ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২২৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্য ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি শান্ত করেন। স্পিকারের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থায় টাকার বিনিময়ে চাকরি হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, মিঠুন নামের এক ব্যক্তিকে সেখানে প্রচুর টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্য ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি শান্ত করেন। স্পিকারের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থায় টাকার বিনিময়ে চাকরি হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, মিঠুন নামের এক ব্যক্তিকে সেখানে প্রচুর টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রতিমা রজকের এই প্রশ্নে খেপে যান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সরকারকে অপমান করার অধিকার তাঁর নেই। এ সময় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা আওয়াজ ওঠে। একপর্যায়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন। পরিবহনমন্ত্রী, কংগ্রেসের বেঞ্চের উদ্দেশে বলেন, ‘ওনাকে (প্রতিমা রজক) প্রমাণ করতে হবে, নইলে বিধানসভায় ক্ষমা চাইতে হবে।’ পাশাপাশি পরিবহনমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পরেরবার আর জিততে পারবেন না। সাফ হয়ে যাবেন। মুর্শিদাবাদ ফাঁকা করে দেব।’ মন্ত্রীর এই হুমকির পরই বিধানসভা অধিবেশন উত্তাল হয়ে ওঠে। এ সময় কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তেড়ে আসেন। উত্তেজনার একপর্যায়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান কংগ্রেসের আরেক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্যের সঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়ের হাতাহাতির সূত্রপাত। এতে বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ওয়েলে (পার্লামেন্টের খোলা জায়গা) নেমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজ দলীয় বিধায়কদের শান্ত হতে বলেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান মমতা। পরিস্থিতি কিছুটি শান্ত হলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও বাম দলের বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিধানসভায় এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমি কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান ও বাম দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীকে বলব, একজন বিধায়ক আরেকজন বিধায়ককে মারতে উঠে আসছেন, এটা উচিত নয়। আপনারা বিষয়টা দেখুন।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের মন্ত্রীদেরও বিরোধী বিধায়কদের প্রশ্নের জবাব সংযত হয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্য ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি শান্ত করেন। স্পিকারের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থায় টাকার বিনিময়ে চাকরি হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, মিঠুন নামের এক ব্যক্তিকে সেখানে প্রচুর টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্য ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি শান্ত করেন। স্পিকারের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থায় টাকার বিনিময়ে চাকরি হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, মিঠুন নামের এক ব্যক্তিকে সেখানে প্রচুর টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রতিমা রজকের এই প্রশ্নে খেপে যান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সরকারকে অপমান করার অধিকার তাঁর নেই। এ সময় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা আওয়াজ ওঠে। একপর্যায়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন। পরিবহনমন্ত্রী, কংগ্রেসের বেঞ্চের উদ্দেশে বলেন, ‘ওনাকে (প্রতিমা রজক) প্রমাণ করতে হবে, নইলে বিধানসভায় ক্ষমা চাইতে হবে।’ পাশাপাশি পরিবহনমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পরেরবার আর জিততে পারবেন না। সাফ হয়ে যাবেন। মুর্শিদাবাদ ফাঁকা করে দেব।’ মন্ত্রীর এই হুমকির পরই বিধানসভা অধিবেশন উত্তাল হয়ে ওঠে। এ সময় কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তেড়ে আসেন। উত্তেজনার একপর্যায়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান কংগ্রেসের আরেক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্যের সঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়ের হাতাহাতির সূত্রপাত। এতে বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ওয়েলে (পার্লামেন্টের খোলা জায়গা) নেমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজ দলীয় বিধায়কদের শান্ত হতে বলেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান মমতা। পরিস্থিতি কিছুটি শান্ত হলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও বাম দলের বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিধানসভায় এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমি কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান ও বাম দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীকে বলব, একজন বিধায়ক আরেকজন বিধায়ককে মারতে উঠে আসছেন, এটা উচিত নয়। আপনারা বিষয়টা দেখুন।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের মন্ত্রীদেরও বিরোধী বিধায়কদের প্রশ্নের জবাব সংযত হয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।