ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন : বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সিসিক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার চারতলার মোড়ে সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের ২য় দিন বৃহস্পতিবার মাও. আমির হামজাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক এলাকায় ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পল্লি বিদ্যুত অফিসের পাশে ৩দিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার ওয়াজের ২য় দিন মাও. আমির হামজাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করে পুলিশ। এ সময় মাহফিল থেকে ফেরার পথে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক চারতলার মোড়ের লাইট পোস্টে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, সত্যনারায়ন মন্দিরে ইটপাাটকেল নিক্ষেপ ও অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের বেসিন ভাংচুর করে। এ সময় চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার রাতেই থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম মন্দির পরিদর্শন করেন। এর আগে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে যান। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মন্দির পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, এ ঘটনার পর শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ জকু, সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুসসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুত অফিসের পাশে ৩দিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় কিছু লোকজন। পুলিশ জানায়, মাও. আমির হামাজার ওয়াজ করার অনুমতি না থাকলেও, ২য় দিন জোরপূর্বক ওয়াজ করার চেষ্টার করলে পুলিশ অনাকাক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করে। এরপর মাহফিল থেকে ফেরার সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক এ ঘটনা ঘটায় ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন : বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা

আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

আলমডাঙ্গায় মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সিসিক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার চারতলার মোড়ে সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের ২য় দিন বৃহস্পতিবার মাও. আমির হামজাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক এলাকায় ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পল্লি বিদ্যুত অফিসের পাশে ৩দিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার ওয়াজের ২য় দিন মাও. আমির হামজাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করে পুলিশ। এ সময় মাহফিল থেকে ফেরার পথে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক চারতলার মোড়ের লাইট পোস্টে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, সত্যনারায়ন মন্দিরে ইটপাাটকেল নিক্ষেপ ও অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের বেসিন ভাংচুর করে। এ সময় চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার রাতেই থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম মন্দির পরিদর্শন করেন। এর আগে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে যান। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মন্দির পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, এ ঘটনার পর শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ জকু, সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুসসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুত অফিসের পাশে ৩দিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় কিছু লোকজন। পুলিশ জানায়, মাও. আমির হামাজার ওয়াজ করার অনুমতি না থাকলেও, ২য় দিন জোরপূর্বক ওয়াজ করার চেষ্টার করলে পুলিশ অনাকাক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করে। এরপর মাহফিল থেকে ফেরার সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক এ ঘটনা ঘটায় ।