ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রতিটি সাপই প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কসরত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে ঐহিত্যবাহী সাপের ঝাপান খেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদামতলা বাজারে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা। গত রোববার বিকেলে বাদামতলা বাজারে এ খেলার আয়োজন করে বাজার কমিটি। দূর-দূরান্ত থেকে ঝাপান খেলা দেখতে বাজারে ভিড় করে শত শত মানুষ। দুপুরের পর থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ৬টি সাপুড়ে দলের অর্ধশতাধিক সাপের মধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে প্রতিটি সাপই প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কসরত।
বাদ্যের তালে তালে সাপুড়ে নাচছেন, আর সেই সঙ্গে ফনা তুলে সাপও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করছে। সাপুড়ের ইশারায় সাপের এ অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন মানুষকে দিচ্ছে অনাবিল আনন্দ। তাই এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে ছুটে এসেছেন দর্শনার্থীরা। ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা নীলা আশিকী নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমি জীবনে প্রথম ঝাপান খেলা দেখছি। এই ঝাপান খেলা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি চাই, এ ধরনের আয়োজন যেন প্রতিবছর করা হয়।’ সাদিয়া আফরিন নামের আরেক গৃহবধূ বলেন, ‘আমি শহরে থাকি। ঝাপান খেলার কথা শুনে আমার বাচ্চাদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। আমিও দেখছি, ওরাও দারুণ উপভোগ করছে। সাপ সম্পর্কে ওদের ধারণা হচ্ছে।’
পপাড়াহাটি এলাকার রাশেদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন এলাকার বৃদ্ধ, যুবক, নারী-পুরুষ ও শিশু এ খেলা উপভোগ করছেন। খেলাকে ঘিরে এখানে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য যে এত মনোমুগ্ধকর, ঝাপান খেলা না দেখলে বোঝা যাবে না।
শৈলকুপা থেকে আসা লিটন সাপুড়ে বলেন, ‘মূলত আমাদের বাপ-দাদার পেশা এটা না। আমরা মানুষকে আনন্দ দিই। আর নিজেরাও খেলা করে আনন্দ পাই। এ জন্যই দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ঝাপান খেলা করি।’
এ ব্যাপারে আয়োজক বাদামতলা বাজার কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শওকত আলী বলেন, চিরায়ত বাংলার ঐহিত্যবাহী এ খেলা দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আর এলাকার মানুষকে একটু আনন্দ দিতেই এ আয়োজন।
ঝাপান খেলায় প্রতিযোগী সাপুড়েদের মধ্যে সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হন শৈলকুপা উপজেলার ভাটই এলাকার সোহেল সাপুড়ে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রতিটি সাপই প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কসরত

আপলোড টাইম : ১০:০২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

ঝিনাইদহে ঐহিত্যবাহী সাপের ঝাপান খেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদামতলা বাজারে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা। গত রোববার বিকেলে বাদামতলা বাজারে এ খেলার আয়োজন করে বাজার কমিটি। দূর-দূরান্ত থেকে ঝাপান খেলা দেখতে বাজারে ভিড় করে শত শত মানুষ। দুপুরের পর থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ৬টি সাপুড়ে দলের অর্ধশতাধিক সাপের মধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে প্রতিটি সাপই প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কসরত।
বাদ্যের তালে তালে সাপুড়ে নাচছেন, আর সেই সঙ্গে ফনা তুলে সাপও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করছে। সাপুড়ের ইশারায় সাপের এ অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন মানুষকে দিচ্ছে অনাবিল আনন্দ। তাই এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে ছুটে এসেছেন দর্শনার্থীরা। ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা নীলা আশিকী নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমি জীবনে প্রথম ঝাপান খেলা দেখছি। এই ঝাপান খেলা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি চাই, এ ধরনের আয়োজন যেন প্রতিবছর করা হয়।’ সাদিয়া আফরিন নামের আরেক গৃহবধূ বলেন, ‘আমি শহরে থাকি। ঝাপান খেলার কথা শুনে আমার বাচ্চাদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। আমিও দেখছি, ওরাও দারুণ উপভোগ করছে। সাপ সম্পর্কে ওদের ধারণা হচ্ছে।’
পপাড়াহাটি এলাকার রাশেদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন এলাকার বৃদ্ধ, যুবক, নারী-পুরুষ ও শিশু এ খেলা উপভোগ করছেন। খেলাকে ঘিরে এখানে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য যে এত মনোমুগ্ধকর, ঝাপান খেলা না দেখলে বোঝা যাবে না।
শৈলকুপা থেকে আসা লিটন সাপুড়ে বলেন, ‘মূলত আমাদের বাপ-দাদার পেশা এটা না। আমরা মানুষকে আনন্দ দিই। আর নিজেরাও খেলা করে আনন্দ পাই। এ জন্যই দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ঝাপান খেলা করি।’
এ ব্যাপারে আয়োজক বাদামতলা বাজার কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শওকত আলী বলেন, চিরায়ত বাংলার ঐহিত্যবাহী এ খেলা দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আর এলাকার মানুষকে একটু আনন্দ দিতেই এ আয়োজন।
ঝাপান খেলায় প্রতিযোগী সাপুড়েদের মধ্যে সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হন শৈলকুপা উপজেলার ভাটই এলাকার সোহেল সাপুড়ে।