ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯
  • / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক
সমীকরণ প্রতিবেদন:
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের যেকোনো সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনার জন্য দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় নেতারা বৈঠকে বসছেন। বৈঠকে-আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন, দলের মেয়াদোত্তীর্ণ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো ও জেলা-উপজেলার সম্মেলন এবং বিদ্রোহীদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তী দিকনির্দেশনা আসবে। সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের বন্যা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে দলের রুটিন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়। দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যে বিষয়গুলো প্রধান্য পাবে সেগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সম্প্রতি দেশের ডেঙ্গু এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে দলীয় কার্যক্রম কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। এ কারণে সম্মেলন কিছুটা পেছাতে পারে। তবে আগামী বছর মুজিব বর্ষ হওয়ায় এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সম্মেলন শেষ করতে তৎপর দলটির নেতাকর্মীরা। অন্যবারের মতো এখন পর্যন্ত সম্মেলনের নির্ধারিত সময় আগামী অক্টোবর।
জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা ও উপজেলায় দলের সম্মেলন অনুষ্ঠান ও নতুন কমিটি গঠন করা নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে গুরুত্বের শীর্ষ তালিকায়। নিয়ম অনুযায়ী আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলায় সম্মেলন করার কথা। তথ্য মতে, কিছু কিছু জেলা-উপজেলায় প্রায় ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সম্মেলন হয় না। কিন্তু এবার প্রস্তুতির পরও বন্যা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে জেলা-উপজেলা সম্মেলন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন। বছরের পর বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। কোনো কোনো কমিটির মেয়াদ ১০ থেকে ১২ বছর পার হয়ে গেলেও সম্মেলন হচ্ছে না। যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় প্রায় ছয় বছর আগে। সংগঠনটির তিন বছর মেয়াদি সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। ২০১২ সালে সম্মেলন হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও নতুন কমিটির মুখ দেখছেন না নেতাকর্মীরা। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় বর্তমান কমিটি দিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই সহযোগী সংগঠনটি। অন্যান্য সংগঠনের মতোই শ্রমিক লীগের অবস্থানও নড়বড়ে। সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন শ্রমিক লীগের বর্তমান কমিটিও মেয়াদ পেরিয়েছে প্রায় তিন বছর আগে।
এর পরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন। রাজধানীর দুই সিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে শিগগির। তাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়টি আমলে নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনে অবিতর্কিত ও সফল নেতাদের যেন সর্বস্তরে প্রার্থী করা যায় সে ব্যাপারে হাইকমান্ড সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ দিকনির্দেশনা চাইতে পারেন। বৈঠকে গুরুত্ব পাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। গত উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষাকারী এমপি-মন্ত্রী ও প্রভাবশালী দলীয় নেতাকর্মীদের স্থায়ী বহিষ্কার করার পক্ষে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে ব্যাপারে এখন দলের সিদ্ধান্ত কী হবে তা জানতে আগ্রহ রয়েছে দলের সর্বস্তরে। সেপ্টেম্বরের বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এ বিষয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, শোকের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাঁধে আলাদা কোনো বোঝা দিতে চাই না। তাই শোকের মাস শেষ হলেই নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল। যেহেতু আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় রয়েছে– তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারকে দেখতে হচ্ছে। সম্প্রতি ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে আমাদের সাংগঠনিক কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও তা পুনরুদ্ধারে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করব। উপজেলায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা বলেন, যে অপরাধ করে সে অপরাধী। আওয়ামী লীগে অপরাধীর কোনো ঠাঁই নেই। উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতেই অটুট থাকবে দল। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় সম্মেলন ও সব ইউনিটের সম্মেলনের বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমরা অক্টোবর ধরেই কাজ করছি। কারণ আগামী বছর মুজিব বর্ষ। আমাদের দলের সব স্তরের নেতাকর্মী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মুজিব বর্ষ পালন করবেন। ফলে দলের সংগঠনিক কর্মকান্ড তথা সম্মেলনগুলোও আগেভাগেই সম্পন্ন কারার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, বেশ কিছু জেলা-উপজেলায় কমিটির মেয়াদ পাঁচ বছরের ওপরে হয়ে গেছে। এসব কমিটি দ্রুত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষত পাঁচ বছরের পুরোনো কমিটিগুলোর সম্মেলন কত দ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। এদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে নানক বলেন, যেহেতু সিটি নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, তাই আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের দলীয় সভাপতির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা সিটি নির্বাচনের কাজ চালিয়ে যাব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে

