ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ২৬ নভেম্বর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) ও সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল-জেল আপিলের ওপর ২৬ নভেম্বর রায় দেবেন হাইকোর্ট। একই দিন ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলেরও রায় দেবেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল বলেন, ডেথরেফারেন্স ও আপিলগুলোর ওপর ২৬ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে; যা রোববারের কার্যতালিকায় আসবে। ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে হাইকোর্টে দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় এই মামলায় (হত্যা) শুনানি শুরু হয়। ৩৭০তম দিনে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল শুনানি শেষ হয়।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে সেদিন শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তরে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। বিচার হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠসংলগ্ন অস্থায়ী এজলাসে। বিচার শেষে ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিডিআরের সাবেক ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু (প্রয়াত) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। রায়ের পর দ-াদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ১১৯টি আপিল ও ১৩৩টি জেল আপিল করে।
এঁদের মধ্যে ৬৯ জনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ একটি আপিল করে। গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ ব্যবস্থায় পেপারবুক তৈরি করা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেন। পরে ১৭ জানুয়ারি বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়। পরদিন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শুরু হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ২৬ নভেম্বর

আপলোড টাইম : ১১:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) ও সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল-জেল আপিলের ওপর ২৬ নভেম্বর রায় দেবেন হাইকোর্ট। একই দিন ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলেরও রায় দেবেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল বলেন, ডেথরেফারেন্স ও আপিলগুলোর ওপর ২৬ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে; যা রোববারের কার্যতালিকায় আসবে। ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে হাইকোর্টে দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় এই মামলায় (হত্যা) শুনানি শুরু হয়। ৩৭০তম দিনে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল শুনানি শেষ হয়।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে সেদিন শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তরে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। বিচার হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠসংলগ্ন অস্থায়ী এজলাসে। বিচার শেষে ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিডিআরের সাবেক ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু (প্রয়াত) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। রায়ের পর দ-াদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ১১৯টি আপিল ও ১৩৩টি জেল আপিল করে।
এঁদের মধ্যে ৬৯ জনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ একটি আপিল করে। গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ ব্যবস্থায় পেপারবুক তৈরি করা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেন। পরে ১৭ জানুয়ারি বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়। পরদিন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শুরু হয়।