ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মধুকে, গ্রেপ্তার ৬

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় নবগঙ্গা নদী খননকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনের মৃত্যু

প্রধান আসামি শলক ও আলোচিত খালিদকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে নবগঙ্গা নদী খননকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ের জমির মালিকদের মধ্যে সংর্ঘষের জেরে গুরুত্বর জখম মধু মালিথা মারা গেছেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত মধু মালিথার ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মধুর মরদেহ হায়দারপুর মালিথাপাড়া হাক্কানি জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এসে পৌঁছায়। এ সময় মধুকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে সেখানে ভিড় জমান গ্রামবাসী। রাত সাড়ে নয়টায় জানাজা শেষে উত্তরপাড়া গোরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, মধুর মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, শলকের ভাড়া করা লোকজন পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে মধুকে। মধুর বড় ভাই মিজানুরের দায়ের করা মামলায় ঘটনার দিন তিনজন এবং গতকাল তিনজনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি শলক, আলোচিত খালিদসহ ১০জন এজাহারনামীয় আসামি পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে নবগঙ্গা নদী খননকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ের দুই জমির মালিক হায়দারপুর গোপালনগর বুচতলা পাড়ার আওলাদ মালিথার ছেলে শলকের সঙ্গে মধু মালিথার পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার সকালে মধু মালিথা ও তাঁর পক্ষের লোকজন খননকাজের স্থানে গেলে বেলা ১১টার দিকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শলকের ভাড়া করা ৫০ জনের অধিক লোকজন মধু মালিথা ও তাঁর পক্ষের লোকজনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ লেগে গুরুতর আহত হন মধু মালিথা, তাঁর ছোট ভাই জধু মালিথাসহ স্থানীয় আরও একজন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় মধু মালিথা ও তাঁর ছোট ভাই জধু মালিথাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম নিয়ে রাজশাহীতে জধু মালিথা চিকিৎসাধীন থাকলেও গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে মৃত্যু হয় মধু মালিথার।
এ বিষয়ে মধু মালিথার চাচাত ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘একই স্থানে আমারও চার বিঘা জমি আছে। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে আমার পিতা এ ধানি জমি ক্রয় করেন। এখানে নবগঙ্গা নদীর খনন কাজ চলছে। সরকারি কাজে আমরা বাঁধা দিতে চাই না। তবে শলক তার পুকুর বাঁচাতে খননকাজের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার নাঈম ও শান্তকে টাকা দিয়ে খননকাজ আমাদের জমির দিকে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এরই প্রতিবাদ করলে শুক্রবার শলক ৫০ জনের অধিক ভাড়া করা লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমন করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার চাচাত ভাই মধু মালিথা ও জধু মালিথা গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু মধু ও জধুর অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী রেফার্ড করে চিকিৎসক। রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মধুর।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের মেম্বার আজিবর মালিথা বলেন, বুচতলা এলাকায় নবগঙ্গা নদীর খননকাজ যেখানে চলছে, সেখানে ২৩০ ফিটের মতো খাস জমি আছে। এই জমির মাঝ বরাবর নদী খনন করার কথা থাকলেও নিজের পুুকুর বাঁচাতে স্থানীয় প্রভাবশালী শলক বিভিন্ন মানুষকে টাকা দিয়ে খননকাজের গতিমুখ মধু মালিথার জমির দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদ করলে শলক ভাড়া করা লোকজন দিয়ে মধুর পক্ষের লোকজনের ওপর আক্রমণ করে।
এদিকে, পদ্মবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালি ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শলক কয়েকটি ইজিবাইকযোগে অনেক লোকজন নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে আসেন। এ সময় ইজিবাইক থেকে একটি বস্তা নামান তাঁরা। বস্তার ভেতর থেকে চাইনিজ কুড়াল, রামদাসহ বিভিন্ন ভারি অস্ত্র বের করে সবাই হাতে নেন। কিছুক্ষণ পর একে একে খাল পাড়ের দিকে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই মধু মাথিলা ও জধু মালিথাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে জানতে পারেন তিনি।
গতকাল গ্রেপ্তারকৃত অপর এজহারভুক্ত আসামিদের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভবতোষ রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন, চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর নতুন স্টেডিয়ামের ভেতর এই মামলার দুজন আসামি লুকিয়ে আছে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তিনি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার নূরনগর এলাকার আব্দার আলীর ছেলে লাল্টু (২৪) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঠাকুরপুর গ্রামের মণ্টুর ছেলে বাচ্চু (৩০)।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শুক্রবার ১৬ জনের নাম উল্লেকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যেহেতু ভিকটিমের একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে, সে কারণে পূর্বের মামলার সঙ্গে মৃত্যু ঘটনা সংযোজন করা হবে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতকদেরকেও খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মধুকে, গ্রেপ্তার ৬

আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় নবগঙ্গা নদী খননকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনের মৃত্যু

প্রধান আসামি শলক ও আলোচিত খালিদকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে নবগঙ্গা নদী খননকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ের জমির মালিকদের মধ্যে সংর্ঘষের জেরে গুরুত্বর জখম মধু মালিথা মারা গেছেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত মধু মালিথার ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মধুর মরদেহ হায়দারপুর মালিথাপাড়া হাক্কানি জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এসে পৌঁছায়। এ সময় মধুকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে সেখানে ভিড় জমান গ্রামবাসী। রাত সাড়ে নয়টায় জানাজা শেষে উত্তরপাড়া গোরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, মধুর মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, শলকের ভাড়া করা লোকজন পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে মধুকে। মধুর বড় ভাই মিজানুরের দায়ের করা মামলায় ঘটনার দিন তিনজন এবং গতকাল তিনজনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি শলক, আলোচিত খালিদসহ ১০জন এজাহারনামীয় আসামি পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে নবগঙ্গা নদী খননকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ের দুই জমির মালিক হায়দারপুর গোপালনগর বুচতলা পাড়ার আওলাদ মালিথার ছেলে শলকের সঙ্গে মধু মালিথার পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার সকালে মধু মালিথা ও তাঁর পক্ষের লোকজন খননকাজের স্থানে গেলে বেলা ১১টার দিকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শলকের ভাড়া করা ৫০ জনের অধিক লোকজন মধু মালিথা ও তাঁর পক্ষের লোকজনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ লেগে গুরুতর আহত হন মধু মালিথা, তাঁর ছোট ভাই জধু মালিথাসহ স্থানীয় আরও একজন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় মধু মালিথা ও তাঁর ছোট ভাই জধু মালিথাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম নিয়ে রাজশাহীতে জধু মালিথা চিকিৎসাধীন থাকলেও গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে মৃত্যু হয় মধু মালিথার।
এ বিষয়ে মধু মালিথার চাচাত ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘একই স্থানে আমারও চার বিঘা জমি আছে। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে আমার পিতা এ ধানি জমি ক্রয় করেন। এখানে নবগঙ্গা নদীর খনন কাজ চলছে। সরকারি কাজে আমরা বাঁধা দিতে চাই না। তবে শলক তার পুকুর বাঁচাতে খননকাজের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার নাঈম ও শান্তকে টাকা দিয়ে খননকাজ আমাদের জমির দিকে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এরই প্রতিবাদ করলে শুক্রবার শলক ৫০ জনের অধিক ভাড়া করা লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমন করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার চাচাত ভাই মধু মালিথা ও জধু মালিথা গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু মধু ও জধুর অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী রেফার্ড করে চিকিৎসক। রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মধুর।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের মেম্বার আজিবর মালিথা বলেন, বুচতলা এলাকায় নবগঙ্গা নদীর খননকাজ যেখানে চলছে, সেখানে ২৩০ ফিটের মতো খাস জমি আছে। এই জমির মাঝ বরাবর নদী খনন করার কথা থাকলেও নিজের পুুকুর বাঁচাতে স্থানীয় প্রভাবশালী শলক বিভিন্ন মানুষকে টাকা দিয়ে খননকাজের গতিমুখ মধু মালিথার জমির দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদ করলে শলক ভাড়া করা লোকজন দিয়ে মধুর পক্ষের লোকজনের ওপর আক্রমণ করে।
এদিকে, পদ্মবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালি ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শলক কয়েকটি ইজিবাইকযোগে অনেক লোকজন নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে আসেন। এ সময় ইজিবাইক থেকে একটি বস্তা নামান তাঁরা। বস্তার ভেতর থেকে চাইনিজ কুড়াল, রামদাসহ বিভিন্ন ভারি অস্ত্র বের করে সবাই হাতে নেন। কিছুক্ষণ পর একে একে খাল পাড়ের দিকে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই মধু মাথিলা ও জধু মালিথাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে জানতে পারেন তিনি।
গতকাল গ্রেপ্তারকৃত অপর এজহারভুক্ত আসামিদের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভবতোষ রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন, চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর নতুন স্টেডিয়ামের ভেতর এই মামলার দুজন আসামি লুকিয়ে আছে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তিনি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার নূরনগর এলাকার আব্দার আলীর ছেলে লাল্টু (২৪) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঠাকুরপুর গ্রামের মণ্টুর ছেলে বাচ্চু (৩০)।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শুক্রবার ১৬ জনের নাম উল্লেকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যেহেতু ভিকটিমের একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে, সে কারণে পূর্বের মামলার সঙ্গে মৃত্যু ঘটনা সংযোজন করা হবে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতকদেরকেও খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।