আপলোড টাইম : ১০:০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯

সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক
সমীকরণ প্রতিবেদন:
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের যেকোনো সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনার জন্য দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় নেতারা বৈঠকে বসছেন। বৈঠকে-আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন, দলের মেয়াদোত্তীর্ণ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো ও জেলা-উপজেলার সম্মেলন এবং বিদ্রোহীদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তী দিকনির্দেশনা আসবে। সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের বন্যা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে দলের রুটিন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়। দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যে বিষয়গুলো প্রধান্য পাবে সেগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সম্প্রতি দেশের ডেঙ্গু এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে দলীয় কার্যক্রম কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। এ কারণে সম্মেলন কিছুটা পেছাতে পারে। তবে আগামী বছর মুজিব বর্ষ হওয়ায় এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সম্মেলন শেষ করতে তৎপর দলটির নেতাকর্মীরা। অন্যবারের মতো এখন পর্যন্ত সম্মেলনের নির্ধারিত সময় আগামী অক্টোবর।
জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা ও উপজেলায় দলের সম্মেলন অনুষ্ঠান ও নতুন কমিটি গঠন করা নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে গুরুত্বের শীর্ষ তালিকায়। নিয়ম অনুযায়ী আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলায় সম্মেলন করার কথা। তথ্য মতে, কিছু কিছু জেলা-উপজেলায় প্রায় ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সম্মেলন হয় না। কিন্তু এবার প্রস্তুতির পরও বন্যা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে জেলা-উপজেলা সম্মেলন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন। বছরের পর বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। কোনো কোনো কমিটির মেয়াদ ১০ থেকে ১২ বছর পার হয়ে গেলেও সম্মেলন হচ্ছে না। যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় প্রায় ছয় বছর আগে। সংগঠনটির তিন বছর মেয়াদি সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। ২০১২ সালে সম্মেলন হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও নতুন কমিটির মুখ দেখছেন না নেতাকর্মীরা। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় বর্তমান কমিটি দিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই সহযোগী সংগঠনটি। অন্যান্য সংগঠনের মতোই শ্রমিক লীগের অবস্থানও নড়বড়ে। সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন শ্রমিক লীগের বর্তমান কমিটিও মেয়াদ পেরিয়েছে প্রায় তিন বছর আগে।
এর পরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন। রাজধানীর দুই সিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে শিগগির। তাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়টি আমলে নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনে অবিতর্কিত ও সফল নেতাদের যেন সর্বস্তরে প্রার্থী করা যায় সে ব্যাপারে হাইকমান্ড সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ দিকনির্দেশনা চাইতে পারেন। বৈঠকে গুরুত্ব পাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। গত উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষাকারী এমপি-মন্ত্রী ও প্রভাবশালী দলীয় নেতাকর্মীদের স্থায়ী বহিষ্কার করার পক্ষে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে ব্যাপারে এখন দলের সিদ্ধান্ত কী হবে তা জানতে আগ্রহ রয়েছে দলের সর্বস্তরে। সেপ্টেম্বরের বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এ বিষয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, শোকের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাঁধে আলাদা কোনো বোঝা দিতে চাই না। তাই শোকের মাস শেষ হলেই নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল। যেহেতু আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় রয়েছে– তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারকে দেখতে হচ্ছে। সম্প্রতি ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে আমাদের সাংগঠনিক কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও তা পুনরুদ্ধারে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করব। উপজেলায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা বলেন, যে অপরাধ করে সে অপরাধী। আওয়ামী লীগে অপরাধীর কোনো ঠাঁই নেই। উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতেই অটুট থাকবে দল। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় সম্মেলন ও সব ইউনিটের সম্মেলনের বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমরা অক্টোবর ধরেই কাজ করছি। কারণ আগামী বছর মুজিব বর্ষ। আমাদের দলের সব স্তরের নেতাকর্মী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মুজিব বর্ষ পালন করবেন। ফলে দলের সংগঠনিক কর্মকান্ড তথা সম্মেলনগুলোও আগেভাগেই সম্পন্ন কারার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, বেশ কিছু জেলা-উপজেলায় কমিটির মেয়াদ পাঁচ বছরের ওপরে হয়ে গেছে। এসব কমিটি দ্রুত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষত পাঁচ বছরের পুরোনো কমিটিগুলোর সম্মেলন কত দ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। এদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে নানক বলেন, যেহেতু সিটি নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, তাই আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের দলীয় সভাপতির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা সিটি নির্বাচনের কাজ চালিয়ে যাব।