ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিনই বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণ, গ্রামেও করোনার থাবা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
  • / ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় কোভিড-১৯ উপসর্গে তিনজনের মৃত্যু, আরও ৪০ জনের করোনা শনাক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে মহামারি করোনাভাইরাস। প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শহর থেকে গ্রামে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। আগে সংক্রমণের হার পৌর এলাকা বা শহরে বেশি থাকলেও এখন সেটা প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে যেয়ে পৌঁছেছে। ফলে বেড়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ফলোআপ রিপোর্টসহ আরও ৪০ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার খবরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছ জেলাবাসীর মধ্যে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসে ৭৬ জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ৪০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং বাকি ৩৬ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫৬ জন। গতকাল জেলায় নতুন আক্রান্ত ৪০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ২৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯ জন এবং দামুড়হুদা উপজেলার ৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন ও নারী ১৯ জন। বয়স ১৭ থেকে ৯২ বছর পর্যন্ত। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সেফাউর রহমান (৬২), ভৈরব মিয়া (৫০) ও মাওলানা জামাল উদ্দিন (৫৫) নামের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেফাউর রহমানের মৃত্যু হয়, গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে ভৈরব মিয়ার মৃত্যু হয় এবং গতকাল সকাল সাতটার দিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মাওলানা জামাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়। নিহত সেফাউর রহমান চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মৃত রাজু মিয়ার ছেলে, ভৈরব মিয়া পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ার বাসিন্দা ও মাওলানা জামাল উদ্দিন দামুড়হুদা উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মো. ওয়াসিলের ছেলে।
জানা যায়, সেফাউর রহমান দীর্ঘদিন যাবত সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখানে তাঁর শরীরে করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি রাখেন। ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল রোববার জোহরের নামাজের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা ও দাফনকার্য সম্পন্ন করেন তাকওয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
এদিকে, গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে পরিবারের সদস্যরা সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ভৈরব মিয়াকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয় তাঁর পরিবার। ভৈরব মিয়ার শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি রাখেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
অপর দিকে, দামুড়হুদা উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মাওলানা জামাল উদ্দিনের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত দুই দিন আগে তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার সকাল সাতটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা ও দাফনকার্য সম্পন্ন করেন তাকওয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, ভৈরব মিয়া ও সেফাউর রহমান দীর্ঘদিন যাবত সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেফাউর রহমানের মৃত্যু হয় এবং গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে ভৈরব মিয়ার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর নিহতের শরীর থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং করোনা প্রটোকলে নিহতদের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। গতকাল রাত ১০টায় উক্ত ৭৭টি নমুনার মধ্যে ৭৬ জনের ফলাফল এসে পৌঁছায় এবং একটি নমুনা রিজেক্ট করে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব। গতকাল রোববার করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮০টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। সদর উপজেলা থেকে ৩১টি, দামুড়হুদা উপজেলা থেকে ১৮টি, জীবননগর উপজেলা থেকে ৩১টি নমুনাসহ সংগৃহীত ৮০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, জেলায় নতুন ৪০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় মৃত্যুর হার কম থাকলেও ইতোমধ্যে ৮৫৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হতে। বাড়ির বাইরে বের হলেই মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৩ হাজার ৯১০টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৩ হাজার ৬৯২টি, পজিটিভ ৮৫৬ জন ও নেগেটিভ ২৮৩৮ জন। গতকাল জেলায় নতুন ১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৪২২ জন ও মৃত্যু ১৩ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন ৩৬ জন ও হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৮১ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রতিদিনই বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণ, গ্রামেও করোনার থাবা!

আপলোড টাইম : ০৯:০২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় কোভিড-১৯ উপসর্গে তিনজনের মৃত্যু, আরও ৪০ জনের করোনা শনাক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে মহামারি করোনাভাইরাস। প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শহর থেকে গ্রামে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। আগে সংক্রমণের হার পৌর এলাকা বা শহরে বেশি থাকলেও এখন সেটা প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে যেয়ে পৌঁছেছে। ফলে বেড়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ফলোআপ রিপোর্টসহ আরও ৪০ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার খবরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছ জেলাবাসীর মধ্যে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসে ৭৬ জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ৪০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং বাকি ৩৬ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫৬ জন। গতকাল জেলায় নতুন আক্রান্ত ৪০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ২৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯ জন এবং দামুড়হুদা উপজেলার ৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন ও নারী ১৯ জন। বয়স ১৭ থেকে ৯২ বছর পর্যন্ত। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সেফাউর রহমান (৬২), ভৈরব মিয়া (৫০) ও মাওলানা জামাল উদ্দিন (৫৫) নামের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেফাউর রহমানের মৃত্যু হয়, গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে ভৈরব মিয়ার মৃত্যু হয় এবং গতকাল সকাল সাতটার দিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মাওলানা জামাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়। নিহত সেফাউর রহমান চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মৃত রাজু মিয়ার ছেলে, ভৈরব মিয়া পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ার বাসিন্দা ও মাওলানা জামাল উদ্দিন দামুড়হুদা উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মো. ওয়াসিলের ছেলে।
জানা যায়, সেফাউর রহমান দীর্ঘদিন যাবত সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখানে তাঁর শরীরে করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি রাখেন। ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল রোববার জোহরের নামাজের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা ও দাফনকার্য সম্পন্ন করেন তাকওয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
এদিকে, গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে পরিবারের সদস্যরা সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ভৈরব মিয়াকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয় তাঁর পরিবার। ভৈরব মিয়ার শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি রাখেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
অপর দিকে, দামুড়হুদা উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মাওলানা জামাল উদ্দিনের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত দুই দিন আগে তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার সকাল সাতটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা ও দাফনকার্য সম্পন্ন করেন তাকওয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, ভৈরব মিয়া ও সেফাউর রহমান দীর্ঘদিন যাবত সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেফাউর রহমানের মৃত্যু হয় এবং গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে ভৈরব মিয়ার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর নিহতের শরীর থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং করোনা প্রটোকলে নিহতদের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। গতকাল রাত ১০টায় উক্ত ৭৭টি নমুনার মধ্যে ৭৬ জনের ফলাফল এসে পৌঁছায় এবং একটি নমুনা রিজেক্ট করে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব। গতকাল রোববার করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮০টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। সদর উপজেলা থেকে ৩১টি, দামুড়হুদা উপজেলা থেকে ১৮টি, জীবননগর উপজেলা থেকে ৩১টি নমুনাসহ সংগৃহীত ৮০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, জেলায় নতুন ৪০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় মৃত্যুর হার কম থাকলেও ইতোমধ্যে ৮৫৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হতে। বাড়ির বাইরে বের হলেই মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৩ হাজার ৯১০টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৩ হাজার ৬৯২টি, পজিটিভ ৮৫৬ জন ও নেগেটিভ ২৮৩৮ জন। গতকাল জেলায় নতুন ১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৪২২ জন ও মৃত্যু ১৩ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন ৩৬ জন ও হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৮১ জন।