ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পশ্চিম কোর্টপাড়া নামকরণের দাবিতে অনড় এলাকাবাসী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান ভোটার তালিকা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা কোর্টের পশ্চিম পাশের প্রধান সড়কের পর হতে নদীর পাড়ের অংশকে মালোপাড়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এরমধ্যে রয়েছে কোর্ট জামে মসজিদ ও একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংক। কিন্তু এই এলাকার বাসিন্দাদের শতকরা ৯০ ভাগই এখন মুসলমান। পূর্বে যখন মালোপাড়া নাম করণ হয়েছিল তখন শুধুমাত্র মালো সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ছিল ওই এলাকায়। সময়ের ব্যবধানে তারা জমি-জায়গা বিক্রয় করে অন্যত্র চলে যাওয়ায় বর্তমানে মাত্র কয়েকঘর মালো সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে এখানে।
এতদাঞ্চলের আদিবাসীদের তথ্যমতে, বর্তমান মালোপাড়া ও প্রস্তাবিত পশ্চিম কোর্টপাড়ার মোট ভোটার সংখ্যা ৮৮৪ জন। এরমধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছেন ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে জেলে/মালো সম্প্রদায়ের ভোটার আনুমানিক ১০০ জন। দেশ ছেড়ে গেছেন বাকী ১৭৬ জন ভোটার। এখন মাত্র ৪০জন হালদার সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে এই এলাকায়। এদিকে, মোট ভোটারের মধ্যে ৫২৪জন মালোপাড়া নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম কোর্টপাড়া করার দাবিতে গণপিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। এদেরমধ্যে ৩৩জন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারও রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের প্রেক্ষিতে মালোপাড়াকে পশ্চিম কোর্টপাড়া ঘোষণা এখন সময়ের দাবি।
এই এলাকার অধিকাংশ মুরুব্বি জানান, বহুকাল আগে থেকে এই মহল্লার নাম কোর্টপাড়াই ছিল। যার প্রমাণ স্বরূপ এই মহল্লার প্রাচীন মসজিদটির নামও কোর্ট জামে মসজিদ। মুরুব্বিরা আরও জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যান মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস দায়িত্বে থাকাকালীন তিনটি ওয়ার্ড ভেঙে নয়টি ওয়ার্ড গঠিত হলে ওই সময় এই মহল্লাকে ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত করে মালোপাড়া নামকরণ করা হয়। এই মহল্লায় আনুমানিক ১০০জন জেলে সম্প্রদায়ের বাস সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বসবাসকারীর মতামত অগ্রাহ্য করে মালোপাড়া নামকরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবি অনতিবিলম্বে পূর্বের সাথে সংগতি রেখে পশ্চিম কোর্টপাড়া নামকরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পশ্চিম কোর্টপাড়া নামকরণের দাবিতে অনড় এলাকাবাসী

আপলোড টাইম : ১০:৪০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান ভোটার তালিকা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা কোর্টের পশ্চিম পাশের প্রধান সড়কের পর হতে নদীর পাড়ের অংশকে মালোপাড়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এরমধ্যে রয়েছে কোর্ট জামে মসজিদ ও একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংক। কিন্তু এই এলাকার বাসিন্দাদের শতকরা ৯০ ভাগই এখন মুসলমান। পূর্বে যখন মালোপাড়া নাম করণ হয়েছিল তখন শুধুমাত্র মালো সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ছিল ওই এলাকায়। সময়ের ব্যবধানে তারা জমি-জায়গা বিক্রয় করে অন্যত্র চলে যাওয়ায় বর্তমানে মাত্র কয়েকঘর মালো সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে এখানে।
এতদাঞ্চলের আদিবাসীদের তথ্যমতে, বর্তমান মালোপাড়া ও প্রস্তাবিত পশ্চিম কোর্টপাড়ার মোট ভোটার সংখ্যা ৮৮৪ জন। এরমধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছেন ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে জেলে/মালো সম্প্রদায়ের ভোটার আনুমানিক ১০০ জন। দেশ ছেড়ে গেছেন বাকী ১৭৬ জন ভোটার। এখন মাত্র ৪০জন হালদার সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে এই এলাকায়। এদিকে, মোট ভোটারের মধ্যে ৫২৪জন মালোপাড়া নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম কোর্টপাড়া করার দাবিতে গণপিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। এদেরমধ্যে ৩৩জন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারও রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের প্রেক্ষিতে মালোপাড়াকে পশ্চিম কোর্টপাড়া ঘোষণা এখন সময়ের দাবি।
এই এলাকার অধিকাংশ মুরুব্বি জানান, বহুকাল আগে থেকে এই মহল্লার নাম কোর্টপাড়াই ছিল। যার প্রমাণ স্বরূপ এই মহল্লার প্রাচীন মসজিদটির নামও কোর্ট জামে মসজিদ। মুরুব্বিরা আরও জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যান মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস দায়িত্বে থাকাকালীন তিনটি ওয়ার্ড ভেঙে নয়টি ওয়ার্ড গঠিত হলে ওই সময় এই মহল্লাকে ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত করে মালোপাড়া নামকরণ করা হয়। এই মহল্লায় আনুমানিক ১০০জন জেলে সম্প্রদায়ের বাস সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বসবাসকারীর মতামত অগ্রাহ্য করে মালোপাড়া নামকরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবি অনতিবিলম্বে পূর্বের সাথে সংগতি রেখে পশ্চিম কোর্টপাড়া নামকরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।