ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফার্মেসি মালিক মামুনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের জেল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৮০৬ বার পড়া হয়েছে

কার্পাসডাঙ্গার মামুন ফার্মেসিতে এনএসআই ও পুলিশের যৌথ অভিযান : নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর সহায়তায় দামুড়হুদা মডেল থানাসহ কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মামুন ফার্মেসিতে অভিযানা চালায়। অভিযানকালে নিষিদ্ধ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেটসহ ফার্মেসি মালিক মামুনকে আটক করে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে একমাসের জেল দেওয়া হয়। সাথে সাথে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে জেলখাটার হাত থেকে রক্ষা পান ফার্মেসি মালিক মামুন।
জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মামুন ফার্মেসির মামুন দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট’র ব্যাবসা করে আসছিলো। ভ্যাট ট্যাক্স ফাকি দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা এসকল ঔষধ দেদারছে নিজ ফার্মেসিতে বিক্রি করতো মামুন। তার এ অবৈধ ব্যবসার বিষয়ে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সংবাদের সুত্র ধরে এনএসআই চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু জাফর ইকবালের নির্দেশে সহকারি পরিচালক লুৎফুল কবির, সহকারি পরিচালক তপু কুমার ভৌমিক, পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম এর সহায়তায় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ও কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির এসআই মাসুদ গতকাল শনিবার সকাল ১১টার সময় কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মামুন ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিপুল পরিমানে নিষিদ্ধ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ও গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট অনাগ্রা ও ডেক্সামিথাসন উদ্ধার করে। এসকল ওষধের আনুমানিক বাজার মুল্য ৩০ হাজার টাকা বলে জানা যায়।
পরে আটককৃত আসামী মামুনকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নেয়া হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে একমাসের জেল দেন। সে সময়ই জরিমানার টাকা পরিষদ করে জেলখাটার হাত থেকে রক্ষা পান ফার্মেসি মালিক মামুন। একই সময়ে উদ্ধারকৃত এসকল নিষিদ্ধ ভারতীয় ঔষধ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফার্মেসি মালিক মামুনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের জেল

আপলোড টাইম : ১১:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৮

কার্পাসডাঙ্গার মামুন ফার্মেসিতে এনএসআই ও পুলিশের যৌথ অভিযান : নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর সহায়তায় দামুড়হুদা মডেল থানাসহ কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মামুন ফার্মেসিতে অভিযানা চালায়। অভিযানকালে নিষিদ্ধ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেটসহ ফার্মেসি মালিক মামুনকে আটক করে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে একমাসের জেল দেওয়া হয়। সাথে সাথে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে জেলখাটার হাত থেকে রক্ষা পান ফার্মেসি মালিক মামুন।
জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মামুন ফার্মেসির মামুন দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট’র ব্যাবসা করে আসছিলো। ভ্যাট ট্যাক্স ফাকি দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা এসকল ঔষধ দেদারছে নিজ ফার্মেসিতে বিক্রি করতো মামুন। তার এ অবৈধ ব্যবসার বিষয়ে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সংবাদের সুত্র ধরে এনএসআই চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু জাফর ইকবালের নির্দেশে সহকারি পরিচালক লুৎফুল কবির, সহকারি পরিচালক তপু কুমার ভৌমিক, পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম এর সহায়তায় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ও কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির এসআই মাসুদ গতকাল শনিবার সকাল ১১টার সময় কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মামুন ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিপুল পরিমানে নিষিদ্ধ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ও গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট অনাগ্রা ও ডেক্সামিথাসন উদ্ধার করে। এসকল ওষধের আনুমানিক বাজার মুল্য ৩০ হাজার টাকা বলে জানা যায়।
পরে আটককৃত আসামী মামুনকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নেয়া হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে একমাসের জেল দেন। সে সময়ই জরিমানার টাকা পরিষদ করে জেলখাটার হাত থেকে রক্ষা পান ফার্মেসি মালিক মামুন। একই সময়ে উদ্ধারকৃত এসকল নিষিদ্ধ ভারতীয় ঔষধ পুড়িয়ে ফেলা হয়।