ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে দুই প্রভাষকের ভিন্নমত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

‘চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক দেখছেন আরবি খাতা, সমালোচনার ঝড় : ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ শিরোনামে চুয়াডাঙ্গার একটি আঞ্চলিক দৈনিকে অসম্পূর্ণ তথ্য-সংবলিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ তুলে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই প্রভাষক। সহকর্মীদের সঙ্গে মতবিরোধ ও নিয়মবর্হিভূত কাজে বাড়িত হয়ে একই প্রতিষ্ঠানের একজন সহকারী শিক্ষক সংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য প্রদান করে ওই সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মো. জান্নাত আলী বলেন, ‘মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) ওয়াহেদ মো. রাশেদীন আমিন কাউকেই মানেন না। তাঁকে আমরা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এই একজন শিক্ষকের কারণে মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে নানা মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি দু-একটি পাবলিক পরীক্ষায় রাশেদীন আমিন দায়িত্ব পালনের নামে অনৈতিক অর্থ আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি ফাজিল-২০১৯ পরীক্ষায় দায়িত্বরত দুই শিক্ষক আবুল হাশেম ও আতিয়ার রহমানকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেন।
এ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল হাশেম ও প্রভাষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের নাম ব্যবহার করে জোরপূর্বক ফাজিল পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। ফাজিল পরীক্ষা-২০১৯ (১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ) পরিচালনার জন্য যে সময় কমিটি গঠন করা হয়, সে সময় আমি (আবুল হাশেম) অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম। যে কারণে জেলা প্রশাসন ও ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনার অনুমোদন দেয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির পত্রের স্মারক নং-০৫.৪৪.১৮০০.১০৪.৫৫.০১৫.১৯-৩৪৬ তারিখ ০৩.০৯.২০১৯ খ্রি.। প্রকৃতপক্ষে অত্র মাদ্রাসায় যেসব বোর্ড বা বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, সেসব পরীক্ষায় অত্র মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষক (কৃষি) ওয়াহেদ মো. রাশেদীন আমিনের সহযোগিতায় কেন্দ্র ফির টাকা তছরুপ করা হয় বলে পূর্ব থেকে অভিযোগ আছে। মাদ্রাসার অন্য কেউ পরীক্ষা পরিচালনা করলে তাঁদের অর্থ তছরুপের বিষয়টি সামনে চলে আসতে পারে, এ আশঙ্কায় উল্লেখিত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং ওই সহকারী শিক্ষক অনুমোদিত কমিটি বানচাল করতে নানা মহলে ধরনা দেন। এতেও ফল না হওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সংবাদের একাংশে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র-সচিব আবুল হাশেম ও সহকারী কেন্দ্র-সচিব আতিয়ার রহমানকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে কেন্দ্র-সচিবের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলেন।’ যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের কেউ আমাদের কাছে কোনো বার্তা দেননি। বরং রাশেদীন আমিনের সহযোগিতায় অত্র মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. খালেদ সাইফুল্লাহ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একই প্রতিষ্ঠানে (চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা) থাকা অবস্থায় স্ব-বেতনে তিনবার হজ পালন করেন। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হজ পালনের নামে মোয়াল্লেম (হাজিদের গাইড/লাইন ম্যান) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এতে তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ লাভ করেন। এসব বিষয় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানে এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়।’ (প্রেসবিজ্ঞপ্তি)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে দুই প্রভাষকের ভিন্নমত

আপলোড টাইম : ১০:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

‘চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক দেখছেন আরবি খাতা, সমালোচনার ঝড় : ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ শিরোনামে চুয়াডাঙ্গার একটি আঞ্চলিক দৈনিকে অসম্পূর্ণ তথ্য-সংবলিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ তুলে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই প্রভাষক। সহকর্মীদের সঙ্গে মতবিরোধ ও নিয়মবর্হিভূত কাজে বাড়িত হয়ে একই প্রতিষ্ঠানের একজন সহকারী শিক্ষক সংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য প্রদান করে ওই সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মো. জান্নাত আলী বলেন, ‘মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) ওয়াহেদ মো. রাশেদীন আমিন কাউকেই মানেন না। তাঁকে আমরা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এই একজন শিক্ষকের কারণে মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে নানা মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি দু-একটি পাবলিক পরীক্ষায় রাশেদীন আমিন দায়িত্ব পালনের নামে অনৈতিক অর্থ আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি ফাজিল-২০১৯ পরীক্ষায় দায়িত্বরত দুই শিক্ষক আবুল হাশেম ও আতিয়ার রহমানকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেন।
এ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল হাশেম ও প্রভাষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের নাম ব্যবহার করে জোরপূর্বক ফাজিল পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। ফাজিল পরীক্ষা-২০১৯ (১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ) পরিচালনার জন্য যে সময় কমিটি গঠন করা হয়, সে সময় আমি (আবুল হাশেম) অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম। যে কারণে জেলা প্রশাসন ও ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনার অনুমোদন দেয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির পত্রের স্মারক নং-০৫.৪৪.১৮০০.১০৪.৫৫.০১৫.১৯-৩৪৬ তারিখ ০৩.০৯.২০১৯ খ্রি.। প্রকৃতপক্ষে অত্র মাদ্রাসায় যেসব বোর্ড বা বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, সেসব পরীক্ষায় অত্র মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষক (কৃষি) ওয়াহেদ মো. রাশেদীন আমিনের সহযোগিতায় কেন্দ্র ফির টাকা তছরুপ করা হয় বলে পূর্ব থেকে অভিযোগ আছে। মাদ্রাসার অন্য কেউ পরীক্ষা পরিচালনা করলে তাঁদের অর্থ তছরুপের বিষয়টি সামনে চলে আসতে পারে, এ আশঙ্কায় উল্লেখিত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং ওই সহকারী শিক্ষক অনুমোদিত কমিটি বানচাল করতে নানা মহলে ধরনা দেন। এতেও ফল না হওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সংবাদের একাংশে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র-সচিব আবুল হাশেম ও সহকারী কেন্দ্র-সচিব আতিয়ার রহমানকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে কেন্দ্র-সচিবের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলেন।’ যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের কেউ আমাদের কাছে কোনো বার্তা দেননি। বরং রাশেদীন আমিনের সহযোগিতায় অত্র মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. খালেদ সাইফুল্লাহ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একই প্রতিষ্ঠানে (চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা) থাকা অবস্থায় স্ব-বেতনে তিনবার হজ পালন করেন। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হজ পালনের নামে মোয়াল্লেম (হাজিদের গাইড/লাইন ম্যান) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এতে তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ লাভ করেন। এসব বিষয় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানে এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়।’ (প্রেসবিজ্ঞপ্তি)