ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকার উপর অভিমানে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: প্রেমঘটিত কারণে ইবি ছাত্রী মুনতা হেনার আত্মহত্যার পর এবার আল-আমিন (২০) নামে এক যুবক নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আল-আমিন ঝিনাইদহ পৌরসভার চর খাজুরা আবাসনের মাজেদ আলীর ছেলে। গতকাল রোববার দুপুরে চরমুরারীদহ গ্রামের মাঠ থেকে আল-আমিনের হাতের রগকাটা ও গলায় গুরুতর ক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আল-আমিনের চাচাতো ভাই বিপ্লব হোসেন জানান, দুপুর দুইটার দিকে একটি ফোন পেয়ে তারা চরমুরারীদহ গ্রামের মাঠ থেকে আল-আমিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে। আল আমিন আগে রং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো। এখন আমতলা মোকিমপুর বাজারের একটি হোটেলে কাজ করে। প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রের বরাত দিয়ে আল আমিনের পিতা মাজেদ আলী জানান, রোববার দুপুরে আল আমিন ও তার প্রেমিকা চরমুরারীদহ গ্রামের মাঠে গল্প করছিলেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এরপরও আল আমিন নিজের গলায় ছুরি বা ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তার স্বজন ও আবাসনের বন্ধু বান্ধবরা উদ্ধার করে। আল আমিন গুরুতর আহত অবস্থায় তার পিতাকে ফোন দিয়ে বলেন “আব্বা হয়তো আমি আর বাঁচবো না। আমাকে উদ্ধার করো বাঁচাও”। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধয়ক ডাঃ আইয়ূব আলী জানান, আল আমিনের শ্বাসনালী কেটে গেছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান এবং আহত যুবককে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওসি বলেন বোঝা যাচ্ছে প্রেমিকার সাথে মান অভিমান করে যুবক আল আমিন আত্মহত্যার টেষ্টা করেছে। তারপরও মেয়েটির সন্ধান করছে পুলিশ। এ ছাড়া যুবক আল আমিনের মোবাইলের কল লিষ্ট যাচাই বাছঅই করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রেমিকার উপর অভিমানে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের

আপলোড টাইম : ০৮:৩১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: প্রেমঘটিত কারণে ইবি ছাত্রী মুনতা হেনার আত্মহত্যার পর এবার আল-আমিন (২০) নামে এক যুবক নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আল-আমিন ঝিনাইদহ পৌরসভার চর খাজুরা আবাসনের মাজেদ আলীর ছেলে। গতকাল রোববার দুপুরে চরমুরারীদহ গ্রামের মাঠ থেকে আল-আমিনের হাতের রগকাটা ও গলায় গুরুতর ক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আল-আমিনের চাচাতো ভাই বিপ্লব হোসেন জানান, দুপুর দুইটার দিকে একটি ফোন পেয়ে তারা চরমুরারীদহ গ্রামের মাঠ থেকে আল-আমিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে। আল আমিন আগে রং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো। এখন আমতলা মোকিমপুর বাজারের একটি হোটেলে কাজ করে। প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রের বরাত দিয়ে আল আমিনের পিতা মাজেদ আলী জানান, রোববার দুপুরে আল আমিন ও তার প্রেমিকা চরমুরারীদহ গ্রামের মাঠে গল্প করছিলেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এরপরও আল আমিন নিজের গলায় ছুরি বা ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তার স্বজন ও আবাসনের বন্ধু বান্ধবরা উদ্ধার করে। আল আমিন গুরুতর আহত অবস্থায় তার পিতাকে ফোন দিয়ে বলেন “আব্বা হয়তো আমি আর বাঁচবো না। আমাকে উদ্ধার করো বাঁচাও”। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধয়ক ডাঃ আইয়ূব আলী জানান, আল আমিনের শ্বাসনালী কেটে গেছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান এবং আহত যুবককে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওসি বলেন বোঝা যাচ্ছে প্রেমিকার সাথে মান অভিমান করে যুবক আল আমিন আত্মহত্যার টেষ্টা করেছে। তারপরও মেয়েটির সন্ধান করছে পুলিশ। এ ছাড়া যুবক আল আমিনের মোবাইলের কল লিষ্ট যাচাই বাছঅই করা হচ্ছে।