ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিলেন তিন ম্যাজিস্ট্রেট
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাজয়ী তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথম কর্মদিবসে বরণ করে নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। করোনা শনাক্তের ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিলে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করোনাজয়ী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন শিবানী সরকার, আমজাদ হোসেন ও খাইরুল ইসলাম।
গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই করোনাবিরোধী যুদ্ধে মাঠে প্রশাসনের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন সক্রিয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতকরণ, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মধ্যে ত্রাণ সরবরাহ, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, আক্রান্ত হওয়া মানুষকে ফলমূল পাঠানো এমন নানা কাজে জড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, করোনার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হলো মনোবল ঠিক রাখা। আশপাশের মানুষের কথায় কান না দিয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনা মতো চলতে হবে। চিন্তিত না হয়ে মনোবল ঠিক রাখলে করোনা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত বেশ কয়েকটি ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি দুধ, ডিম, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি’ যুক্ত খাবার খেয়েছি। সঙ্গে ছিল গরম পানি। লবণ মেশানো গরম পানি দিয়ে দিনে ৫-৬ বার গার্গল করেছি।’
এক সংক্ষিপ্ত অনুভূতিতে তাঁরা বলেন, ‘জনসেবায় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছি আমরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাঠ প্রশাসনে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। আক্রান্ত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক স্যার নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। মনোবল বৃদ্ধি করেছেন। আজ তিনি আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সেটা আমাদের আরও বেশি কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তাদের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। ১৬ মে নমুনা পরীক্ষায় তাঁরা করোনা শনাক্ত হন। ২৮ মে নমুনা পুনঃপরীক্ষায় তাঁদের ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন তাঁরা। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৯ জন ও মারা গেছেন ১ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করলেন ডিসি নজরুল ইসলাম

আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তের ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিলেন তিন ম্যাজিস্ট্রেট
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাজয়ী তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথম কর্মদিবসে বরণ করে নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। করোনা শনাক্তের ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিলে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করোনাজয়ী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন শিবানী সরকার, আমজাদ হোসেন ও খাইরুল ইসলাম।
গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই করোনাবিরোধী যুদ্ধে মাঠে প্রশাসনের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন সক্রিয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতকরণ, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মধ্যে ত্রাণ সরবরাহ, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, আক্রান্ত হওয়া মানুষকে ফলমূল পাঠানো এমন নানা কাজে জড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, করোনার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হলো মনোবল ঠিক রাখা। আশপাশের মানুষের কথায় কান না দিয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনা মতো চলতে হবে। চিন্তিত না হয়ে মনোবল ঠিক রাখলে করোনা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত বেশ কয়েকটি ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি দুধ, ডিম, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি’ যুক্ত খাবার খেয়েছি। সঙ্গে ছিল গরম পানি। লবণ মেশানো গরম পানি দিয়ে দিনে ৫-৬ বার গার্গল করেছি।’
এক সংক্ষিপ্ত অনুভূতিতে তাঁরা বলেন, ‘জনসেবায় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছি আমরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাঠ প্রশাসনে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। আক্রান্ত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক স্যার নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। মনোবল বৃদ্ধি করেছেন। আজ তিনি আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সেটা আমাদের আরও বেশি কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তাদের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। ১৬ মে নমুনা পরীক্ষায় তাঁরা করোনা শনাক্ত হন। ২৮ মে নমুনা পুনঃপরীক্ষায় তাঁদের ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন তাঁরা। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৯ জন ও মারা গেছেন ১ জন।