ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরকালের প্রথম ঘাঁটি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৬২৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানুষ মাত্রই মরণশীল। আর মৃত্যুর পর মুমিনের প্রথম স্থান হলো কবর। এটা পরকালের প্রথম ঘাঁটি। দুনিয়ার জীবন শেষ হলে মানুষকে এই ঘাঁটি অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে। আখেরাতের মূল জীবন শুরু হবে কেয়ামতের পর থেকে। কবর যেহেতু দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনের মাঝখানে অবস্থিত তাই এখানকার অবস্থা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন আশঙ্কাজনক। আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি হিসেবে কেউ এখানে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হলে তার জন্য সামনের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এজন্যই হজরত উসমান (রা.) কবরের কথা শুনলেই তার চোখে পানি চলে আসত এবং তার দুই গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়ত। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি জান্নাত বা জাহান্নামের আলোচনা শুনে কাঁদেন না অথচ কবরের কথা শুনে এভাবে বিগলিত হন কেন? জবাবে হজরত উসমান (রা.) রাসুল (সা.) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, কবর হচ্ছে আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি। যে ব্যক্তি এখান থেকে রেহাই পাবে, পরবর্তী ঘাঁটিগুলো তার জন্য সহজ হবে। পক্ষান্তরে কেউ এখান থেকে পার না পেলে পরবর্তী সময়ে তাকে আরো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। দুনিয়ার নির্ধারিত জীবনকাল সমাপ্ত হলেই মানুষকে যেতে হয় কবরে। সেখান থেকেই শুরু হয় পার্থিব জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের পালা। সেই জিজ্ঞাসাবাদে কেউ সঠিক জবাব দিতে পারলে তার জন্য ব্যবস্থা করা হয় সব আরাম-আয়েশের। আরাম পেয়ে সে ঘুমিয়ে পড়বে এবং কেয়ামতের দিন ইসরাফিলের বাঁশির ফুঁ শুনে জেগে উঠবে। আর যারা সঠিক জবাব দিতে পারবে না তাদের শাস্তির কোনো শেষ নেই। কবরের ভয়াবহ শাস্তির কথা হাদিসে উল্লেখ হয়েছে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, কাফেরের জন্য তার কবরে ৯৯টি সাপ নিযুক্ত করা হবে। এগুলো কেয়ামত পর্যন্ত তাকে দংশন করতে থাকবে। সেগুলোর কোনো একটি সাপ পৃথিবীতে একবার শ্বাস ফেললে তাতে আর কোনো উদ্ভিদ জš§াত না। এজন্য কবর আজাব থেকে বাঁচার চেষ্টা সবার মধ্যে থাকতে হবে। এখানে কেউ ধরা পড়ে গেলে তার কোনো উপায় নেই। আর এখানে ছাড়া পেলে তার সব ঘাঁটি অতি সহজ হয়ে যাবে। কোরান-হাদিস নির্দেশিত পথে জীবন সাজাতে পারলেই কবর আজাব থেকে মুক্তির গ্যারান্টি রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরকালের প্রথম ঘাঁটি

আপলোড টাইম : ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: মানুষ মাত্রই মরণশীল। আর মৃত্যুর পর মুমিনের প্রথম স্থান হলো কবর। এটা পরকালের প্রথম ঘাঁটি। দুনিয়ার জীবন শেষ হলে মানুষকে এই ঘাঁটি অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে। আখেরাতের মূল জীবন শুরু হবে কেয়ামতের পর থেকে। কবর যেহেতু দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনের মাঝখানে অবস্থিত তাই এখানকার অবস্থা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন আশঙ্কাজনক। আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি হিসেবে কেউ এখানে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হলে তার জন্য সামনের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এজন্যই হজরত উসমান (রা.) কবরের কথা শুনলেই তার চোখে পানি চলে আসত এবং তার দুই গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়ত। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি জান্নাত বা জাহান্নামের আলোচনা শুনে কাঁদেন না অথচ কবরের কথা শুনে এভাবে বিগলিত হন কেন? জবাবে হজরত উসমান (রা.) রাসুল (সা.) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, কবর হচ্ছে আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি। যে ব্যক্তি এখান থেকে রেহাই পাবে, পরবর্তী ঘাঁটিগুলো তার জন্য সহজ হবে। পক্ষান্তরে কেউ এখান থেকে পার না পেলে পরবর্তী সময়ে তাকে আরো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। দুনিয়ার নির্ধারিত জীবনকাল সমাপ্ত হলেই মানুষকে যেতে হয় কবরে। সেখান থেকেই শুরু হয় পার্থিব জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের পালা। সেই জিজ্ঞাসাবাদে কেউ সঠিক জবাব দিতে পারলে তার জন্য ব্যবস্থা করা হয় সব আরাম-আয়েশের। আরাম পেয়ে সে ঘুমিয়ে পড়বে এবং কেয়ামতের দিন ইসরাফিলের বাঁশির ফুঁ শুনে জেগে উঠবে। আর যারা সঠিক জবাব দিতে পারবে না তাদের শাস্তির কোনো শেষ নেই। কবরের ভয়াবহ শাস্তির কথা হাদিসে উল্লেখ হয়েছে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, কাফেরের জন্য তার কবরে ৯৯টি সাপ নিযুক্ত করা হবে। এগুলো কেয়ামত পর্যন্ত তাকে দংশন করতে থাকবে। সেগুলোর কোনো একটি সাপ পৃথিবীতে একবার শ্বাস ফেললে তাতে আর কোনো উদ্ভিদ জš§াত না। এজন্য কবর আজাব থেকে বাঁচার চেষ্টা সবার মধ্যে থাকতে হবে। এখানে কেউ ধরা পড়ে গেলে তার কোনো উপায় নেই। আর এখানে ছাড়া পেলে তার সব ঘাঁটি অতি সহজ হয়ে যাবে। কোরান-হাদিস নির্দেশিত পথে জীবন সাজাতে পারলেই কবর আজাব থেকে মুক্তির গ্যারান্টি রয়েছে।