ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফরজ ইবাদত সালাতের গুরুত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১২৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
সালাত একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামী পরিভাষায় শরিয়তের নিয়ম মোতাবেক রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পদ্ধতিতে আল্লাহর গুণগান, রুকু-সিজদাসহ তাঁর ইবাদত করাকে সালাত বলে। বান্দার জন্য তা অবশ্যপালনীয়। শুদ্ধভাবে যারা সালাত আদায় করে আল্লাহ তাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেন। আল কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদের নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো জীবনোপকরণ চাই না; আমিই আপনাকে জীবনোপকরণ দিই আর আল্লাহভীরুতার পরিণাম শুভ।’ সুরা তোয়াহা, আয়াত ১৩২। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব তারা যেন এ ঘরের (বায়তুল্লাহ) পালনকর্তার উপাসনা করে। যিনি তাদের ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভীতি থেকে নিরাপত্তা দান করেছেন।’ সুরা কুরাইশ, আয়াত ৩-৪। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন হে আদমসন্তান! তুমি নিজেকে আমার ইবাদতের জন্য মুক্ত করে দাও, আমি তোমার বক্ষকে ঐশ্বর্য ও অভাবহীনতা দ্বারা পূর্ণ করে দেব। তোমার দারিদ্র্য ও অভাব দূর করে দেব। আর যদি তা না কর তবে আমি তোমার অন্তরকে ব্যস্ততা দ্বারা পূর্ণ করব এবং তোমার দারিদ্র্য দূর করব না।’ তিরমিজি, ইবনে কাসির।
উবাদা ইবনে সামেত (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক নিখুঁতভাবে অজু করে সালাতে দাঁড়ায়, রুকু সিজদা সঠিকভাবে আদায় করে এবং কিরাত বিশুদ্ধভাবে পাঠ করে সালাত শেষ করে সালাত তাকে বলে তুমি আমাকে হেফাজত করেছ আল্লাহও তেমনিভাবে তোমাকে রক্ষা করুন। এরপর ওই সালাত আলোর আভা ছড়াতে ছড়াতে ঊর্ধ্বপানে উঠতে থাকে। তার জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে যায়। এরপর তা আল্লাহর সমীপে পৌঁছে সেই সালাতকারীর জন্য সুপারিশ করে। আর যদি (এর বিপরীত) রুকু-সিজদা ও কিরাত সঠিক ও বিশুদ্ধভাবে সম্পন্ন না করে তবে সালাত তাকে বলে তুমি যেমন আমাকে বিনষ্ট করলে অনুরূপ আল্লাহও তোমাকে ধ্বংস করুন। অনন্তর তা অন্ধকারে আচ্ছন্ন অবস্থায় ঊর্ধ্বপানে উঠতে থাকে। তার জন্য আসমানের দুয়ারসমূহ বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই সালাতকে পুরনো কাপড়ের মতো গুটিয়ে সালাতকারীর মুখে ছুড়ে মারা হয়।’ বায়হাকি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ফরজ ইবাদত সালাতের গুরুত্ব

আপলোড টাইম : ১০:২০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন:
সালাত একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামী পরিভাষায় শরিয়তের নিয়ম মোতাবেক রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পদ্ধতিতে আল্লাহর গুণগান, রুকু-সিজদাসহ তাঁর ইবাদত করাকে সালাত বলে। বান্দার জন্য তা অবশ্যপালনীয়। শুদ্ধভাবে যারা সালাত আদায় করে আল্লাহ তাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেন। আল কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদের নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো জীবনোপকরণ চাই না; আমিই আপনাকে জীবনোপকরণ দিই আর আল্লাহভীরুতার পরিণাম শুভ।’ সুরা তোয়াহা, আয়াত ১৩২। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব তারা যেন এ ঘরের (বায়তুল্লাহ) পালনকর্তার উপাসনা করে। যিনি তাদের ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভীতি থেকে নিরাপত্তা দান করেছেন।’ সুরা কুরাইশ, আয়াত ৩-৪। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন হে আদমসন্তান! তুমি নিজেকে আমার ইবাদতের জন্য মুক্ত করে দাও, আমি তোমার বক্ষকে ঐশ্বর্য ও অভাবহীনতা দ্বারা পূর্ণ করে দেব। তোমার দারিদ্র্য ও অভাব দূর করে দেব। আর যদি তা না কর তবে আমি তোমার অন্তরকে ব্যস্ততা দ্বারা পূর্ণ করব এবং তোমার দারিদ্র্য দূর করব না।’ তিরমিজি, ইবনে কাসির।
উবাদা ইবনে সামেত (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক নিখুঁতভাবে অজু করে সালাতে দাঁড়ায়, রুকু সিজদা সঠিকভাবে আদায় করে এবং কিরাত বিশুদ্ধভাবে পাঠ করে সালাত শেষ করে সালাত তাকে বলে তুমি আমাকে হেফাজত করেছ আল্লাহও তেমনিভাবে তোমাকে রক্ষা করুন। এরপর ওই সালাত আলোর আভা ছড়াতে ছড়াতে ঊর্ধ্বপানে উঠতে থাকে। তার জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে যায়। এরপর তা আল্লাহর সমীপে পৌঁছে সেই সালাতকারীর জন্য সুপারিশ করে। আর যদি (এর বিপরীত) রুকু-সিজদা ও কিরাত সঠিক ও বিশুদ্ধভাবে সম্পন্ন না করে তবে সালাত তাকে বলে তুমি যেমন আমাকে বিনষ্ট করলে অনুরূপ আল্লাহও তোমাকে ধ্বংস করুন। অনন্তর তা অন্ধকারে আচ্ছন্ন অবস্থায় ঊর্ধ্বপানে উঠতে থাকে। তার জন্য আসমানের দুয়ারসমূহ বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই সালাতকে পুরনো কাপড়ের মতো গুটিয়ে সালাতকারীর মুখে ছুড়ে মারা হয়।’ বায়হাকি।