ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পুড়ে যাওয়া ঘর দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী আবাসনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। গতকাল শনিবার দুপুরে হতদরিদ্র ১১টি পরিবারের মাঝে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে নগদ ১০ হাজার টাকা, পরিবার প্রতি চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবন, বিস্কুট, ম্যাচ, মোমবাতি, চিড়া, মুড়ি ও কম্বলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসীম উদ্দীন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরজাহান খানম, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান ও খলিলুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন এবং ইউপি সদস্য ওহিদ আলী মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৫ হাজার ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকাসহ চাল-ডাল ও অন্যান্য উপকরণ সহযোগিতা করা হলো। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে ঘর মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে, আগামীতে আগুন থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আলমডাঙ্গার বন্ধন কেবলস নেটওয়ার্ক সমিতি। বন্ধনের পক্ষে সভাপতি আসাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম এসময় উপস্থিত ছিলেন। বন্ধন সমিতি পরিবার প্রতি সাড়ে ৫ হাজার টাকার সহায়তা তুলে দেন। এছাড়া জেহালা আওয়ামী লীগ নেতা হাসানুজ্জামান হান্নান শনিবার সকালে নিজ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও নগদ এক হাজার করে টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত পরশু শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুন লেগে আবাসনের ১১টি ঘর পুড়ে যায়। আগুনে হতদরিদ্র পরিবারের ঘর, ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে ও নগদ টাকাসহ আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। ততক্ষণে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আব্দুল কাদের, মো. ইব্রাহিম, শাহ আলম, শামীম আহমেদ, কারণ আলী, বিপুল , মো. ফারুক, বাবু, চান্দ আলী, ফাতেমা খাতুন ও মাসুদ আলীর পরিবার। তবে ধারণা করা হচ্ছে আবাসনে বসবাসকারী ফারুকের রান্না ঘরের চুলা থেকে এ আগুনের উৎপত্তি হতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পুড়ে যাওয়া ঘর দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

আপলোড টাইম : ১০:২৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী আবাসনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। গতকাল শনিবার দুপুরে হতদরিদ্র ১১টি পরিবারের মাঝে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে নগদ ১০ হাজার টাকা, পরিবার প্রতি চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবন, বিস্কুট, ম্যাচ, মোমবাতি, চিড়া, মুড়ি ও কম্বলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসীম উদ্দীন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরজাহান খানম, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান ও খলিলুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন এবং ইউপি সদস্য ওহিদ আলী মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৫ হাজার ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকাসহ চাল-ডাল ও অন্যান্য উপকরণ সহযোগিতা করা হলো। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে ঘর মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে, আগামীতে আগুন থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আলমডাঙ্গার বন্ধন কেবলস নেটওয়ার্ক সমিতি। বন্ধনের পক্ষে সভাপতি আসাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম এসময় উপস্থিত ছিলেন। বন্ধন সমিতি পরিবার প্রতি সাড়ে ৫ হাজার টাকার সহায়তা তুলে দেন। এছাড়া জেহালা আওয়ামী লীগ নেতা হাসানুজ্জামান হান্নান শনিবার সকালে নিজ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও নগদ এক হাজার করে টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত পরশু শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুন লেগে আবাসনের ১১টি ঘর পুড়ে যায়। আগুনে হতদরিদ্র পরিবারের ঘর, ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে ও নগদ টাকাসহ আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। ততক্ষণে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আব্দুল কাদের, মো. ইব্রাহিম, শাহ আলম, শামীম আহমেদ, কারণ আলী, বিপুল , মো. ফারুক, বাবু, চান্দ আলী, ফাতেমা খাতুন ও মাসুদ আলীর পরিবার। তবে ধারণা করা হচ্ছে আবাসনে বসবাসকারী ফারুকের রান্না ঘরের চুলা থেকে এ আগুনের উৎপত্তি হতে পারে।