ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রশংসায় ভাসছেন সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে পাখির বাসা তৈরির ভিডিও
সমীকরণ প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে টানা লকডাউনে অভুক্ত পাখিদের খাবারের আবদার মিটিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। সম্প্রতি পাখির বাসা তৈরি করে মহৎ কাজে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন পশু-পাখিদের পাশে থাকা এই পুলিশ কর্মকর্তা। পাখির অভয়ারণ্য গড়তে চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে গাছের ডালে ডালে নীড় বেঁধে দিচ্ছেন তিনি। গত সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে গাছের ডালে কলস ও বাঁশের তৈরি পাখির বাসা বেঁধে দিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি এমন উদ্যোগের আদ্যোপান্ত নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি ভিডিও চিত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা দেন সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। আর তাতেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি। দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর বিশেষ প্রতিবেদক এস এম শাফায়েতের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় নির্মিত ভিডিও চিত্রটি SM Shafayet ’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গত ১৫ ডিসেম্বর ভোররাতে প্রকাশিত ভিডিওটি গত রাত ১২টা পর্যন্ত দেখেছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। মন্তব্য করেছেন প্রায় ১ হাজার ৫ শ জন, লাইক করেছেন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ও শেয়ার করেছেন ১৩ হাজারেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী। ফেসবুকের তথ্যমতে, সবমিলিয়ে তাঁর এই ভিডিওটি প্রায় ২৫ লাখ মানুষের সামনে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, ‘পুলিশের বিচরণ যেখানে, পাখিদের অভয়ারণ্য সেখানে’ স্লোগানে পাখিদের বাসা গড়ার উদ্যোগ নেন সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। জেলার ৫টি থানা, একটি ফাঁড়ি, ৩০টি ক্যাম্প ও ৩৯টি স্থাপনায় পাখিদের অবাধ বিচরণে পাঁচ হাজার মাটির কলস ও বাঁশের খুঁপড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। যেখানে বাস করতে পারবে ২০-২৫ হাজার পাখি।
এ প্রসঙ্গে সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, করোনাকালে মানুষ যখন গৃহবন্দি ছিল, তখন তিনি তিন বেলা পাখিদের খাবার ব্যবস্থা করে দিতেন। এখনো তিনি পাখিদের সেই খাবার সরবরাহ করেন। তবে এবার পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান গড়তে নিজ উদ্যোগে এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। তবে এ নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রটি যে এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলবে, তা অকল্পনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাই আলোচনা, সমালোচনা ও পরামর্শ দেওয়া সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস।
ভিডিও নির্মাণ ও প্রকাশ প্রসঙ্গে সাংবাদিক এস এম শাফায়েত বলেন, ‘যেকোনো ভালো কাজে সম্পৃক্ত হতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগে। সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিয়মিত চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বর, রেলবাজারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাখিদের খাবার দিতেন। এক দিন এ দৃশ্য চোখে পড়লে পাখিদের খাবারের আবদার মেটানো নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করি। কিছুদিন আগে তিনি পাখিদের বাসা তৈরি করে দেবেন শুনে আবারও একটি ভিডিও তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর ভালো কাজের আদ্যোপান্ত নিয়ে এই ভিডিওটি নির্মাণ করি। যেটি আমার SM Shafayet ফেসবুক পেজ এ প্রকাশ করি। তবে এতটা সাড়া পাব, তা আশা করিনি। অনেকে নিয়মিত এ ধরণের ভালো কাজের ভিডিও চেয়ে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ভিডিও নির্মাণে একটা বড় অঙ্কের খরচ থাকায় হয়ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব না। তবে চেষ্টা করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রশংসায় ভাসছেন সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস

আপলোড টাইম : ১১:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে পাখির বাসা তৈরির ভিডিও
সমীকরণ প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে টানা লকডাউনে অভুক্ত পাখিদের খাবারের আবদার মিটিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। সম্প্রতি পাখির বাসা তৈরি করে মহৎ কাজে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন পশু-পাখিদের পাশে থাকা এই পুলিশ কর্মকর্তা। পাখির অভয়ারণ্য গড়তে চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে গাছের ডালে ডালে নীড় বেঁধে দিচ্ছেন তিনি। গত সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে গাছের ডালে কলস ও বাঁশের তৈরি পাখির বাসা বেঁধে দিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি এমন উদ্যোগের আদ্যোপান্ত নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি ভিডিও চিত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা দেন সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। আর তাতেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি। দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর বিশেষ প্রতিবেদক এস এম শাফায়েতের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় নির্মিত ভিডিও চিত্রটি SM Shafayet ’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গত ১৫ ডিসেম্বর ভোররাতে প্রকাশিত ভিডিওটি গত রাত ১২টা পর্যন্ত দেখেছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। মন্তব্য করেছেন প্রায় ১ হাজার ৫ শ জন, লাইক করেছেন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ও শেয়ার করেছেন ১৩ হাজারেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী। ফেসবুকের তথ্যমতে, সবমিলিয়ে তাঁর এই ভিডিওটি প্রায় ২৫ লাখ মানুষের সামনে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, ‘পুলিশের বিচরণ যেখানে, পাখিদের অভয়ারণ্য সেখানে’ স্লোগানে পাখিদের বাসা গড়ার উদ্যোগ নেন সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। জেলার ৫টি থানা, একটি ফাঁড়ি, ৩০টি ক্যাম্প ও ৩৯টি স্থাপনায় পাখিদের অবাধ বিচরণে পাঁচ হাজার মাটির কলস ও বাঁশের খুঁপড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। যেখানে বাস করতে পারবে ২০-২৫ হাজার পাখি।
এ প্রসঙ্গে সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, করোনাকালে মানুষ যখন গৃহবন্দি ছিল, তখন তিনি তিন বেলা পাখিদের খাবার ব্যবস্থা করে দিতেন। এখনো তিনি পাখিদের সেই খাবার সরবরাহ করেন। তবে এবার পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান গড়তে নিজ উদ্যোগে এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। তবে এ নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রটি যে এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলবে, তা অকল্পনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাই আলোচনা, সমালোচনা ও পরামর্শ দেওয়া সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস।
ভিডিও নির্মাণ ও প্রকাশ প্রসঙ্গে সাংবাদিক এস এম শাফায়েত বলেন, ‘যেকোনো ভালো কাজে সম্পৃক্ত হতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগে। সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিয়মিত চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বর, রেলবাজারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাখিদের খাবার দিতেন। এক দিন এ দৃশ্য চোখে পড়লে পাখিদের খাবারের আবদার মেটানো নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করি। কিছুদিন আগে তিনি পাখিদের বাসা তৈরি করে দেবেন শুনে আবারও একটি ভিডিও তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর ভালো কাজের আদ্যোপান্ত নিয়ে এই ভিডিওটি নির্মাণ করি। যেটি আমার SM Shafayet ফেসবুক পেজ এ প্রকাশ করি। তবে এতটা সাড়া পাব, তা আশা করিনি। অনেকে নিয়মিত এ ধরণের ভালো কাজের ভিডিও চেয়ে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ভিডিও নির্মাণে একটা বড় অঙ্কের খরচ থাকায় হয়ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব না। তবে চেষ্টা করব।’