ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন : খালেদা জিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতিকে প্রভাবিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘দেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতিকে এক্সপ্লয়েট করার জন্য শেখ হাসিনা ভারত সফরের আগে আলেম সম্মেলন করেন। ফিরে এসে গতকালই আবার হেফাজতে ইসলাম প্রভাবিত কওমি মাদ্রাসার ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলেমদের সঙ্গে তাঁর অতীত আচরণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর ক্রমাগত আঘাতের কথা দেশবাসী নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি। এখন তিনি নিজেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। অতীতেও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার লক্ষ্যে দেশে ইসলামী শরিয়তি আইন চালুর জন্য একই ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। এখন কওমি মাদ্রাসা সনদকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে ধোঁকা দিচ্ছেন। কওমি শিক্ষার উন্নয়নে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের অবদান তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের সরকার দায়িত্বে থাকার সময় মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি আমাদের সরকার দিয়েছিল। সেটা গেজেট নোটিফিকেশনও হয়েছিল। পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা কার্যকর হয়। গত ১১ বছরে মাদ্রাসা-বিরোধী সরকারগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের কারণে বিষয়টি আর এগোতে পারেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রধানমন্ত্রী ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন : খালেদা জিয়া

আপলোড টাইম : ০৪:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতিকে প্রভাবিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘দেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতিকে এক্সপ্লয়েট করার জন্য শেখ হাসিনা ভারত সফরের আগে আলেম সম্মেলন করেন। ফিরে এসে গতকালই আবার হেফাজতে ইসলাম প্রভাবিত কওমি মাদ্রাসার ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলেমদের সঙ্গে তাঁর অতীত আচরণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর ক্রমাগত আঘাতের কথা দেশবাসী নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি। এখন তিনি নিজেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। অতীতেও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার লক্ষ্যে দেশে ইসলামী শরিয়তি আইন চালুর জন্য একই ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। এখন কওমি মাদ্রাসা সনদকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে ধোঁকা দিচ্ছেন। কওমি শিক্ষার উন্নয়নে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের অবদান তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের সরকার দায়িত্বে থাকার সময় মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি আমাদের সরকার দিয়েছিল। সেটা গেজেট নোটিফিকেশনও হয়েছিল। পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা কার্যকর হয়। গত ১১ বছরে মাদ্রাসা-বিরোধী সরকারগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের কারণে বিষয়টি আর এগোতে পারেনি।