ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ক্ষুদে বার্তা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার না করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন দপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই না করে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এখন থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে কোনো রাজনৈতিক মামলা রেকর্ড করা যাবে না। এরই মধ্যে সরকারের ঊর্ধ্বতন দপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া তার অধীনের পুলিশ কর্মকর্তাদের এ বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই বিরোধী দলগুলো গণগ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলায় নেতাকর্মিদের হয়রানির অভিযোগ করে আসছিল। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়রানি ও নতুন করে মামলা না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। যদিও সংলাপ শুরুর পরেও সারা দেশে অন্তত একশ’ মামলা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই গত ৮ই নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের সমতল ভুমি নেই এমন দাবি করে তফসিল পেছানোর দাবির মধ্যে গতকাল নির্বাচন আরও সাতদিন পিছিয়ে পুনরায় তফসিল দেয়া হয়েছে। আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়। গতকাল থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করেছে। দেশজুড়ে নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন নির্দেশনা নির্বাচনের মাঠে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে গ্রেপ্তার ও মামলা রেকর্ড- এর করণীয় নির্ধারণ নিয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যাচাই-বাছাই না করে কাউকে গ্রেপ্তার ও মামলা রেকর্ড করা যাবে না। তবে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম চলমান থাকবে। ওই বৈঠক থেকেই সারা দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য বলা হয়। এর ভিত্তিতেই ডিএমপি কমিশনার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার না করতে ঢাকা মহানগরীর পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
১০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষুদে বার্তায় এই নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ক্ষুদে বার্তার শিরোনামে লেখা ছিল- ‘রাজনৈতিক গ্রেপ্তারের স্থগিতাদেশ’। পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ও তার ঊর্ধ্বতনদের কাছে পাঠানো এই ক্ষুদে বার্তায় কমিশনার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমাদের অবগত না করে কোনো রাজনৈতিক গ্রেপ্তার ও মামলা করা যাবে না। এই বার্তার কিছুক্ষণ পর আরেকটি বার্তায় কমিশনারের পক্ষ থেকে মহানগরীর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলা হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার ও কোনো দুর্ঘটনার মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে এটি একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো ক্ষুদেবার্তা যদি দেয়া হয়ে থাকে তা পুলিশ কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে। বিষয়টি অন্য কারো জানার কথা না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পুলিশের ক্ষুদে বার্তা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার না করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন দপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই না করে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এখন থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে কোনো রাজনৈতিক মামলা রেকর্ড করা যাবে না। এরই মধ্যে সরকারের ঊর্ধ্বতন দপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া তার অধীনের পুলিশ কর্মকর্তাদের এ বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই বিরোধী দলগুলো গণগ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলায় নেতাকর্মিদের হয়রানির অভিযোগ করে আসছিল। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়রানি ও নতুন করে মামলা না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। যদিও সংলাপ শুরুর পরেও সারা দেশে অন্তত একশ’ মামলা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই গত ৮ই নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের সমতল ভুমি নেই এমন দাবি করে তফসিল পেছানোর দাবির মধ্যে গতকাল নির্বাচন আরও সাতদিন পিছিয়ে পুনরায় তফসিল দেয়া হয়েছে। আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়। গতকাল থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করেছে। দেশজুড়ে নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন নির্দেশনা নির্বাচনের মাঠে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে গ্রেপ্তার ও মামলা রেকর্ড- এর করণীয় নির্ধারণ নিয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যাচাই-বাছাই না করে কাউকে গ্রেপ্তার ও মামলা রেকর্ড করা যাবে না। তবে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম চলমান থাকবে। ওই বৈঠক থেকেই সারা দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য বলা হয়। এর ভিত্তিতেই ডিএমপি কমিশনার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার না করতে ঢাকা মহানগরীর পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
১০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষুদে বার্তায় এই নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ক্ষুদে বার্তার শিরোনামে লেখা ছিল- ‘রাজনৈতিক গ্রেপ্তারের স্থগিতাদেশ’। পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ও তার ঊর্ধ্বতনদের কাছে পাঠানো এই ক্ষুদে বার্তায় কমিশনার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমাদের অবগত না করে কোনো রাজনৈতিক গ্রেপ্তার ও মামলা করা যাবে না। এই বার্তার কিছুক্ষণ পর আরেকটি বার্তায় কমিশনারের পক্ষ থেকে মহানগরীর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলা হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার ও কোনো দুর্ঘটনার মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে এটি একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো ক্ষুদেবার্তা যদি দেয়া হয়ে থাকে তা পুলিশ কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে। বিষয়টি অন্য কারো জানার কথা না।