ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পবিত্র হজ আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৯
  • / ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্্ নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক লা শারীকা লাক’। অর্থাৎ আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত হয়েছি। আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার আহ্বানে সাড়া দিতে, তোমার কোন শরীক নেই এ ঘোষণা জারি করতেই আমি হাজির হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার জন্যই নির্ধারিত। আর সকল মালিকানা ও শাসন ক্ষমতা তোমাতেই নিবদ্ধ আছে। তোমার কোন শরীক নেই।’-এই তালবিয়া পাঠের মধ্য দিয়ে আজ আরাফাত ময়দানের আকাশ-বাতাস মুখর করে তুলবেন হজযাত্রীরা। কারণ আজ আরাফা দিবস তথা আজ পবিত্র হজ। ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রায় দু’শ দেশের ১৮ লক্ষাধিক হজযাত্রীসহ ২৫ লাখের বেশি মুসলিম চলতি বছর হজ পালন করছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিতসহ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে থাকার কারণে অতিরিক্ত নিরাপত্তার মধ্যে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পানি, পয়ঃসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কোন ত্রুটি রাখেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। যানজট নিরসনে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। জাবালে রহমতসহ ৩১ বর্গকিলোমিটারের আরাফাতে সূর্যাস্ত অবধি অবস্থান করবেন মুসল্লিরা। এখানে অবস্থান করাই হচ্ছে হজ। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লহাজ্জু আল-‘আরাফাহ’। অর্থাৎ আরাফাতে অবস্থানই হজ। এখানে অবস্থানকালেই আল্লাহ পাক যাদের হজ কবুল করবেন তাদের গুনাহমুক্ত মাসুম করে দেন।
আরাফতে অবস্থানের জন্য আজ শনিবার সূর্যোদয়ের পর আগমন করা সুন্নত। কিন্তু হজযাত্রীদের আধিক্যের কারণে গতকাল শুক্রবার রাতেই মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের অধিকাংশকে। অনেকে সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণে আজ সকালে পায়ে হেঁটে অথবা ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট কারে করে আরাফতে যাবেন। সবার শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা থাকবে। এদিন ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান। এখানে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাবার পর আরাফাত সীমান্তে অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে আযান ধ্বনিত হবে। এখানে এক আজানে দুই ইকামাতে সমবেত হাজীরা কসর করে যোহর ও আসর সলাত আদায় করবেন। এর আগে ইমাম হজ্জের খুৎবা দেবেন। সলাত শেষে হাজীরা নিজ নিজ তাঁবুর আনাচে-কানাচে দাঁড়িয়ে বা বসে গোপনে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মোনাজাত করবেন। এসময় তারা নিজেদের সব গুনাহের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে আকুতি জানিয়ে ক্ষমা চাইবেন। এরূপ চলতে থাকবে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পবিত্র হজ আজ

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্্ নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক লা শারীকা লাক’। অর্থাৎ আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত হয়েছি। আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার আহ্বানে সাড়া দিতে, তোমার কোন শরীক নেই এ ঘোষণা জারি করতেই আমি হাজির হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার জন্যই নির্ধারিত। আর সকল মালিকানা ও শাসন ক্ষমতা তোমাতেই নিবদ্ধ আছে। তোমার কোন শরীক নেই।’-এই তালবিয়া পাঠের মধ্য দিয়ে আজ আরাফাত ময়দানের আকাশ-বাতাস মুখর করে তুলবেন হজযাত্রীরা। কারণ আজ আরাফা দিবস তথা আজ পবিত্র হজ। ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রায় দু’শ দেশের ১৮ লক্ষাধিক হজযাত্রীসহ ২৫ লাখের বেশি মুসলিম চলতি বছর হজ পালন করছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিতসহ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে থাকার কারণে অতিরিক্ত নিরাপত্তার মধ্যে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পানি, পয়ঃসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কোন ত্রুটি রাখেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। যানজট নিরসনে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। জাবালে রহমতসহ ৩১ বর্গকিলোমিটারের আরাফাতে সূর্যাস্ত অবধি অবস্থান করবেন মুসল্লিরা। এখানে অবস্থান করাই হচ্ছে হজ। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লহাজ্জু আল-‘আরাফাহ’। অর্থাৎ আরাফাতে অবস্থানই হজ। এখানে অবস্থানকালেই আল্লাহ পাক যাদের হজ কবুল করবেন তাদের গুনাহমুক্ত মাসুম করে দেন।
আরাফতে অবস্থানের জন্য আজ শনিবার সূর্যোদয়ের পর আগমন করা সুন্নত। কিন্তু হজযাত্রীদের আধিক্যের কারণে গতকাল শুক্রবার রাতেই মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের অধিকাংশকে। অনেকে সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণে আজ সকালে পায়ে হেঁটে অথবা ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট কারে করে আরাফতে যাবেন। সবার শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা থাকবে। এদিন ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান। এখানে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাবার পর আরাফাত সীমান্তে অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে আযান ধ্বনিত হবে। এখানে এক আজানে দুই ইকামাতে সমবেত হাজীরা কসর করে যোহর ও আসর সলাত আদায় করবেন। এর আগে ইমাম হজ্জের খুৎবা দেবেন। সলাত শেষে হাজীরা নিজ নিজ তাঁবুর আনাচে-কানাচে দাঁড়িয়ে বা বসে গোপনে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মোনাজাত করবেন। এসময় তারা নিজেদের সব গুনাহের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে আকুতি জানিয়ে ক্ষমা চাইবেন। এরূপ চলতে থাকবে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।