ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১২৪ বার পড়া হয়েছে

সরবরাহ বাড়াতে ব্যবস্থা নিন
গত বছরের মতো এবারও হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। রাজধানীসহ দেশের বাজারগুলোতে বিক্রেতারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি গত বছরও সৃষ্টি হয়েছিল। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার প্রভাব পড়েছিল দেশের বাজারে। গত বছরও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। দাম আরো বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রাখে অনেকে। পেঁয়াজের মজুদ ‘সন্তোষজনক’ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও অস্থিরতা বন্ধ করা যায়নি। চলতি বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে আগে থেকেই সতর্ক ছিল বলে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি চূড়ান্ত করলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, ভারত থেকে প্রতি টন ২৫০ ডলার মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা স্থানীয় বাজারদর হিসাবে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবেন না, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ সরবরাহ লাইনে আছে বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। করোনাকালে মানুষের আয় কমে গেছে। নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে অনেক মানুষ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজারের অস্বস্তি। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে নতুন করে সংকটে ফেলেছে। মোটা চাল, সবজি, আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে। সীমিত আয়ের মানুষের ব্যয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে পণ্য কিনতে। বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নতুন করে শঙ্কিত করছে মানুষকে। উসকে দিচ্ছে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের স্মৃতি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন এ সত্য আমাদের সবারই জানা। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গত বছরের মতো অস্থিরতা তৈরির সুযোগ না দিয়ে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

সরবরাহ বাড়াতে ব্যবস্থা নিন
গত বছরের মতো এবারও হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। রাজধানীসহ দেশের বাজারগুলোতে বিক্রেতারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি গত বছরও সৃষ্টি হয়েছিল। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার প্রভাব পড়েছিল দেশের বাজারে। গত বছরও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। দাম আরো বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রাখে অনেকে। পেঁয়াজের মজুদ ‘সন্তোষজনক’ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও অস্থিরতা বন্ধ করা যায়নি। চলতি বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে আগে থেকেই সতর্ক ছিল বলে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি চূড়ান্ত করলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, ভারত থেকে প্রতি টন ২৫০ ডলার মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা স্থানীয় বাজারদর হিসাবে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবেন না, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ সরবরাহ লাইনে আছে বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। করোনাকালে মানুষের আয় কমে গেছে। নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে অনেক মানুষ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজারের অস্বস্তি। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে নতুন করে সংকটে ফেলেছে। মোটা চাল, সবজি, আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে। সীমিত আয়ের মানুষের ব্যয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে পণ্য কিনতে। বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নতুন করে শঙ্কিত করছে মানুষকে। উসকে দিচ্ছে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের স্মৃতি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন এ সত্য আমাদের সবারই জানা। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গত বছরের মতো অস্থিরতা তৈরির সুযোগ না দিয়ে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।