ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পূর্ণতার পথে একাদশ জাতীয় নির্বাচন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বহু প্রত্যাশিত ঘোষণা শোনা গেছে। দেশ ও জাতির কাছে আশার বাণী নিয়ে এসেছে সেই ঘোষণা। ক্ষমতাসীন দল এবং মহাজোটের বাইরে অন্যদলগুলো বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার মানে পাঁচ বছর আগে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিও থাকছে নির্বাচনে। নিঃসন্দেহে জাতির জন্য তা শুভ সংবাদ। শুধু তাই নয়, বড় এক উদ্বেগ উৎকণ্ঠারও অবসান। এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিনার। ২৩ ডিসেম্বর হতে সেই নির্বাচন। যদিও নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল অঘোষিত শঙ্কা। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে কিনা-এই সংশয় দূর হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের ঘোষণায়। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তার মিনিট পনের আগে বিএনপির নেতৃত্বে থাকা ২০ দলীয় জোটও নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান জোট নেতা কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ। যদিও দুটি জোটের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, তাদের ঘোষিত সাত দফা দাবি থেকে তারা পিছু হটবেন না। দশম জাতীয় সংসদ বর্জনের দুঃখজনক ঘটনার পর এবারের নির্বাচন নিয়ে আশার আলো দেখছে জনগণ। কেননা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো বয়কটের মুখে সেই নির্বাচন হয়েছিল একপেশে। ১৫৪ জন্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সেই নির্বাচনে সহিংসতাও কম হয়নি। নির্বাচন ঠেকাতে দীর্ঘদিনের টানা হরতাল, অবরোধের মধ্যে চলে আগুন সন্ত্রাস। সারাদেশে যা এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরি করেছিল। নিহত হয়েছিল কয়েক’শ মানুষ। বলতে গেলে সেই সময় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই আতংকের ক্রান্তিকাল শেষ হয়েছিল। তিক্ত সেই অভিজ্ঞতার পর এবারের নির্বাচনে সকল দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় মানুষের মনে একরকম স্বস্তি ফিরেছে। কেননা একদিন আগেও তাদের চিন্তা ছিল এই নির্বাচনও গত নির্বাচনের মত একতরফা হবে কিনা? আবারো সেই আগুন সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হবে কিনা জাতিকে? কিংবা রাজনীতির বাইরের কোনো পক্ষ সুযোগ নেবে কিনা? আজকে সেইসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে। প্রধান দুটি জোটই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। যদিও তারা ঘোষিত তফসিল বাতিল করে নির্বাচন একমাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এতে সমর্থন জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও। আমরা মনে করি, একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবে। কারণ সবদলকে নির্বাচনে আনাই বড় কথা। তাতে নির্বাচন কমিশনের মর্যাদাও বাড়ে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পূর্ণতার পথে একাদশ জাতীয় নির্বাচন

আপলোড টাইম : ০৯:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮

অবশেষে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বহু প্রত্যাশিত ঘোষণা শোনা গেছে। দেশ ও জাতির কাছে আশার বাণী নিয়ে এসেছে সেই ঘোষণা। ক্ষমতাসীন দল এবং মহাজোটের বাইরে অন্যদলগুলো বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার মানে পাঁচ বছর আগে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিও থাকছে নির্বাচনে। নিঃসন্দেহে জাতির জন্য তা শুভ সংবাদ। শুধু তাই নয়, বড় এক উদ্বেগ উৎকণ্ঠারও অবসান। এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিনার। ২৩ ডিসেম্বর হতে সেই নির্বাচন। যদিও নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল অঘোষিত শঙ্কা। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে কিনা-এই সংশয় দূর হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের ঘোষণায়। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তার মিনিট পনের আগে বিএনপির নেতৃত্বে থাকা ২০ দলীয় জোটও নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান জোট নেতা কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ। যদিও দুটি জোটের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, তাদের ঘোষিত সাত দফা দাবি থেকে তারা পিছু হটবেন না। দশম জাতীয় সংসদ বর্জনের দুঃখজনক ঘটনার পর এবারের নির্বাচন নিয়ে আশার আলো দেখছে জনগণ। কেননা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো বয়কটের মুখে সেই নির্বাচন হয়েছিল একপেশে। ১৫৪ জন্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সেই নির্বাচনে সহিংসতাও কম হয়নি। নির্বাচন ঠেকাতে দীর্ঘদিনের টানা হরতাল, অবরোধের মধ্যে চলে আগুন সন্ত্রাস। সারাদেশে যা এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরি করেছিল। নিহত হয়েছিল কয়েক’শ মানুষ। বলতে গেলে সেই সময় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই আতংকের ক্রান্তিকাল শেষ হয়েছিল। তিক্ত সেই অভিজ্ঞতার পর এবারের নির্বাচনে সকল দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় মানুষের মনে একরকম স্বস্তি ফিরেছে। কেননা একদিন আগেও তাদের চিন্তা ছিল এই নির্বাচনও গত নির্বাচনের মত একতরফা হবে কিনা? আবারো সেই আগুন সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হবে কিনা জাতিকে? কিংবা রাজনীতির বাইরের কোনো পক্ষ সুযোগ নেবে কিনা? আজকে সেইসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে। প্রধান দুটি জোটই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। যদিও তারা ঘোষিত তফসিল বাতিল করে নির্বাচন একমাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এতে সমর্থন জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও। আমরা মনে করি, একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবে। কারণ সবদলকে নির্বাচনে আনাই বড় কথা। তাতে নির্বাচন কমিশনের মর্যাদাও বাড়ে।