ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরমাণু ক্ষমতা বাড়াতে ইরানে নতুন আইন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
পরমাণু সক্ষমতা বাড়াতে নতুন একটি আইন পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে জাতিসংঘের পরিদর্শন বন্ধ করতে এবং ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে আইনটি পাস করা হয়েছে। রয়টার্স। নতুন আইন অনুযায়ী, আগামী দুই মাসে ইরানের ওপর থেকে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে সরকার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী সম্মত ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে। ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার পর এই পদক্ষেপ নিলো তেহরান। গত শুক্রবার রাজধানী তেহরানের বাইরে রাস্তার পাশে রহস্যমূলক এক হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয় দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির স্থপতি মোহসেন ফাখরিজাদেহকে। ইরান বিশ্বাস করে যে, ইসরায়েল এবং একটি নির্বাসিত একটি বিরোধী গোষ্ঠী রিমোট-কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরিচালিত অস্ত্র ব্যবহার করে ফাখরিজাদেহকে গুলি করে হত্যা করেছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ফাখরিজাদেহ-এর। তবে দেশটির সরকার বারবারই বলে আসছে যে, তাদের পরমাণু কর্মযজ্ঞ পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। প্রস্তাবিত আইনগুলো শিয়া ইসলামিক অনুশাসন ও ইরানের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, তা যাচাই করে দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। তবে নতুন এ আইনের বিষয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির অবস্থান জানা যায়নি; রাষ্ট্রের যে কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার ক্ষমতা তার হাতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরমাণু ক্ষমতা বাড়াতে ইরানে নতুন আইন

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

বিশ্ব প্রতিবেদন:
পরমাণু সক্ষমতা বাড়াতে নতুন একটি আইন পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে জাতিসংঘের পরিদর্শন বন্ধ করতে এবং ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে আইনটি পাস করা হয়েছে। রয়টার্স। নতুন আইন অনুযায়ী, আগামী দুই মাসে ইরানের ওপর থেকে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে সরকার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী সম্মত ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে। ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার পর এই পদক্ষেপ নিলো তেহরান। গত শুক্রবার রাজধানী তেহরানের বাইরে রাস্তার পাশে রহস্যমূলক এক হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয় দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির স্থপতি মোহসেন ফাখরিজাদেহকে। ইরান বিশ্বাস করে যে, ইসরায়েল এবং একটি নির্বাসিত একটি বিরোধী গোষ্ঠী রিমোট-কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরিচালিত অস্ত্র ব্যবহার করে ফাখরিজাদেহকে গুলি করে হত্যা করেছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ফাখরিজাদেহ-এর। তবে দেশটির সরকার বারবারই বলে আসছে যে, তাদের পরমাণু কর্মযজ্ঞ পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। প্রস্তাবিত আইনগুলো শিয়া ইসলামিক অনুশাসন ও ইরানের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, তা যাচাই করে দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। তবে নতুন এ আইনের বিষয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির অবস্থান জানা যায়নি; রাষ্ট্রের যে কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার ক্ষমতা তার হাতে।