ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরকালমুখী জীবনই সাফল্যের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯
  • / ২৪২ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: একজন মুমিনের অকাট্য বিশ্বাস হলো এই জীবনই শেষ নয়, মৃত্যুর পর আরো একটি জীবন রয়েছে। পার্থিব এই জীবন ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু এরপর যে জীবন রয়েছে এর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এজন্য একজন বিশ্বাসী মানুষের কাছে দুনিয়ার চেয়ে পরকালের প্রস্তুতিই মুখ্য। পবিত্র কোরানের ভাষায় এই দুনিয়া হলো একটি খেলাঘরের মতো। দুনিয়ার জীবনটা আখেরাতের তুলনায় কিছুই নয়। বলা হয়, আটলান্টিক মহাসাগরে আঙ্গুল ডুবালে এর মাথায় যে এক দুই ফোঁটা পানি উঠে আসে সেটা হলো দুনিয়ার জীবন। আটলান্টিক মহাসাগরের পানির সঙ্গে যেমনিভাবে আঙ্গুলে ওঠে আসা এক দুই ফোঁটা পানির তুলনা হতে পারে না তেমনি দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে আখেরাতের জীবনের কোনো তুলনা করা যায় না। এজন্য রাসুল (সা.) আমাদের আখেরাতমুখী জীবন, আখেরাতমুখী টার্গেট বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একজন মুমিনের টার্গেট হওয়া উচিত আখেরাত। আমরা সবাই আখেরাতের যাত্রী। দুনিয়ার জাহাজে করে আল্লাহর পথে চলতে শুরু করেছি। আমরা এগিয়ে চলছি আল্লাহর দিকে। জান্নাত কিংবা জাহান্নামের দিকে। অল্প কিছুদিনের এই দুনিয়া যেভাবেই কাটুক তা মেনে নিয়ে অনন্ত অসীম কালের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণই হলো একজন মুমিনের প্রধান দায়িত্ব। যারা এই পার্থিব জীবনকে কাজে লাগাতে পারবেন তাদের জন্যই রয়েছে পরকালের মুক্তি ও পুরস্কার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরকালমুখী জীবনই সাফল্যের

আপলোড টাইম : ০৯:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: একজন মুমিনের অকাট্য বিশ্বাস হলো এই জীবনই শেষ নয়, মৃত্যুর পর আরো একটি জীবন রয়েছে। পার্থিব এই জীবন ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু এরপর যে জীবন রয়েছে এর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এজন্য একজন বিশ্বাসী মানুষের কাছে দুনিয়ার চেয়ে পরকালের প্রস্তুতিই মুখ্য। পবিত্র কোরানের ভাষায় এই দুনিয়া হলো একটি খেলাঘরের মতো। দুনিয়ার জীবনটা আখেরাতের তুলনায় কিছুই নয়। বলা হয়, আটলান্টিক মহাসাগরে আঙ্গুল ডুবালে এর মাথায় যে এক দুই ফোঁটা পানি উঠে আসে সেটা হলো দুনিয়ার জীবন। আটলান্টিক মহাসাগরের পানির সঙ্গে যেমনিভাবে আঙ্গুলে ওঠে আসা এক দুই ফোঁটা পানির তুলনা হতে পারে না তেমনি দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে আখেরাতের জীবনের কোনো তুলনা করা যায় না। এজন্য রাসুল (সা.) আমাদের আখেরাতমুখী জীবন, আখেরাতমুখী টার্গেট বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একজন মুমিনের টার্গেট হওয়া উচিত আখেরাত। আমরা সবাই আখেরাতের যাত্রী। দুনিয়ার জাহাজে করে আল্লাহর পথে চলতে শুরু করেছি। আমরা এগিয়ে চলছি আল্লাহর দিকে। জান্নাত কিংবা জাহান্নামের দিকে। অল্প কিছুদিনের এই দুনিয়া যেভাবেই কাটুক তা মেনে নিয়ে অনন্ত অসীম কালের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণই হলো একজন মুমিনের প্রধান দায়িত্ব। যারা এই পার্থিব জীবনকে কাজে লাগাতে পারবেন তাদের জন্যই রয়েছে পরকালের মুক্তি ও পুরস্কার।